টুনটুনি আর বিড়ালের কথা–উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

গৃহস্থের ঘরের পিছনে বেগুন গাছ আছে। সেই বেগুণ গাছের পাতা ঠোঁট দিয়ে সেলাই করে টুনটুনি পাখিটি তার বাসা বেঁধেছে। বাসার ভিতর তিনটি ছোট্ট-ছোট্ট ছানা হয়েছে। খুব ছোট্ট ছানা, তারা উড়তে পারে না, চোখও মেলতে পারে না। খালি হাঁ করে আর চীঁ-চীঁ করে। গৃহস্থের বিড়ালটা ভারি দুষ্টু। সে খালি ভাবে ‘টুনটুনির ছানা খাব।’ একদিন সে বেগুন … বিস্তারিত পড়ুন

নরহরি দাস–উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

যেখানে মাঠের পাশে বন আছে, আর বনের ধারে মস্ত পাহাড় আছে, সেইখানে, একটা গর্তের ভিতরে একটি ছাগলছানা থাকত। সে তখনো বড় হয়নি, তাই গর্তের বাইরে যেতে পেত না। বাইরে যেতে চাইলেই তার মা বলত, ‘যাসনে! ভালুকে ধরবে, বাঘে নিয়ে যাবে, সিংহে খেয়ে ফেলবে!’ তা শুনে তার ভয় হত, আর সে চুপ করে গর্তের ভিতরে বসে … বিস্তারিত পড়ুন

পান্তাবুড়ির কথা–উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

এক যে ছিল পান্তাবুড়ি, সে পান্তাভাত খেতে বড্ড ভালোবাসত। এক চোর এসে রোজ পান্তাবুড়ির পান্তাভাত খেয়ে যায়, তাই বুড়ি লাঠি ভর দিয়ে রাজার কাছে নালিশ করতে চলল। পান্তাবুড়ি পুকুর ধার দিয়ে যাচ্ছিল। একটা শিঙিমাছ তাকে দেখতে পেয়ে বললে,‘ পান্তাবুড়ি, কোথায় যাচ্ছ?’ পান্তাবুড়ি বললে, ‘চোরে আমার পান্তাভাত খেয়ে যায়, তাই রাজার কাছে নালিশ করতে যাচ্ছি!’ শিঙিমাছ … বিস্তারিত পড়ুন

আয়না হলো কাল

ছোট শিশু।ছোট বেলায় মারা গিয়াছে তার বাবা।বড় হয়ে অন্যদের বাবা দেখে তার নিজের বাবার কথা মনে পড়ে যায়।জানত না সে বাবার অবয়ব কেমন ছিল।তাই এক দিন মাকে জিজ্ঞাসা করল,মা!আমার বাবা দেখতে কেমন ছিল।তার মা গঠন আকৃতি বর্ননা করলেন।ছেলে টি আস্তে আস্তে বড় হলেন।একদিন সে আয়না চেহারার সামনে নিলে তার মায়ের বর্ননাকৃত চেহারা আয়নার সামনে ভেসে … বিস্তারিত পড়ুন

কাণ্ড কারখানা —মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

মস্ত এক কারখানা ছিল। সেখানে একদিন এক কাণ্ড হল।একে বারে জাকে বলা যায় কাণ্ড কারখানা।কারখানার ম্যানেজার যে ঘরে বসে,তার দক্ষিনে একটুকরো ফাঁকা জমি আছে।জমিটি কোন কাজে লাগে না।কাজে লাগানো হয়নি।দরকার হয় না।তাছাড়া সাহেব একটু আলো বাতাসও পাবে। দু,চারটে ফুলগাছ লাগাবার ইচ্ছা ছিল।লাগানোও হয়েছিল।কিন্তু সাহেবের এদিকের কোন শখ নেই।তাই ছোট ছোট কয়েকটি বিলেতি ফুলের চারা ছিল … বিস্তারিত পড়ুন

তারপর?–উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

এক যে রাজা; তার ভারি গল্প শোনার শখ। কিন্তু তা থাকলে কি হয়, রাজামশাইকে কেউ গল্প শুনিয়ে খুশি করতে পারে না। রাজামশাই বলরেন, ‘যে আমাকে গল্প গুনিয়ে খুশি করতে পারবে, তাকে আমার অর্ধেক রাজ্য দিব, না পারলে কান কেটে নিব’। তা শুনে দেশ বিদেশের কত ভারি ভারি নামজাদা গল্পওয়ালা কোমর বেঁধে গোঁফে তা দিয়ে গল্পের … বিস্তারিত পড়ুন

পণ্ডিতের কথা–উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধূরী

সেই যে হবুচন্দ্র গবুচন্দ্র মন্ত্রী ছিল, সেই হবুচন্দ্র রাজার একটা ভারি জবর পণ্ডিতও ছিল। তার এতই বুদ্ধি ছিল যে, তার পেটে অত বুদ্ধি ধরত না। তাই তাকে দিন রাত নাকে কানে তুলোর ঢিপ্‌লী গুঁজে বসে থাকতে হত, নইলে বুদ্ধি বেরিয়ে যেত। তুলোর ঢিপ্‌লী গুঁজত বলে নাম হয়েছিল ‘ঢিপ্‌লী’ পণ্ডিত। একদিন হয়েছি কি, হবুচন্দ্রের দেশের জেলেরা … বিস্তারিত পড়ুন

একটি কাক ও লাল কুকুরের গল্প

অনেকক্ষণ ধরে রাস্তার পাশের টং এর দোকানের চারপাশে অপেক্ষা করছে তিনটে ক্ষুধার্ত কাক। দোকানের ভেতর থেকে কেউ যদি দয়াপরবশ হয়ে রুটি কিংবা বিস্কুটের টুকরো ছুঁড়ে দেয়! কাকাগুলো এই আশায় অপেক্ষা করছে ভোর সকাল থেকে। কিন্তু ,আজ ওদের প্রতি মনে হয়, ভাগ্যদেবী সুপ্রসন্ন নয়। প্রায় সকাল গড়িয়ে দুপুর হতে চললো কিন্তু ভাগ্যে এখনো জোটেনি কিছুই। তারপরও … বিস্তারিত পড়ুন

নির্বোধ

এক লোক ডাক্তারের নিকট শরীরের দুর্বলতার কথা বলতে ডাক্তার তাকে একটা দুর্বলতা কাটানোর জন্য একটা সিরাপ দিলেন,এবং ফাইলের উপর সাদা কাগজ দিয়ে দাগ করে খতে বললেন।লোকটা রোজ ফাইলের উপর সাদা কাগজ গুলো এক দাগ করে খেতে লাগলো,এভাবে সব সাদা কগজ খেয়ে সাবার।কিছুদিন পরে ডাক্তারের নিকট গিয়ে বলল,ডাক্তার সাহেব দাগ তো সব খেয়েছি। কিন্তু দুর্বলতা তো … বিস্তারিত পড়ুন

ট্রেন

এক বোকা লোক কিভাবে বাড়ি যাবে,তার পরামর্শ চাইল এক পথচারির নিকট।পথচারিরঃআপনি কোথায় জাবেন? বোকাঃজামালপুর। পথচারিঃতাহলে আপনি ট্রেনে যান ট্রেনেই সুবিধা। বোকাঃট্রেন দেখতে কেমন?আমি তো ট্রেন চিনি না। পথচারিঃট্রেন হল যার উপর দিয়ে ধোঁয়া ছাড়ে,নিচ দিয়ে পানি পড়ে,জপতে জপতে যাচ্ছে।রাস্তার পাশে এক লোক সিগারেট মুখেদিয়ে প্রসাব করছে,কিছুক্ষণ পরপর হা করে ধোয়ার গোলা ছাড়ছে,নিচেদিয়ে পানি ছাড়ছেই। বোকাঃ … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!