গোপালের আজব শিশু ধরা

মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রে সময় যান-বাহনের খুবই অসুবিধা ছিল। স্থল-পথ ছাড়া জল-পথ দিয়েও লোক যাতায়াত করত। জলপথে বজরাই তখনকার দিয়ে যাতায়াতের একমাত্র উপায়। এক মহিলাকে প্রায়ই দেখা যেত বজরায় উঠতে এবং এদিক ওদিক ঘোরা ফেলা করতে একটি কাপড়ে জড়িয়ে শিশু কোলে করে। শিশুটিকে সর্দ্দি কাশির ভয়ে সব সময় কাপড় জামা দিয়ে জড়িয়ে ঢেকে রাখতেন, কেউ দেখলে মনে … বিস্তারিত পড়ুন

আলো জ্বেলে দেখলেই পারো

একদিন জরুরী দরকারের জন্য গোপালের খুব সকালে উঠেই রাজদরবারে যাবার কথা। সে স্ত্রীকে বলেই ঘুমিয়ে পড়লেন। স্ত্রী যেন তাকে ডেকে দেয় ভোর বেলায়। ভোর হয়নি। স্বামীর ঘুম আগেই ভেঙ্গে গেল। সে বলল, দেখ তো, বাইরে সূর্য উঠল কিনা আমাকে বেরুতে হবে তাড়াতাড়ি। রাজবাড়িতে ভীষণ দরকার। স্ত্রী বললেন “ওমা, বাইরে যে অন্ধকার। কি দেখব?” গোপাল চেচিয়ে … বিস্তারিত পড়ুন

এক সাথে বোনা

একটা লোক কলকাতায় নতুন এসে কচুরি খেয়েছে। বড় আশ্চর্য্ লেগেছে তার, কচুরির ভিতর ডালের পুর দেখে। বাড়ী গিয়ে তার এক বন্ধুকে বললে ‘দ্যাহো বাই! কলকাতার এক দোকানে যে কচুরি খেতাম, ওরার মধ্যি-কেলাই আর ডাল।’ বন্ধু উত্তর দিলে তাও নি-সমজাবার পায়লা হেলা? গম আর কেলাই একসাথে বুনেছালো যে। তাই জন্য কেলাইয়ের মধ্যে ডাল ছিল।

উল্টো হল বাবু

গোপাল একটা নতুন ঘোড়া কিনেছে। গোপাল তাই নিজে সখ করে তার সাজ পরাতে গিয়েছে। নিজের পছন্দমত কোনমতে সাজ এটে দেওয়ার পর, একটা চাকর বলে উঠলো ‘বাবু, সাজ উলটো হলো যে।’ গোপালের নিজের মনেও সন্দেহ হচ্ছিলো যে, তার হয়তো সাজ পরানো ঠিক হয়নি। কিন্তু তাই বলে চাকরে ভূল ধরবে? এ হতেই পারে না। তিনি চটে বললেন … বিস্তারিত পড়ুন

এখন এটা দেখছি ছুচো

এখন বাবা তামাক খাচ্ছেন। গোপাল কলকে পাবার আশায় বসে আছে। গোসাই মাঝে মাঝে এমন জোরে টান দিচ্ছেন যে তাতে গোপালের মনে হচ্ছে, এই বুঝি এবার গোসাইয়ের তামাক খাওয়া শেষ হলো। সে অমনি হাত বাড়াচ্ছে কলকের জন্যে। কিন্তু গোসাই এর তামাক খাওয়া আর শেষ হয় না। শেষে গোসাইবাবা বলে উঠলেন ‘কি হে! বারে বারে বেড়ালের মত … বিস্তারিত পড়ুন

অসুখ সেরে গেছে হুজুর-গোপাল ভাঁড়

গোপালের প্রখরভাবে স্মৃতি-শক্তি ছিল। ভালভাবে বলতে হলে বলা যায় অসাধারণ। তার মনের পর্দায় যেন সবকিছু ছাপা হয়ে যায় অবিকল। হাবভাব এমনকি কথার টুকিটাকিও। সাধারণ মানুষের মধ্যে অমন স্মৃতি শক্তি থাকার কথা নয়। একবার নিশ্চিন্ত পুরের জমিদার ঘোড়ায়ে চড়ে যেতে যেতে ন পাড়ার মোড়ে গোপালকে দেখতে পেয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলেন ‘গোপাল তোমার অসুখ সেরেছে তো?’ গোপাল কোন … বিস্তারিত পড়ুন

উটকো লোক-গোপাল ভাঁড়

গোপাল একবার এক বড় মেলায় বেড়াতে গিয়েছিল। মেলায় গোপাল মেজাজে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। এমন সময় একটা উটকো লোক এসে গোপালকে জড়িয়ে ধরলো, ‘আচ্ছা দাদা, কাশিতে মরলে লোক স্বর্গে যায় আর ব্যাস-কাশীতে মরলে নাকি গাঢ়া হয়। কিন্তু যারা কাশি ও ব্যাসকাশীর ঠিক মাঝখানে মরে, তারা কি হয়? আপনি বলতে পারেন দাদা আমার জানতে ইচ্ছে?’ গোপাল বললেন- তারা … বিস্তারিত পড়ুন

এত বোঝ মা ঠাট্টা বোঝ না-গোপাল ভাঁড়

গোপাল একদিন পাশা খেলতে খেলতে দাতের যন্ত্রণায় ভীষণ কষ্ট পাচ্ছিল। অসম্ভব যন্ত্রণা যাকে বলে। যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে সে শুয়ে পড়ে কাতরাতে কাতরাতে বলতে লাগল, ‘দোহাই খোদা, এ যাত্রায় আমার যন্ত্রণাটা কমিয়ে দাও ……… আমি জোড়া-পাঠা বলি দেব। কিছুক্ষণ পরে মা সৃষ্টিকর্তার কৃপায় তার যন্ত্রণার উপশম হল। সে আবার খোশ-মেজাজে পাশা খেলতে লাগল মনের আনন্দে। গোপালের … বিস্তারিত পড়ুন

এমন অসভ্য- বাঁদর দেখেনি-গোপাল ভাঁড়

গোপাল একবার বরযাত্রী হয়ে বিয়ে বাড়ীতে গিয়েছিল। কনে পক্ষের একজন বয়স্ক-রসিক ব্যক্তি গোপালের সঙ্গে রসিকতা করার উদ্দেশ্যে বললেন, ‘এই যে গোপাল, তুমিও দেখছি বরযাত্রী হয়ে এসেছ। জানো তো আমাদেরে এখানে অনেক বাদর আছে। এখানে বাদরের অত্যাচার ভীষণ। অবশ্য তোমার চেহারাও বাদরের মতো। বাদরদের মধ্যিখানে তোমাকে মানাবে ভাল, কি বলো? বাদর যদি কেউ ইতিপূর্বে না দেখে … বিস্তারিত পড়ুন

কাক পক্ষীতে টের পাবে না-গোপাল ভাঁড়

এক ভদ্রলোক মুর্শিদাবাদের নবাব-দরবারে কাজ করতেন। প্রয়োজনে গোপালকে একবার নবাব দরবারে যেতে হয়েছিল। গোপালকে দেখেই ভদ্রলোক তার হাতে পঞ্চাশটি টাকা দিয়ে বললেন, ‘দাদা, দয়া করে টাকাটা আপনি বাড়ী গিয়ে আমার স্ত্রীর হাতে চুপি-চুপি দেবেন, আমার বাড়ির অন্য কেউ যেন টের না পায়, তাহলে খুব অনর্থ হবে।’ গোপাল টাকাটা ট্যাকে গুজে বললেন, ‘আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন মশায়, … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!