আলো জ্বেলে দেখলেই পারো

একদিন জরুরী দরকারের জন্য গোপালের খুব সকালে উঠেই রাজদরবারে যাবার কথা। সে স্ত্রীকে বলেই ঘুমিয়ে পড়লেন। স্ত্রী যেন তাকে ডেকে দেয় ভোর বেলায়। ভোর হয়নি। স্বামীর ঘুম আগেই ভেঙ্গে গেল। সে বলল, দেখ তো, বাইরে সূর্য উঠল কিনা আমাকে বেরুতে হবে তাড়াতাড়ি। রাজবাড়িতে ভীষণ দরকার। স্ত্রী বললেন “ওমা, বাইরে যে অন্ধকার। কি দেখব?” গোপাল চেচিয়ে … বিস্তারিত পড়ুন

এক সাথে বোনা

একটা লোক কলকাতায় নতুন এসে কচুরি খেয়েছে। বড় আশ্চর্য্ লেগেছে তার, কচুরির ভিতর ডালের পুর দেখে। বাড়ী গিয়ে তার এক বন্ধুকে বললে ‘দ্যাহো বাই! কলকাতার এক দোকানে যে কচুরি খেতাম, ওরার মধ্যি-কেলাই আর ডাল।’ বন্ধু উত্তর দিলে তাও নি-সমজাবার পায়লা হেলা? গম আর কেলাই একসাথে বুনেছালো যে। তাই জন্য কেলাইয়ের মধ্যে ডাল ছিল।

উল্টো হল বাবু

গোপাল একটা নতুন ঘোড়া কিনেছে। গোপাল তাই নিজে সখ করে তার সাজ পরাতে গিয়েছে। নিজের পছন্দমত কোনমতে সাজ এটে দেওয়ার পর, একটা চাকর বলে উঠলো ‘বাবু, সাজ উলটো হলো যে।’ গোপালের নিজের মনেও সন্দেহ হচ্ছিলো যে, তার হয়তো সাজ পরানো ঠিক হয়নি। কিন্তু তাই বলে চাকরে ভূল ধরবে? এ হতেই পারে না। তিনি চটে বললেন … বিস্তারিত পড়ুন

এখন এটা দেখছি ছুচো

এখন বাবা তামাক খাচ্ছেন। গোপাল কলকে পাবার আশায় বসে আছে। গোসাই মাঝে মাঝে এমন জোরে টান দিচ্ছেন যে তাতে গোপালের মনে হচ্ছে, এই বুঝি এবার গোসাইয়ের তামাক খাওয়া শেষ হলো। সে অমনি হাত বাড়াচ্ছে কলকের জন্যে। কিন্তু গোসাই এর তামাক খাওয়া আর শেষ হয় না। শেষে গোসাইবাবা বলে উঠলেন ‘কি হে! বারে বারে বেড়ালের মত … বিস্তারিত পড়ুন

পুরস্কারের বখরা

রসিক-গোপালের পুরস্কারের ভাগ দেওয়ার কেরামতির একটি মজার কাহিনী এবার শোনা যাক্। একবার মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র, সভাসদ ও আত্নীয় স্বজন পরিবার বর্গ নিয়ে তার বাগানবাড়িতে আনন্দ-আমোদ-প্রমোদ হবে। রাজা সকলকে নিয়ে খুব সকালেই যাত্রা করলেন। গোলকেও সঙ্গে আসতে বলেছিলেন, গোপাল বৌ-এর মুখের জন্য বাজার ক’রে না দিয়ে যেতে পারে না। যেদিন বাজার না করে দিয়ে যায়, সেদিন বাড়িতে … বিস্তারিত পড়ুন

গোপালের অতিথি-সৎকার

এক বিদেশী পথিক রাত্রে অজানা জায়গায় এসে পড়েছে। তার উপর বৃষ্টি ও ঝড় নামল খুব জোরে। এই ঘন অন্ধকারে মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। এ সময় কোথাও আশ্রয় না নিলে নয়। সে পথের ধারে এক বাড়ির দরজায় বারবার আঘাত করতে লাগল। এ গৃহের মালিক হচ্ছেন গোপাল। তিনি উপর থেকে জানলা খুলে জিজ্ঞাসা করলেন ‘কে হে বাপু … বিস্তারিত পড়ুন

গোপালের উচিত কথা বলা

কুসঙ্গে-পড়ে এক বালক পিতা-মাতাকে খুন করেছিল, স্রেফ টাকা-পয়সা হস্তগত করবার জন্যে। বালকের দাদা মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের সভায় সুবিচারের আর্জি পেশ করল। বিচারে তার অপরাধ যখন প্রমাণ হয়ে গেল, তখন মহারাজের এক সভাসদ উঠে বক্তৃতা শুরু করলেন ‘ধর্ম্মাবতার! অপরাধ গুরুতর বটে, তবে আমি বালকটির জন্য মহামান্য মহারাজের দয়া ভিক্ষা করছি। কারণ, বালকটি এখন পিতৃ-মাতৃহীন অনাথ।’ … সঙ্গে … বিস্তারিত পড়ুন

গোপালের বিয়ে

গোপাল নুতন পোষাক করিয়ে এসেছে। কাল রাত্রে তার বিয়ে। এই পোষাক পরেই গোপাল বিরক্তভাবে তার মাকে বলল ‘জানো মা, ব্যাটা দর্জি আমার পাঞ্জাবীটা লম্বায় দুই ইঞ্চি বড় করে ফেলেছে।’ পরদিন সকালবেলায় গোপাল জিনিষ-পত্র কেনা-কাটা করবার জন্যে বেরিয়ে গেল। তখন মায়ের মনে হলো, বেচারীর পাঞ্জাবীটা দুই ইঞ্চি বেশি লম্বা রয়েছে। কেটে ঠিক করে দিলে হয় তো। … বিস্তারিত পড়ুন

গোপালের শাস্ত্র বিচার

শেখ আমীরশাহ খুব বিচক্ষণ মৌলবী ছিলেন, হিন্দুশাস্ত্রেও তার বেশ দখল ছিল। তারই জোরে গোপালকে তিনি অনেক সময়ে ঠকাবার চেষ্টা করেন। অবশ্য তার ফলে নিজেই জব্দ হন সর্বদা, কিন্তু তাতে লজ্জা নেই তার। বার বার গোপালকে ঠকাবার চেষ্টা করেও বুদ্ধিমান গোপালকে কোনমতেই ঠকানো যায় না বরং শেখ আমীরশাহই বারবার ঠকেন। একদিন গোপাল ভিন গায়ে এক বন্ধুর … বিস্তারিত পড়ুন

ক্রোধ

প্রতিদিন একই জায়গায় ভিখিরাটাকে বসে থাকতে দেখেন তানভীর সাহেব। মনে মনে ভীষণ বিরক্ত হন তিনি। ব্যাটা বসার আর জায়গা পেল না! একেবারে তার ফ্যাটের গেটের ধারে! গেট থেকে বাইরে পা রাখলেই বজ্জাতটা চেঁচাতে শুরু করে দেয়,‘আল্লার ওয়াস্তে দুইডা ট্যাকা দেন সাব…’ যত্তসব! এই ভিখিরী-ফিখিরীদের একদম সহ্য করতে পারেন না তানভীর সাহেব। যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলেন … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!