যা হারিয়ে যায় – আরম্ভ

“কি ব্যাপার” – দাবার বোর্ড থেকে চোখ না তুলেই প্রশ্ন করলেন প্রণয়। প্রাচ্য এই অভ্যর্থনার জন্য প্রস্তুত ছিল। আসলে গতকালই প্রণয় ফোন করে প্রিয়াঙ্কাকে জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি আর অপেক্ষা করতে রাজি নন। খুব বেশি হলে এক সপ্তাহ উনি দেখবেন। এর মধ্যে প্রাচ্য যদি কোনও ইনিশিয়েটিভ না নেয় তাহলে তাঁকেই যা ব্যবস্থা নেওয়ার নিতে হবে। … বিস্তারিত পড়ুন

দেবদাস – শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় —পঞ্চম পরিচ্ছেদ

পার্বতী এই তের বছরে পা দিয়াছে—ঠাকুরমাতা এই কথা বলেন। এই বয়সে শারীরিক সৌন্দর্য অকস্মাৎ যেন কোথা হইতে ছুটিয়া আসিয়া কিশোরীর সর্বাঙ্গ ছাইয়া ফেলে। আত্মীয়-স্বজন হঠাৎ একদিন চমকিত হইয়া দেখিতে পান যে, তাঁহাদের ছোট মেয়েটি বড় হইয়াছে। তখন পাত্রস্থা করিবার জন্য বড় তাড়াহুড়া পড়িয়া যায়। চক্রবর্তী-বাড়িতে আজ কয়েক দিবস হইতেই সেই কথার আলোচনা হইতেছে। জননী বড় … বিস্তারিত পড়ুন

শাস্তি –প্রথম পরিচ্ছেদ — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

দুখিরাম রুই এবং ছিদাম রুই দুই ভাই সকালে যখন দা হাতে লইয়া জন খাটিতে বাহির হইল তখন তাহাদের দুই স্ত্রীর মধ্যে বকাবকি চেঁচামেচি চলিতেছে। কিন্তু, প্রকৃতির অন্যান্য নানাবিধ নিত্য কলরবের ন্যায় এই কলহ-কোলাহলও পাড়াসুদ্ধ লোকের অভ্যাস হইয়া গেছে। তীব্র কণ্ঠস্বর শুনিবামাত্র লোকে পরস্পরকে বলে- “ওই রে বাধিয়া গিয়াছে ”, অর্থাৎ যেমনটি আশা করা যায় ঠিক … বিস্তারিত পড়ুন

তপস্বিনী– চতুর্থ অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

  হইতেছিল ষোড়শী তাহা পূরণ করিয়া দিল। ষোড়শীর গহনা আর বড়োকিছু বাকি রহিল না, এবং তার মাসহারার টাকা প্রতি মাসে সেই অন্তর্হিত গহনাগুলোর অনুসরণ করিল।বাড়ির ডাক্তার অনাদি আসিয়া মাখনকে কহিলেন, “দাদা, করছ কী। মেয়েটা যে মারা যাবে।” মাখন উদ্‌বিগ্ন মুখে বলিলেন, “তাই তো, কী করি।” ষোড়শীর কাছে তাঁর আর সাহস নাই। এক সময়ে অত্যন্ত মৃদুস্বরে … বিস্তারিত পড়ুন

চরিত্রহীন– শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ––ছাব্বিশ পরিচ্ছেদ

প্রায় অপরাহ্নবেলায় কিরণময়ী জ্যোতিষবাবুদের বাটীতে আসিয়া উপস্থিত হইল। পরনে মোটা থানের কাপড়, গায়ে অলঙ্কারের চিহ্নমাত্র নাই, সুদীর্ঘ রুক্ষ কেশরাশি বিপর্যস্তভাবে মাথায় জড়ানো, দুই-একটা চূর্ণকুন্তল কপালে ঝুলিয়া পড়িয়াছে; চোখে তাহার শ্রান্ত উদাস দৃষ্টি। যেন বৈধব্যের অলৌকিক ঐশ্বর্য তাহার সর্বাঙ্গ ঘিরিয়া মূর্তিমতী হইয়াছে। সে মুখের পানে চাহিলেই চক্ষু আপনিই যেন তাহার পদপ্রান্তে নামিয়া আসে। সরোজিনী বাহিরের বারান্দায় … বিস্তারিত পড়ুন

মূসা (আঃ)-এর জন্ম – প্রথম পর্ব

একদিন রাতে ফেরাউন গভীর ঘুমে অচেতন অবস্থায় একটি স্বপ্ন দেখল যে, শামদেশের দিক হতে একটি জ্বলন্ত অগ্নিশিখা এসে মিসর দেশে প্রবেশ করল। এবং মিসরের কিবতী সম্প্রদায়ের সমস্ত ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ভষ্ম করে দিয়ে গেল। আবার অনেক বর্ণনায় আছে যে, ফেরাউন স্বপ্ন দেখল যে, দুটি বৃক্ষ উর্ধ্ব দিকে বাড়তে বাড়তে এত বেশি বেড়েছে যার তুলনায় দুনিয়ার … বিস্তারিত পড়ুন

হযরত ইউসা (আঃ) এর জন্ম নবুয়াত প্রাপ্তি ও ধর্ম প্রচার-৫ম পর্ব

হযরত ইউসা (আঃ) এর জন্ম নবুয়াত প্রাপ্তি ও ধর্ম প্রচার-৪র্থ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন   যুদ্ধ অবসানে বন্দী দরবেশ বালাম বাউর মলিন বদনে হযরত ইউসা (আঃ) এর দরবারে হাজির হয়ে সসম্মানে তাঁকে সালাম জানলেন। হযরত ইউসা (আঃ) দরবেশের পরিচয় পেয়ে বললেন, হে বালাম বাউর! তুমি আল্লাহ্‌ পাকের পবিত্র এসমে আজমের অপব্যবহার করে দ্বীনের ক্ষতি … বিস্তারিত পড়ুন

আয়না- কাছে আয় না

এই নিয়ে তিন দিন। একই অনুভবের পুনরাবৃত্তি। ঠিক তিনদিন আগে বৈদেহীর দাদা নিলামে ওঠা এই ড্রেসিং টেবিল টি সস্তায় কিনে এনেছেন। বেশ অনেকদিন ধরেই শখ ছিল। যদিও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে শখ মেটাতে গেলে অনেক দাম দিতে হয়। এক্ষেত্রে ভাগ্য ভালই বলতে হবে। অদ্ভুতভাবে সুন্দর এক অসাধারন কারুকার্য করা আয়নার কাঠের ফ্রেমে। এক সুন্দরী রমণী তার … বিস্তারিত পড়ুন

বিড়াল রহস্য

অবাক কান্ড! মারিয়া বিড়ালটির কথা বুঝতে পারছে! কেমন আছেন, আপু? মারিয়া বুঝতে পারছে না, ব্যাপারটি সত্যি কি না? সত্যি হতে যাবে কেন? মানুষ প্রাণীদের ভাষা বুঝে না। যদি এমনটা কখনো ঘটে, তবে নিশ্চয়ই তার মাথার গন্ডগোল হয়েছে ধরে নিতে হয়। তবে কি তার..? নাহ! সে তো সুস্থ ভাবে চিন্তা করতে পারছে। একজন মানসিক রোগীতো এটা … বিস্তারিত পড়ুন

হযরত আছিয়ার জন্মলাভ – পর্ব ১

যে সময়ের কথা বলতে যাচ্ছি, তখন মিশর রাজ্যে মোজাহাম নামে বনী ইসরাইল বংশে জনৈক ব্যক্তি ছিলেন। তিনি শিক্ষা-দীক্ষা, চরিত্র এবং জ্ঞান-বুদ্ধি সর্ববিষয়ে দেশের ভিতরে যোগ্য এবং শ্রেষ্ঠ পুরুষ ছিলেন। খোদার অসীম কৃপার তাঁর পত্নীও যেমন বিদূষী তেমন সতী সাধ্বী ও বুদ্ধিমতি রমণী ছিলেন। এরা কেবল পার্থিব বিষয় ও বুদ্ধিতেই নয় ধর্মে-কর্মেও অদ্বিতীয় ব্যক্তি ছিলেন। বনী … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!