‘জামা-কাপড় দিয়ে কী হবে?’-মোল্লা নাসির উদ্দিন

নাসিরুদ্দীন হোজ্জা খুব যত্ন করে একটা খাসি পুষত। নাদুস-নুদুস সেই খাসিটার ওপর পড়শিদের একবার বদনজর পড়ল। একদিন কয়েকজন মিলে হোজ্জার বাড়িতে গিয়ে হাজির হল। হোজ্জাকে ডেকে বলল: “ও মোল্লা সাহেব, বড়ই দুঃসংবাদ। আগামীকাল নাকি এ দুনিয়া ধ্বংস হয়ে যাবে। হায়! এত সাধের ঘরবাড়ি, সহায়সম্পদ, এমনকি আপনার ওই প্রিয় খাসিটাও থাকবে না!” হোজ্জা বুঝলেন তাদের মতলবখানা … বিস্তারিত পড়ুন

নবাবের অষ্টাদশ পর্ব মহাভারত কথা –গোপাল ভাঁড়ের গল্প

একবার মুর্শিদাবাদের নবাবের খেয়াল হল, হিন্দুদের মত আমাকে নিয়ে মহাভারত রচিত হোক। যেমনি ভারা তেমনি মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের কাছে নির্দেশ পাঠালেন, আপনাদের অর্থাৎ হিন্দুদের অনুকরণে, তাকে নিয়ে একটি নতুন মহাভারত পন্ডিতদের দিয়ে লিখে দিতে হবে একমাসের মধ্যে। সেইরূপ পন্ডিত অতি শীঘ্র নবাব দরবা পাঠান। যিনি রচনা করবেন তাঁকে প্রচুর ‍আসরাফি পুরষ্কার দেওয়া হবে। নবাবের চিঠি পেয়ে … বিস্তারিত পড়ুন

আজরাইল

ঘটনার শুরু আজ থেকে চার বছর আগে এক রাতে। আমি সিলেট এর ওসমানী মেডিকেল এ একটা সেমিনার শেষ করে নিজেই ড্রাইভ করে ফিরছিলাম ঢাকায়। সাধারণত আমার পাজেরো টা আমার খুব প্রিয় হওয়াতে আমি কাউকে ড্রাইভার রাখিনি। সেদিন ও আমি নিজেই চালিয়ে নিয়ে আসছিলাম ঢাকার উদ্দেশ্যে। পথে খানিক টা ঘুম ঘুম ভাব আসলেও মন টা সতেজ … বিস্তারিত পড়ুন

একটি রিকশা ভ্রমন

ঘটনাটি ঘটে ফেব্রুয়ারী মাসের কোনও এক শুক্রবারে। তারিখ মনে নেই। আমি একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। মাঝে মাঝে কাজ শেষে বাসায় ফিরতে অনেক রাত হয়ে যায়। কখনো কখনো রাত ২ টাও বেজে যায়। আমরা মেইনলি ফরেন কোম্পানিগুলোর সাথে ডিল করি। তাই অনেক সময় কাজের প্রেসার বেশি থাকলে যত রাতই হোক, কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরতে হয়। এমনি … বিস্তারিত পড়ুন

বুদ্ধিমান চাকর

এক বাবুর একটি বড় বুদ্ধিমান চাকর ছিল, তার নাম ভজহরি। একদিন ভজহরি পথ দিয়ে যেতে যেতে দেখল, তার বাবু খুব ব্যস্ত হয়ে বাড়ির দিকে ছুটে চলেছেন। ভজহরি জিজ্ঞাসা করল, “বাবু, কোথায় যাচ্ছেন?”বাবু বললেন, “শিগগির এস ভজহরি, সর্বনাশ হয়েছে—আমাদের ঘরে আগুন লেগেছে।” ভজহরি বলল, “আপনার কোন ভয় নেই, বাবু। ও মিছে কথা। আগুন কি করে লাগবে? … বিস্তারিত পড়ুন

সাত ভাই চম্পা

 এক রাজার সাত রাণী। দেমাকে, বড়রাণীদের মাটিতে পা পড়ে না। ছোটরাণী খুব শান্ত। এজন্য রাজা ছোটরাণীকে সকলের চাইতে বেশি ভালবাসিতেন। কিন্তু, অনেক দিন পর্যন্ত রাজার ছেলেমেয়ে হয় না। এত বড় রাজ্য, কে ভোগ করিবে? রাজা মনের দুঃখে থাকেন। এইরূপে দিন যায়। কতদিন পরে,-ছোটরাণীর ছেলে হইবে। রাজার মনে আনন্দ ধরে না; পাইক-পিয়াদা ডাকিয়া, রাজা রাজ্য ঘোষণা … বিস্তারিত পড়ুন

জামা-কাপড় দিয়ে কী হবে?-মোল্লা নাসির উদ্দিন

নাসিরুদ্দীন হোজ্জা খুব যত্ন করে একটা খাসি পুষতেন। নাদুস-নুদুস সেই খাসিটার ওপর পড়শিদের একবার বদনজর পড়ে। একদিন কয়েকজন মিলে হোজ্জার বাড়িতে গিয়ে হাজির হলো। হোজ্জাকে ডেকে বলল,“ও মোল্লা সাহেব, বড়ই দুঃসংবাদ! আগামীকাল নাকি এ দুনিয়া ধ্বংস হয়ে যাবে।হায়! এত সাধের ঘরবাড়ি, সহায়-সম্পদ—এমনকি আপনার ওই প্রিয় খাসিটাও থাকবে না!” হোজ্জা বুঝলেন তাদের মতলব কী। কিন্তু এতগুলো … বিস্তারিত পড়ুন

আলখাল্লার পরিবর্তে জোব্বা-মোল্লা নাসির উদ্দিন

একদা মোল্লা নাসিরুদ্দিন নিজের জন্য একটা জোব্বা কিনতে গেলেন একটি দোকানে। পছন্দ করার পর দোকানদার জোব্বাটা প্যাকেট করে দিল। মোল্লা জোব্বা নিয়ে চলে আসার সময় ভাবলেন, জোব্বা না নিয়ে বরং একটি আলখাল্লা নিয়ে যাই। দোকানিকে বললেন, “আপনি বরং আমাকে একটি আলখাল্লা দিন।” দোকানদার আলখাল্লা দেওয়ার পর মোল্লা নাসিরুদ্দিন তা নিয়ে বের হয়ে আসার সময় দোকানদার … বিস্তারিত পড়ুন

বেড়ালটা গেল কোথায়?-মোল্লা নাসির উদ্দিন

মোল্লা নাসিরুদ্দিন একবার বাজার থেকে খাসির গোশত কিনে আনলেন। স্ত্রীর হাতে দিয়ে বললেন,“অনেক দিন গোশত খাইনি। ভালো করে রাঁধো যেন খেয়ে মজা পাই।” মোল্লার স্ত্রীও অনেক দিন গোশত খাননি। তাই রান্নার পর একটু একটু করে খেতে খেতে সবটা গোশতই খেয়ে ফেললেন। মোল্লা খেতে বসলে তাঁর স্ত্রী মুখ কাঁচুমাচু করে বললেন,“আজ আর তোমার বরাতে গোশত নেই, … বিস্তারিত পড়ুন

কে মারা গেছে-তুমি না, তোমার ভাই?-মোল্লা নাসির উদ্দিন

হোজ্জার গ্রামে যমজ ভাই ছিল। একদিন শোনা গেল, ওই যমজ ভাইদের একজন মারা গেছে। রাস্তায় ওই যমজ তাদের একজনকে দেখে হোজ্জা দৌড়ে গেলেন তার দিকে। জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমাদের মধ্যে কে মারা গেছে-তুমি না, তোমার ভাই?’ –সংগৃহীত

দুঃখিত!