চাপাবাজি কোচিং সেন্টার ।। শাহ আলম

কোচিং সেন্টারের অভাব নেই ঢাকা শহরে। কিন্তু চাপাবাজি কোচিং সেন্টারের নাম একবারও শোনেননি পল্টু মামা। ভাগনে লাল্টুর কাছে প্রথম শুনলেন এই নাম। বললেন, ভাগনে, সত্যি বলছিস তো? নাকি গুল মারছিস? লাল্টু পোকা খাওয়া দাঁত বের করে হাসতে হাসতে বলল, কী বলছ মামা, মিথ্যে বলব কেন? আমাদের নাখালপাড়ার সবাই তো চাপাবাজি কোচিং সেন্টারের নাম জানে। পল্টু … বিস্তারিত পড়ুন

খুঁত ধরা ছেলে

বিলাতে চারিটি ভাই একদিন এক জায়গায় বসিয়া কথাবার্তা কহিতেছিলেন। তাহাদের আলাপের বিষয়, কে কি করিবে। সকলেরই মনে ইচ্ছা, একটা কিছু হওয়া চাই। সকলের ‘একটা কিছু’ত আর একরকম হয় না। তাই চার ভাই চাররকম কথা বলিল। একজন বলিল-‘আমি ইঁটের কারবার করিব। তাহাতে টাকা হইবে, আর ইঁট দিয়া আমার একখানা বাড়ি করিব।’ আর-একজন বলিল-‘দূর হ, তোর নেহাত … বিস্তারিত পড়ুন

আখের ফল-উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

শিয়াল পণ্ডিত আখ খেতে বড় ভালবাসে, তাই সে রোজ আখ ক্ষেতে যায়। একদিন সে আখের ক্ষেতে ঢুকে একটি ভিমরুলের চাক দেখতে পেল। ভিমরুলের চাক সে আগে কখনো দেখেনি, সে মনে করল ওটা বুঝি আখের ফল। শিয়াল কিনা পণ্ডিত মানুষ, তাই সে আখকে বলে ‘ইক্ষু’, ক্ষেতকে বলে ‘ক্ষেত্র’, লাঠিকে বলে ‘দণ্ড’,। ভিমরুলের চাক দেখে সে বললে, … বিস্তারিত পড়ুন

উকুনে-বুড়ির কথা-উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

এক যে ছিল উকুনে-বুড়ি, তার মাথায় বড্ড ভয়ানক উকুন ছিল। সে যখন তার বুড়োকে ভাত খেতে দিতে যেন তখন ঝরঝর করে সেই উকুন বুড়োর পাতে পড়ত। তাইতে সে একদিন রেগে গিয়ে, ঠাঁই করে বুড়িকে এক ঠেঙার বাড়ি মারলে। তখন বুড়ি ভাতের হাঁড়ি আছড়ে গুঁড়ো করে রাগের ভয়ে সেই যে নদীর ধার দিয়ে চলে গেল, আর … বিস্তারিত পড়ুন

কাজির বিচার-উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

রামকানাই ভাল মানুষ-নেহাত গোবেচারা। কিন্তু ঝুটারাম লোকটি বেজায় ফন্দিবাজ। দুইজনে দেখা-শোনা আলাপ-সালাপ হল। ঝুটরাম বললে, ‘ভাই দুজনেই বোঝা বয়ে কামকা কষ্ট পাই কেন? এই নাও, আমার পুঁটলিটাও তোমায় দিই-এখন তুমি সব বয়ে নাও। ফিরবার সময় আমি বইব। ‘রামকানাই ভালমানুষের মত দুজনের বোঝা ঘাড়ে বয়ে চলল। গ্রামের কাছে এসে তাদের খুব খিদে পেয়েছে। রামকানাই বলল, ‘এখন … বিস্তারিত পড়ুন

কুঁজো আর ভূত-উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

কানাই বলে একটি লোক ছিল, তার পিঠে তার পিঠে ছিল ভয়ঙ্কর একটা কৃঁজ। বেচারা বড্ড ভালমানুষ ছিল, লোকের অসুখ-বিসুখে ওষুধপত্র দিয়ে তাদের কত উপকার করত। কিন্তু কুঁজো বলে তাকে কেউ ভালবাসত না। কানাইয়ের ঝুড়ির দোকান লোক ছিল। আর কোনো ঝুড়িওয়ালা তার মত ঝুড়ি বুনতে পারত না। তারা তাকে ভারি হিংসা করত, আর তার নামে যা-তা … বিস্তারিত পড়ুন

কুঁজো বুড়ি

এক যে ছিল কুঁজো বুড়ি। সে লাঠি ভর দিয়ে কুঁজো হয়ে চলত, আর তার মাথাটা খালি ঠক-ঠক করে নড়ত। বুড়ির দুটো কুকুর ছিল। একটা নাম রঙ্গা, আর একটার নাম ভঙ্গা। বুড়ি যাবে নাতনীর বাড়ি, তাই কুকুর দুটোকে বললে, ‘তোরা যেন বাড়ি থাকিস, কোথাও চলে টলে যাসনে।’ রঙ্গা-ভঙ্গা বললে, ‘আচ্ছা’। তারপর বুড়ি লাঠি ভর দিয়ে, কুঁজো … বিস্তারিত পড়ুন

কহেন গুণীজন… || কাজী মোস্তাক গাউসুল হক শরীফ

নিয়মিত ঘুম বৃদ্ধ বয়সকে দূরে সরিয়ে রাখে। বিশেষ করে ড্রাইভিংয়ের সময় নিয়মিত ঘুম বৃদ্ধ বয়সকে চিরতরে দূরে সরিয়ে রাখে। একটা সন্তান থাকলে আপনি হবেন পিতা। আর দুটো থাকলে হবেন রেফারি। বিয়ে এমন একটি সম্পর্ক যেখানে দু’জন মানুষ থাকে। তাদের মধ্যে একজন কখনোই ভুল করেন না। আর অন্যজন হচ্ছেন স্বামী। আমার মনে হয়, আমাদের সবারই উচিত … বিস্তারিত পড়ুন

শাশুড়ি সমাচার || কাজী মোস্তাক গাউসুল হক শরীফ

শাশুড়িদের নিয়ে পাশ্চাত্যে বেশকিছু কৌতুক প্রচলিত আছে। শাশুড়িকে পছন্দ করুক আর না-ই করুক, কৌতুকগুলো কিন্তু সবাই পছন্দ করেন। সম্প্রতি আমার পছন্দের কৌতুকের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে এ কৌতুকটি_ এক ভদ্রলোক বউ আর শাশুড়িকে নিয়ে গিয়েছেন জেরুজালেম শহরে বেড়াতে। যাওয়ার ক’দিনের মধ্যে বিনা মেঘে বজ্রপাত, শাশুড়ি আগাম কোনো নোটিশ না দিয়েই ওয়ান ওয়ে টিকিটে পরপারে যাত্রা … বিস্তারিত পড়ুন

গাধার দাম লাখ টাকা || মোহসেনা জয়া

বউয়ের সঙ্গে ঝগড়া করে রাস্তায় হাঁটছেন এক ভদ্রলোক। হাঁটতে হাঁটতে একটা আবাসিক এলাকায় ঢুকলেন। শরীরে ক্লান্তিবোধ নেমে আসায় বসলেন চায়ের দোকানে। চা নিয়ে চুমুক দিতেই হৈহল্লা শুনতে পেলেন। খরগোশের মতো কান খাড়া করে কিছু বুঝতে চেষ্টা করলেন। কিন্তু না। তিনি তো মানুষ! খরগোশ হলে হয়তো বুঝতে পারতেন কিছু একটা। কোনো কথা না বলে তিনি চায়ে … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!