গোপালের আইন ব্যাখ্যা

লোক পরম্পরায় গোপালের সূক্ষ্ম বিচার বুদ্ধি দেখে এক প্রতিবেশী তার মোকদ্দমা চালাবার জণ্য গোপালকে অনুরোধ করে। কিন্তু গোপাল মোকদ্দমার কাহিনী শুনে বারবার না না করা সত্ত্বেও প্রতিবেশী লোকটি নাছোড় বান্দা হওয়ায় বাধ্য হয়ে গোপাল প্রতিবেশীর মোকদ্দমাটি হাতে নেয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওই মামলার হার হয়। ভদ্রলোক কাঁদতে কাঁদতে বললেন একি করলেন, আমার সব গেল। তখন … বিস্তারিত পড়ুন

অর্ধ ভোজনে অর্ধ দক্ষিণা দান

এক হোটেলে হোটেলওয়ালা ও তার কোন বন্ধুর সঙ্গে কথাবার্ত হচ্ছিল, এমন সময় দেখে যে গোপাল হোটেলের সামনে দাড়িয়ে। ওই বন্ধুটি হোটেলের বন্ধুকে বলল, ‘ওই লোকটাকে জব্দ করতে পারবে? হোটেলওয়ালী বলল এ এমন কি।’ রাস্তায় হোটেলের সামনে দাড়িয়ে গোপাল এক বন্ধুর জন্যে অপেক্ষা করছিল। হোটেলে মাংস রান্না হচ্ছিল। হঠাৎ হোটেলওয়ালা গোপালকে জব্দ করার জন্য ছুটে এসে … বিস্তারিত পড়ুন

গোপালের আজব শিশু ধরা

মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রে সময় যান-বাহনের খুবই অসুবিধা ছিল। স্থল-পথ ছাড়া জল-পথ দিয়েও লোক যাতায়াত করত। জলপথে বজরাই তখনকার দিয়ে যাতায়াতের একমাত্র উপায়। এক মহিলাকে প্রায়ই দেখা যেত বজরায় উঠতে এবং এদিক ওদিক ঘোরা ফেলা করতে একটি কাপড়ে জড়িয়ে শিশু কোলে করে। শিশুটিকে সর্দ্দি কাশির ভয়ে সব সময় কাপড় জামা দিয়ে জড়িয়ে ঢেকে রাখতেন, কেউ দেখলে মনে … বিস্তারিত পড়ুন

পুরস্কারের বখরা

রসিক-গোপালের পুরস্কারের ভাগ দেওয়ার কেরামতির একটি মজার কাহিনী এবার শোনা যাক্। একবার মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র, সভাসদ ও আত্নীয় স্বজন পরিবার বর্গ নিয়ে তার বাগানবাড়িতে আনন্দ-আমোদ-প্রমোদ হবে। রাজা সকলকে নিয়ে খুব সকালেই যাত্রা করলেন। গোলকেও সঙ্গে আসতে বলেছিলেন, গোপাল বৌ-এর মুখের জন্য বাজার ক’রে না দিয়ে যেতে পারে না। যেদিন বাজার না করে দিয়ে যায়, সেদিন বাড়িতে … বিস্তারিত পড়ুন

গোপালের অতিথি-সৎকার

এক বিদেশী পথিক রাত্রে অজানা জায়গায় এসে পড়েছে। তার উপর বৃষ্টি ও ঝড় নামল খুব জোরে। এই ঘন অন্ধকারে মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। এ সময় কোথাও আশ্রয় না নিলে নয়। সে পথের ধারে এক বাড়ির দরজায় বারবার আঘাত করতে লাগল। এ গৃহের মালিক হচ্ছেন গোপাল। তিনি উপর থেকে জানলা খুলে জিজ্ঞাসা করলেন ‘কে হে বাপু … বিস্তারিত পড়ুন

গোপালের উচিত কথা বলা

কুসঙ্গে-পড়ে এক বালক পিতা-মাতাকে খুন করেছিল, স্রেফ টাকা-পয়সা হস্তগত করবার জন্যে। বালকের দাদা মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের সভায় সুবিচারের আর্জি পেশ করল। বিচারে তার অপরাধ যখন প্রমাণ হয়ে গেল, তখন মহারাজের এক সভাসদ উঠে বক্তৃতা শুরু করলেন ‘ধর্ম্মাবতার! অপরাধ গুরুতর বটে, তবে আমি বালকটির জন্য মহামান্য মহারাজের দয়া ভিক্ষা করছি। কারণ, বালকটি এখন পিতৃ-মাতৃহীন অনাথ।’ … সঙ্গে … বিস্তারিত পড়ুন

গোপালের বিয়ে

গোপাল নুতন পোষাক করিয়ে এসেছে। কাল রাত্রে তার বিয়ে। এই পোষাক পরেই গোপাল বিরক্তভাবে তার মাকে বলল ‘জানো মা, ব্যাটা দর্জি আমার পাঞ্জাবীটা লম্বায় দুই ইঞ্চি বড় করে ফেলেছে।’ পরদিন সকালবেলায় গোপাল জিনিষ-পত্র কেনা-কাটা করবার জন্যে বেরিয়ে গেল। তখন মায়ের মনে হলো, বেচারীর পাঞ্জাবীটা দুই ইঞ্চি বেশি লম্বা রয়েছে। কেটে ঠিক করে দিলে হয় তো। … বিস্তারিত পড়ুন

গোপালের শাস্ত্র বিচার

শেখ আমীরশাহ খুব বিচক্ষণ মৌলবী ছিলেন, হিন্দুশাস্ত্রেও তার বেশ দখল ছিল। তারই জোরে গোপালকে তিনি অনেক সময়ে ঠকাবার চেষ্টা করেন। অবশ্য তার ফলে নিজেই জব্দ হন সর্বদা, কিন্তু তাতে লজ্জা নেই তার। বার বার গোপালকে ঠকাবার চেষ্টা করেও বুদ্ধিমান গোপালকে কোনমতেই ঠকানো যায় না বরং শেখ আমীরশাহই বারবার ঠকেন। একদিন গোপাল ভিন গায়ে এক বন্ধুর … বিস্তারিত পড়ুন

ক্রোধ

প্রতিদিন একই জায়গায় ভিখিরাটাকে বসে থাকতে দেখেন তানভীর সাহেব। মনে মনে ভীষণ বিরক্ত হন তিনি। ব্যাটা বসার আর জায়গা পেল না! একেবারে তার ফ্যাটের গেটের ধারে! গেট থেকে বাইরে পা রাখলেই বজ্জাতটা চেঁচাতে শুরু করে দেয়,‘আল্লার ওয়াস্তে দুইডা ট্যাকা দেন সাব…’ যত্তসব! এই ভিখিরী-ফিখিরীদের একদম সহ্য করতে পারেন না তানভীর সাহেব। যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলেন … বিস্তারিত পড়ুন

নেকড়ে…

হোজ্জার এক প্রতিবেশী শিকারে গিয়ে নেকড়ের কবল থেকে এক ভেড়াকে বাঁচিয়ে বাড়ি নিয়ে আসে, পালবে বলে। শিকারির যত্নে ভেড়াটি দিন দিন নাদুস-নুদুস হয়ে উঠল। একদিন শিকারির লোভ হলো ভেড়ার মাংস খাওয়ার জন্য। তাই জবাই করতে উদ্যত হতেই ভেড়াটি ভয়ে বিকট শব্দে চিত্কার জুড়ে ছিল। ভেড়ার চিত্কারে হোজ্জার ঘুম গেল ভেঙে। ব্যাপারটা বোঝার জন্য সঙ্গে সঙ্গে … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!