ছোটগল্পঃ নকল বীর

দরজা খুলেই চিৎ হয়ে পড়ে গেল সুরুজালি। ’কী হয়েছে, কী হয়েছে’ করতে করতে ছুটে এলো ঘরের লোকজন। সুরুজালি ’বাঘ বাঘ’ বলে আঙুলে ইশারা করতেই সবাই বাইরের দিকে তাকালো। দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে একটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার! কারোর কলজেজুড়ে পানি নেই। সুরুজালিকে ফেলে দেৌড়ে পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গেল তারা। এক মুহূর্ত পরে সুরুজালি মোচড় দিয়ে … বিস্তারিত পড়ুন

রাণুর ঘুঘনিদানা

নাম টি পুরনো হলেও খাবার টি একদম নতুন।আর খেলে কি হয় তাও বলি শোন।রোজ বিকাল হলে পাড়ার মোড় হতে হাঁক শোনা যায়,“চাই ঘুঘনি-ই-ই।আলু-নারকেল গরম ঘুঘনি-ই-ই”তাই শুনে পাড়ার ছেলে মেয়েরা ছুটে আসে।অমনি দেখাযায়,কাধে ময়লা কাপড়ের ঝোলা।গায়ে হাত কাটা ময়লা শাট,খালি পা একটি লোক এক পাশে একটু হেলে,একটু খুড়িয়ে গালি দিয়ে আসছে।লোকটি বাড়ি কোথায় তা তারা জানে … বিস্তারিত পড়ুন

মাখন বিলাসী –আশাপূর্ণা দেবি

এই গল্প টা আমার বানানো নয়,সত্যি গল্প।বলেছিল আমার ভাগ্নে নিত্যহরি।বলেছিল- ভোজন বিলাশি অনেকে থাকে।ভোজনের ব্যাপারে খুঁৎ ঘটলে খুঁৎ-থুঁতুনির এর আস্ত থাকে না তাদের।তেমন তেমন হলে তো মাথায় খুন চেপে যায়।যেমন হয়ে ছিল আমাদের গ্রামের একদর জমিদর বংশধর শ্যাম রতন গাঙ্গুলির।শ্যাম রতন ফাসিতে লটকাবার কারণই তো ওই ভোজন বিলাস। না,ফাসির খাওয়া খেয়ে মরেন নি শ্যামরতন,তেমন স্কুল … বিস্তারিত পড়ুন

মিস্‌মিদের কবচ–নবম পরিচ্ছেদ

সেদিন সন্ধ্যার কিছু আগে আমি মহীন সেকরার সঙ্গে আবার দেখা করতে গেলাম। মহীন আমায় দেখে ভয়ে-ভয়ে একটা টুল পেতে দিল বসবার জন্যে। আমি বললাম—মহীন, একটা সত্যি কথা বলবে? —কি, বলুন ! —তোমার সঙ্গে ননীর ঝগড়া-বিবাদ হয়েছিল কিছুকাল আগে? মহীন আমার দিকে অবাক হয়ে চেয়ে থেকে বললে—ননী বলেচে বুঝি? সব মিথ্যে কথা ওর বাবু, সব মিথ্যে। আমি … বিস্তারিত পড়ুন

মিস্‌মিদের কবচ—একাদশ পরিচ্ছেদ

সেও এক কৃষ্ণপক্ষের গভীর অন্ধকার রাত্রি। মাঝে-মাঝে বৃষ্টি পড়চে আবার থেমে যাচ্চে, অথচ গুমট কাটেনি। আমার ঘরটার উত্তরদিকে একটা মাত্র কাঠের গরাদে দেওয়া জানলা, জানলার সামনাসামনি দরজা। পশ্চিমদিকের দেওয়ালে জানলা নেই—একটা ঘুলঘুলি আছে মাত্র। রাত প্রায় একটা কি তার বেশি। আমার ঘুম আসে নি, তবে সামান্য একটু তন্দ্রার ভাব এসেচে। হঠাৎ বাইরে ঘুলঘুলির ঠিক নিচেই … বিস্তারিত পড়ুন

চিত্রকর-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-১ম পর্ব

ময়মনসিংহ ইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করে আমাদের গোবিন্দ এল কলকাতায় । বিধবা মায়ের অল্প কিছু সম্বল ছিল । কিন্তু , সব চেয়ে তার বড়ো সম্বল ছিল নিজের অবিচলিত সংকল্পের মধ্যে । সে ঠিক করেছিল , ‘ পয়সা’ করবই সমস্ত জীবন উৎসর্গ করে দিয়ে । সর্বদাই তার ভাষায় ধনকে সে উল্লেখ করত ‘ পয়সা ‘ বলে … বিস্তারিত পড়ুন

মিস্‌মিদের কবচ-প্রথম পরিচ্ছেদ

শ্যামপুর গ্রামে সেদিন নন্দোৎসব। শ্যামপুরের পাশের গ্রামে আমার মাতুলালয়। চৌধুরী-বাড়ির উৎসবে আমার মামার বাড়ির সকলের সঙ্গে আমারও নিমন্ত্রণ ছিল—সুতরাং সেখানে গেলাম। গ্রামের ভদ্রলোকেরা একটা শতরঞ্জি পেতে বৈঠকখানায় বসে আসর জমিয়েচেন। আমার বড় মামা বিদেশে থাকেন, সম্প্রতি ছুটি নিয়ে দেশে এসেচেন—সবাই মিলে তাঁকে অভ্যর্থনা করলে। —এই যে আশুবাবু, সব ভালো তো? নমস্কার! —নমস্কার। একরকম চলে যাচ্ছে—আপনাদের … বিস্তারিত পড়ুন

মিস্‌মিদের কবচ-তৃতীয় পরিচ্ছেদ

তারপর গাঙ্গুলিমশায়ের বাড়ি গেলাম। গিয়ে দেখি, যেখানটাতে গাঙ্গুলিমশায়ের বাড়ি—তার দু’দিকে ঘন-জঙ্গল। একদিকে দূরে একটা গ্রাম্য কাঁচা রাস্তা, একদিকে একটি হচ্ছে বাড়ি। আমি গাঙ্গুলিমশায়ের ছেলের কথা জিগ্যেস করে জানলাম, সে এখনও মহকুমা থেকে ফেরে নি। তবে একটি প্রৌঢ়ার সঙ্গে দেখা হলো—শুনলাম তিনি গাঙ্গুলিমশায়ের আত্মীয়া। তাঁকে জিগ্যেস করলাম—গাঙ্গুলিমশায়কে শেষ দেখেছিলেন কবে? —বুধবার। —কখন? —বিকেল পাঁচটার সময়। —কিভাবে … বিস্তারিত পড়ুন

মিস্‌মিদের কবচ-চতুর্থ পরিচ্ছেদ

সেদিনই আমার সঙ্গে গাঙ্গুলিমশায়ের ছেলে শ্রীগোপালের দেখা হলো। সে তার পিতার দাহকার্য শেষ করে ফিরে আসছে কাছাগলায়। আমি তাকে আড়ালে ডেকে নিজের প্রকৃত পরিচয় দিলাম। শ্রীগোপালের চোখ দিয়ে দর্‌দর্ করে জল পড়তে লাগলো। সে আমাকে সব-রকমের সাহায্য করবে প্রতিশ্রুতি দিলে। আমি বললাম—কারও ওপর আপনার সন্দেহ হয়? —কার কথা বলব বলুন। বাবার একটা দোষ ছিল, টাকার … বিস্তারিত পড়ুন

মিস্‌মিদের কবচ–ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

পরদিন থানায় গিয়ে দারোগাবাবুর সঙ্গে দেখা করে আমার পরিচয় দিলাম। তিনি আমায় সমাদর করে বসালেন—আমায় বললেন, তাঁর দ্বারা যতদূর সাহায্য হওয়া সম্ভব তা তিনি করবেন। আমি বললাম—আপনি এ-সম্বন্ধে কিছু তদন্ত করেচেন? —তদন্ত করা শেষ করেচি। তবে, আসামী বার-করা ডিটেকটিভ ভিন্ন সম্ভব নয় এক্ষেত্রে। —ননী ঘোষকে আমার সন্দেহ হয়। —আমারও হয়, কিন্তু ওর বিরুদ্ধে প্রমাণ সংগ্রহ … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!