বাঘের রাঁধুনি

এক বাঘের বাঘিনী মরে গিয়েছিল। মরবার সময় বাঘিনী বলে গিয়েছিল, ‘আমার দুটো ছানা রইল, তাদের তুমি দেখো।’ বাঘিনী মরে গেলে বাঘ বললে, ‘আমি কি করে বা ছানাদের দেখব, কি করে বা ঘরকন্না করব।’ তা শুনে অন্য বাঘেরা বললে, ‘আবার একটা বিয়ে কর, তাহলে সব ঠিক হয়ে যাবে।’ বাঘও ভাবলে, ‘একটা বিয়ে করলে হয়। কিন্ত আর … বিস্তারিত পড়ুন

শিয়াল পণ্ডিত–উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

কুমির দেখলে, সে শিয়ালের সঙ্গে কিছুতেই পেরে উঠছে না। তখন ভাবলে, ‘ ও ঢের লেখাপড়া জানে, তাতেই খালি আমাকে ফাঁকি দেয়। আমি মূর্খ লোক, তাই তাকে আঁটতে পারি না।’ অনেকক্ষণ ভেবে কুমির ঠিক করল যে, নিজের সাতটা ছেলেকে শিয়ালের কাছে দিয়ে খুব করে লেখাপড়া শেখাতে হবে। তার পরের দিনই সে ছানা সাতটাকে সঙ্গে করে শিয়ালের … বিস্তারিত পড়ুন

বোকা কুমিরের কথা–উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

কুমির আর শিয়াল মিলে চাষ করতে গেল। কিসের চাষ করবে? আলুর চাষ। আলু হয় মাটির নীচে। তার গাছ থাকে মাটির উপরে, তা দিয়ে কোনো কাজ হয় না। বোকা কুমির সে কথা জানতো না। সে ভাবলে বুঝি আলু তার গাছের ফল। তাই সে শিয়ালকে ঠকাবার জন্য বললে, ‘গাছের আগার দিক কিন্ত আমার, আর গোড়ার দিক তোমার।’ … বিস্তারিত পড়ুন

মিস্‌মিদের কবচ-প্রথম পরিচ্ছেদ

শ্যামপুর গ্রামে সেদিন নন্দোৎসব। শ্যামপুরের পাশের গ্রামে আমার মাতুলালয়। চৌধুরী-বাড়ির উৎসবে আমার মামার বাড়ির সকলের সঙ্গে আমারও নিমন্ত্রণ ছিল—সুতরাং সেখানে গেলাম। গ্রামের ভদ্রলোকেরা একটা শতরঞ্জি পেতে বৈঠকখানায় বসে আসর জমিয়েচেন। আমার বড় মামা বিদেশে থাকেন, সম্প্রতি ছুটি নিয়ে দেশে এসেচেন—সবাই মিলে তাঁকে অভ্যর্থনা করলে। —এই যে আশুবাবু, সব ভালো তো? নমস্কার! —নমস্কার। একরকম চলে যাচ্ছে—আপনাদের … বিস্তারিত পড়ুন

মিস্‌মিদের কবচ-তৃতীয় পরিচ্ছেদ

তারপর গাঙ্গুলিমশায়ের বাড়ি গেলাম। গিয়ে দেখি, যেখানটাতে গাঙ্গুলিমশায়ের বাড়ি—তার দু’দিকে ঘন-জঙ্গল। একদিকে দূরে একটা গ্রাম্য কাঁচা রাস্তা, একদিকে একটি হচ্ছে বাড়ি। আমি গাঙ্গুলিমশায়ের ছেলের কথা জিগ্যেস করে জানলাম, সে এখনও মহকুমা থেকে ফেরে নি। তবে একটি প্রৌঢ়ার সঙ্গে দেখা হলো—শুনলাম তিনি গাঙ্গুলিমশায়ের আত্মীয়া। তাঁকে জিগ্যেস করলাম—গাঙ্গুলিমশায়কে শেষ দেখেছিলেন কবে? —বুধবার। —কখন? —বিকেল পাঁচটার সময়। —কিভাবে … বিস্তারিত পড়ুন

মিস্‌মিদের কবচ-চতুর্থ পরিচ্ছেদ

সেদিনই আমার সঙ্গে গাঙ্গুলিমশায়ের ছেলে শ্রীগোপালের দেখা হলো। সে তার পিতার দাহকার্য শেষ করে ফিরে আসছে কাছাগলায়। আমি তাকে আড়ালে ডেকে নিজের প্রকৃত পরিচয় দিলাম। শ্রীগোপালের চোখ দিয়ে দর্‌দর্ করে জল পড়তে লাগলো। সে আমাকে সব-রকমের সাহায্য করবে প্রতিশ্রুতি দিলে। আমি বললাম—কারও ওপর আপনার সন্দেহ হয়? —কার কথা বলব বলুন। বাবার একটা দোষ ছিল, টাকার … বিস্তারিত পড়ুন

মিস্‌মিদের কবচ–ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

পরদিন থানায় গিয়ে দারোগাবাবুর সঙ্গে দেখা করে আমার পরিচয় দিলাম। তিনি আমায় সমাদর করে বসালেন—আমায় বললেন, তাঁর দ্বারা যতদূর সাহায্য হওয়া সম্ভব তা তিনি করবেন। আমি বললাম—আপনি এ-সম্বন্ধে কিছু তদন্ত করেচেন? —তদন্ত করা শেষ করেচি। তবে, আসামী বার-করা ডিটেকটিভ ভিন্ন সম্ভব নয় এক্ষেত্রে। —ননী ঘোষকে আমার সন্দেহ হয়। —আমারও হয়, কিন্তু ওর বিরুদ্ধে প্রমাণ সংগ্রহ … বিস্তারিত পড়ুন

তাবিজ মহিমা-শ্রীক্ষিতীন্দ্র নারায়ন ভট্টাচার্য-২য় পর্ব

পরল দেহি আতটা”-বলে সোমেশের হাতটা টানিয়া লইলেন।হঃমঙ্গল বৃস্পতিবার-হঃঠিক আছে।উদ্দু রাহাটা দেহি?এ এই খানে একটু-তাবিজ দিয়া দিমু এখন।আপনেরটা দেখি বাবু মশাই। সিদ্ধেশ্বরের কররেখারও একই রকম ফল দেখা গেল।জ্যোতিষী মাহাশয় একটা কাঠের আলমারি হইতে দুটি তাবিজ বাহির করিলেন এবং সে দুইটি কপালে ঠেকাইয়া বিড় বিড় করিয়া মন্ত্র পড়িতে পড়িতে দুজনের কনুই এর উপরে বাঁধিয়া দিলেন।তারপর কহিলেন,যে দিন … বিস্তারিত পড়ুন

সাক্ষী শিয়াল–উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

একজন সওদাগর একটি ঘোড়া নিয়ে বেড়াতে যাচ্ছিল। যেতে যেতে তার বড্ড ঘুম পেল। তখন সে ঘোড়াটিকে এক গাছে বেঁধে, সে গাছের তলায় ঘুমিয়ে রইল। এমন সময় এক চোর এসে সওদাগরের ঘোড়াটিকে নিয়ে চলে যাচ্ছে। সওদাগর ঘোড়ার পায়ের শব্দে জেগে উঠে বললে, ‘কি ভাই, তুমি আমার ঘোড়াটিকে নিয়ে কোথায় যাচ্ছ?’ চোর তাতে ভারী রাগ করে বললে, … বিস্তারিত পড়ুন

ফিঙে আর কুঁকড়ো–উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

একটা দানব ছিল, তার নাম ছিল ফিঙে। সে দেড়াশো হাত লম্বা শালগাছের ছড়ি হাতে নিযে বেড়াত। আর একটা দানব ছিল, তার নাম কুঁকড়ো। সে ঘুঁষো মেরে লোহার মুগুর থেঁতলা করে দিত। আর যত দানব ছিল, তাদের সকলকেই কুঁকড়ো ঠেঙিয়ে ঠিক করে দিয়েছে, এখন সে ফিঙের সন্ধানে দেশে বিদেশে ঘুরে বেড়ায়। এ কথা শুনে অবধি ফিঙের … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!