আমি বাড়ি নেই

বাজারে চায়ের দোকানে বসে বেশ রসিয়ে কথা বলছেন হোজ্জা। একপর্যায়ে তিনি গর্ব করে বলেন, ‘জানেন, আমি অনেক অতিথিপরায়ণ।’ কথাটা শুনে দোকানে বসা চতুর লোকটা বললো, ‘তা হোজ্জা সাহেব, আজ দুপুরে তো তাহলে আপনার বাড়িতে আমরা খেতেই পারি।’ হোজ্জা রাজি হয়ে তখনই তাদের খাওয়াতে নিজের বাড়ির পথ ধরলেন। বাড়ির সামনে এসে বললেন, ‘আমি আগে বাসায় গিয়ে … বিস্তারিত পড়ুন

লবণ আর তুলো

‘—হোজ্জা নতুন করে লবণের ব্যবসা শুরু করলেন। তো একদিন সে গাধার পিঠে লবণের বস্তা তুলে বাজারের পথ ধরলেন। গাধাসহ পথে নদী পার হলেন। ওমা, পাড়ে ওঠে দেখেন নদীর পানিতে ধুয়ে লবণের বস্তা পুরো ফাঁকা! মহা বিরক্ত হলেন হোজ্জা। অন্যদিকে পিঠের ভার কমে যওয়ায় খুব খুশি তার গাধা। —ক’দিন পরে গাধার পিঠে বস্তাসহ হোজ্জা ফের সেই … বিস্তারিত পড়ুন

অভিযোগ নাই

বিবির পিড়াপিড়িতে নাসিরুদ্দিন একটা গরু কিনল। কিন্তু গরু ও গাধার জন্য গোয়াল ঘরে পর্যাপ্ত যায়গা না থাকায়, একটা ঘুমালে আরেকটাকে দাড়িয়ে থাকতে হতো। প্রিয় গাধার এই দুরবস্থা দেখে হোজ্জা একদিন খোদার কাছে প্রার্থনা করছে, “হে আল্লাহ, দয়া করে গরুটাকে মেরে ফেল যাতে আমার গাধাটা একটু আরাম করে ঘুমাইতে পারে” । পরদিন সকালে সে গোয়াল ঘরে … বিস্তারিত পড়ুন

গায়ের জামা

হোজ্জার বাড়িতে এক বন্ধু এসেছেন বেড়াতে। সন্ধ্যায় প্রতিবেশীদের সাথে পরিচয় করাতে নিয়ে যাওয়ার সময় হোজ্জা নিজের একটি ভাল পোশাক ধার দিলেন। প্রথম বাড়িতে হোজ্জাকে বন্ধুকে পরিচয় করিয়ে দেবার সময় এও জানালেনঃ “এঁর গায়ে যে পোশাকটি দেখছেন, তা আসলে আমার।” সেখান থেকে বেরিয়ে বন্ধু মহা ক্ষ্যাপা। “কী দরকার ছিল ওটা বলে আমাকে অপমান করার?” হোজ্জা ক্ষমা … বিস্তারিত পড়ুন

আঙুর বিক্রেতা হোজ্জা

হোজ্জা বাজারে বসেছেন আঙুর বিক্রেতা হিসেবে। এক বন্ধুকে দেখে তার কাছেই আঙুর বেচতে চাইলেন। কিন্তু, বন্ধু বললেন যে, তার কাছে টাকা নেই। হোজ্জা উদার মানুষ। বললেন, “আপনি বন্ধু মানুষ। টাকা পরে দিলেও চলবে। দুটো আঙুর মুখে দিয়ে দেখুন, মধুর মত মিষ্টি।” বন্ধু অপারগতা জানিয়ে বললেন যে, তিনি রোজাদার। হোজ্জার জিজ্ঞাস্য, রোজার মাস আসতে এখনো দুই … বিস্তারিত পড়ুন

ঋণং কৃত্বা

মহাভারতে ধর্ম বকের ক্যুইজের উত্তরে যুধিষ্ঠির বলেছিলেন, যার কোনো ঋণ নেই সেই প্রকৃত সুখী। দ্বাপর যুগের সে সব ফিলজফি এই ঘোর কলিতে স্বাভাবিক ভাবেই অচল। বরং ঋণং কৃত্বা ঘৃতং পিবেৎ আজকের ফ্যাশান! ক্রেডিট কার্ড বা লোনদাতাদের রমরমা থেকেই তা মালুম হয় বেশ। অবশ্য কিছু খলিফা মানুষ আছেন যাঁরা ধার করারও ধার ধারেন না। দিব্যি খোশমেজাজে … বিস্তারিত পড়ুন

কে আগে শূলে যাইবে

গুরু-শিষ্য নানা দেশে ঘুরিয়া বেড়ায়।ঘুরিতে ঘুরিতে তাহারা এক নূতন দেশে আসিল।গুরু শিষ্যকে চার খানা পয়সা দিয়া বাজার করিতে পাঠাইল। কিছুক্ষণ পরে মুটের মাথায় এক প্রকাণ্ড বোঝা চাপাইয়া শিষ্য আসিয়া উপতিত।সেই বোঝার মধ্যে চাল, দাল,ঘি,তেল,মাছ, মাংশ,সন্দেশ,রসগোল্লা আরও কত কি? গুরু আশ্চয হইয়া শিষ্য কে জিজ্ঞাসা করিল।“মাত্র চার আনার বাজার করিতে দিয়াছিলাম,এত জিনিস কি করিয়া কিনিলে, শিষ্য … বিস্তারিত পড়ুন

ঘুঘু দেখেছ,ফাঁদ দেখনি

বাপ মরিয়া গিয়াছে। ঘুঘু আর ফাঁদ দুই ভাই। কি একটা কাজে দুই ভাইয়ের লাগিল মারামারি। ফাঁদ রাগিয়া বলিল,“তুই ঘুঘু দেখিয়াছিস কিন্তু ফাঁদ দেখিস নাই।” ঘুঘু গোসা করিয়া বাড়ি হইতে পালিয়া গেল।বিদেশে যাইয়া সে এ বাড়ি সে বাড়ি,কত বাড়ি ঘুরিল।আমি ধান নিড়াইতে পারি- পাট কাটিতে পারি-গরুর হেফাজত করিতে পারি কিন্তু কার চাকর কে রাখে! দেশে বড় … বিস্তারিত পড়ুন

কোন দেশে বোকা নাই

চাষীর একটি মাত্র মেয়ে।বড়ই আদরের।মেয়েটি একদিন বসিয়া বসিয়া ভাবিতেছে,তাঁর জেন বিবাহ হইল।তার পর একটি সুন্দর ফুটে ফুটে ছেলে হইল।হঠাৎ জ্বর হইয়া ছেলিটি মারা গেল।জেই এই কথা ভাবা এমনি মেয়েটি আছাড়ি পাছাড়ি করিয়া কাঁদিতে লাগিল,“ওরে আমার সোনারে!ওরে আমার মানিকরে!তুই আমাকে ছাড়িয়া কোথায় গেলিরে।” মেয়ের মা আসিয়া মেয়কে জিজ্ঞাসা করে,“খুকি!তুই কেন কাদিতেছিস বল।মেয়ে যখন মাকে সকল কথা … বিস্তারিত পড়ুন

কিছুমিছু

বড় ভাই হরি শ্বশুরবাড়ি যায়। সেখানে কত খাতির-আদর। এটা-ওটা খাইয়া আসিয়া নানারকম গাল-গল্প করে।ছোট ভাই নেপাল শুনিয়া মুখ কাঁচুমাচু করে।তার তো বিবাহ হয় নাই।কে তাহাকে খাতির-যত্ন করিবে। সে দিন নেপাল যাইয়া বড় ভাই হরিকে বলিল, “দাদা, প্রতিবার পূজাই তুমি শ্বশুর বাড়ি যাও। কত কি খাইয়া আস, এবার তোমার বদলে আমি যাব!” বড় ভাই বলিল, আচ্ছা … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!