চড়াই আর বাঘের কথা–উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

গৃহস্থের ঘলের কোণে একটি হাঁড়ি ঝোলানো ছিল, তার ভিতরে চড়াই-চড়নী থাকত। একদিন চড়াই বললে, ‘চড়নী, আমি পিঠে খাব।’ চড়নী বললে, ‘পিঠের জিনিসপত্র এনে দাও, পিঠে গড়ে দেব এখন।’ চড়াই বললে, ‘কি জিনিস লাগবে?’ চড়নী বললে, ‘ময়দা লাগবে, গুড় লাগবে, কলা লাগবে, দুধ লাগবে, কাঠ লাগবে।’ চড়াই বললে, ‘আচ্ছা আমি সব এনে দিচ্ছি।’ বলে সে বনের … বিস্তারিত পড়ুন

টুনটুনি আর নাপিতের কথা–উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

টুনটুনি গিয়েছিল বেগুন পাতায় বসে নাচতে। নাচতে-নাচতে খেল বেগুন কাঁটায় খোঁচা। তাই থেকে তার হল মস্ত বড় ফোঁড়া। ও মা, কি হবে? এত বড় ফোঁড়া কি করে সারবে? টুনটুনি একে জিগগেস করে, তাকে জিগগেস করে। সবাই বলরে, ‘ওটা নাপিত দিয়ে কাটিয়ে ফেল।’ তাই টুনটুনি নাপিতের কাছে গিয়ে বললে, নাপিতদাদা, নাপিতদাদা, আমার ফোঁড়াটা কেটে দাও না!’ … বিস্তারিত পড়ুন

টুনটুনি আর বিড়ালের কথা–উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

গৃহস্থের ঘরের পিছনে বেগুন গাছ আছে। সেই বেগুণ গাছের পাতা ঠোঁট দিয়ে সেলাই করে টুনটুনি পাখিটি তার বাসা বেঁধেছে। বাসার ভিতর তিনটি ছোট্ট-ছোট্ট ছানা হয়েছে। খুব ছোট্ট ছানা, তারা উড়তে পারে না, চোখও মেলতে পারে না। খালি হাঁ করে আর চীঁ-চীঁ করে। গৃহস্থের বিড়ালটা ভারি দুষ্টু। সে খালি ভাবে ‘টুনটুনির ছানা খাব।’ একদিন সে বেগুন … বিস্তারিত পড়ুন

নরহরি দাস–উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

যেখানে মাঠের পাশে বন আছে, আর বনের ধারে মস্ত পাহাড় আছে, সেইখানে, একটা গর্তের ভিতরে একটি ছাগলছানা থাকত। সে তখনো বড় হয়নি, তাই গর্তের বাইরে যেতে পেত না। বাইরে যেতে চাইলেই তার মা বলত, ‘যাসনে! ভালুকে ধরবে, বাঘে নিয়ে যাবে, সিংহে খেয়ে ফেলবে!’ তা শুনে তার ভয় হত, আর সে চুপ করে গর্তের ভিতরে বসে … বিস্তারিত পড়ুন

পান্তাবুড়ির কথা–উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

এক যে ছিল পান্তাবুড়ি, সে পান্তাভাত খেতে বড্ড ভালোবাসত। এক চোর এসে রোজ পান্তাবুড়ির পান্তাভাত খেয়ে যায়, তাই বুড়ি লাঠি ভর দিয়ে রাজার কাছে নালিশ করতে চলল। পান্তাবুড়ি পুকুর ধার দিয়ে যাচ্ছিল। একটা শিঙিমাছ তাকে দেখতে পেয়ে বললে,‘ পান্তাবুড়ি, কোথায় যাচ্ছ?’ পান্তাবুড়ি বললে, ‘চোরে আমার পান্তাভাত খেয়ে যায়, তাই রাজার কাছে নালিশ করতে যাচ্ছি!’ শিঙিমাছ … বিস্তারিত পড়ুন

আয়না হলো কাল

ছোট শিশু।ছোট বেলায় মারা গিয়াছে তার বাবা।বড় হয়ে অন্যদের বাবা দেখে তার নিজের বাবার কথা মনে পড়ে যায়।জানত না সে বাবার অবয়ব কেমন ছিল।তাই এক দিন মাকে জিজ্ঞাসা করল,মা!আমার বাবা দেখতে কেমন ছিল।তার মা গঠন আকৃতি বর্ননা করলেন।ছেলে টি আস্তে আস্তে বড় হলেন।একদিন সে আয়না চেহারার সামনে নিলে তার মায়ের বর্ননাকৃত চেহারা আয়নার সামনে ভেসে … বিস্তারিত পড়ুন

কাণ্ড কারখানা —মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

মস্ত এক কারখানা ছিল। সেখানে একদিন এক কাণ্ড হল।একে বারে জাকে বলা যায় কাণ্ড কারখানা।কারখানার ম্যানেজার যে ঘরে বসে,তার দক্ষিনে একটুকরো ফাঁকা জমি আছে।জমিটি কোন কাজে লাগে না।কাজে লাগানো হয়নি।দরকার হয় না।তাছাড়া সাহেব একটু আলো বাতাসও পাবে। দু,চারটে ফুলগাছ লাগাবার ইচ্ছা ছিল।লাগানোও হয়েছিল।কিন্তু সাহেবের এদিকের কোন শখ নেই।তাই ছোট ছোট কয়েকটি বিলেতি ফুলের চারা ছিল … বিস্তারিত পড়ুন

জব্দ হলো নাপিত

বাগদাতের খলিফা ছিলেন তখন হারুনুর রশীদ। ন্যায্য দাবি বিবেচক ইনছাপগার বলে তার সারা বাগদাতে খ্যাতি ছিল।একবার এক কাঠুরে গাধার পিঠে কাঠের বোঝা চাপিয়ে শহরে যাচ্ছিল।সে গুলো বিক্রি করার পথে একটা নাপিত তাকে ডাকল।বাড়ির রান্নার কাজের জন্য তার একটা নাকড়ির দরকার ছিল।কাঠুরের সাথে তার দামদস্তর হলো।কাঠুরে গাধার পিট থেকে কাঠ নামিয়ে নাপিতের দোকানের সামনে রেখে দাম … বিস্তারিত পড়ুন

চোর ধরা

এক কৃষকের বাড়িতে এক মুসাফির এসে আশ্রয় নিল।অন্ধকারে মুসাফিরকে কেউ ভাল করে চিনতে পারি নি।মুসাফির যে ঘরে ঘুমাচ্ছিল,সে ঘরের সিদ কেটে এক কৃষকের জিনিস নিতে চাইলো।মুসাফির চোর কে বাঁধাদিল।তাদের ধস্তাধস্তিতে বাড়ির সবাই ছুটে এলো।চোরটি বলতে লাগল,এই লোকটি বাড়ির জিনিসপত্র নিতে চাইলে আমি বাধা দিয়েছি।মুসাফির বলল,না সে চোর।এসব জিনিস চুরি করতে এসেছিল। এভাবে এক জন অন্য … বিস্তারিত পড়ুন

হাবলু

হাবলু গ্রামে থাকে।গ্রামের লোকেরা তাকে বোকা বলে জানে।বিয়ে হয়েছে কয়েক যুগ আগে।মজার ব্যাপার হল,বিয়ের দিনেই শুধু শ্বশুর বাড়ি জাওয়া হয়েছিল।একদিন হঠাৎ বাবলুর ঘাড়ে শ্বশুর বাড়ি যাবার ভুত চাপলো।সে ভাবল,হঠাৎ যদি মরে যাই তাহলে আর কোন দিন শ্বশুর বাড়ি জাওয়া হবে না।হাবলু শ্বশুর বাড়ির পথও চিনে না।তাই মায়ের কাছ থেকে পথ ঘাটের কথা শুনে বের হয়ে … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!