কুকুরের মালিক- সুকুমার রায়

ভজহরি আর রামচরণের মধ্যে ভারি ভাব। অন্তত, দুই সপ্তাহ আগেও তাহাদের মধ্যে খুবই বন্ধুতা দেখা যাইত। সেদিন বাঁশপুকুরের মেলায় গিয়া তাহারা দুইজন মিলিয়া একটা কুকুরছানা কিনিয়াছে। চমৎকার বিলাতি কুকুর— তার আড়াই টাকা দাম। ভজুর পাঁচসিকা আর রামার পাঁচসিকা— দুইজনের পয়সা মিলাইয়া কুকুর কেনা হইল। সুতরাং দুইজনেই কুকুরের মালিক। কুকুরটাকে বাড়িতে আনিয়াই ভজু বলিল, “অর্ধেকটা কুকুর … বিস্তারিত পড়ুন

অসিলক্ষণ পণ্ডিত – সুকুমার রায়

রাজার সভায় মোটা মোটা মাইনেওয়ালা অনেকগুলি কর্মচারী। তাদের মধ্যে সকলেই যে খুব কাজের লোক, তা নয়। দ’চারজন খেটেখুটে কাজ করে আর বাকি সবাই বসে বসে মাইনে খায়। যারা ফাঁকি দিয়ে রোজগার করে, তাদের মধ্যে একজন আছেন, তিনি অসিলক্ষণ পণ্ডিত। তিনি রাজার কাছে এসে বললেন, তিনি অসিলক্ষণ (আর্থাৎ তলোয়ারের দোষ-গুণ) বিচার করতে জানেন। অমনি রাজা বললেন, … বিস্তারিত পড়ুন

অসুরের দেশ – সুকুমার রায়

যে-জাতি শিল্পে বাণিজ্যে বেশ অগ্রসর, যাহারা লেখাপড়ার চর্চা করে, হিসাব করিয়া পাকা দালান ইমারৎ গাঁথিতে জানে এবং নানারূপ ধাতু ও অস্ত্রশস্ত্রের ব্যবহারে বেশ অভ্যস্ত, মোটের উপর তাহাকে সভ্য জাতি বলা যায়। ইতিহাসের প্রাচীন যুগে যে সকল সভ্য জাতির নাম পাওয়া যায় তাহার মধ্যে একটা জাতির কথা শুনি যাহার নাম অসুর বা আশুর। ইংরাজিতে তাহাকে বলে … বিস্তারিত পড়ুন

আলিপুরের বাগানে – সুকুমার রায়

আলিপুরের চিড়িয়াখানায় আমাদের একটি বন্ধু আছেন। আমরা যখনই আলিপুর যাই, অন্তত একটিবার তাঁর সঙ্গে দেখা করতে ভুলি না। দেখা করবার সময় শুধু হাতে যাওয়াটা ভাল নয়, তাই বন্ধুর জন্য প্রায়ই কিছু উপহার নিয়ে যাই। তিনিও তাঁর সাধ্যমত নানারকম তামাসা কসরত ও মুখভঙ্গী দেখিয়ে আমাদের আপ্যায়িত করেন। অনেকে চিড়িয়াখানায় গিয়ে গোড়া থেকেই বাঘের ঘরটা দেখবার জন্য … বিস্তারিত পড়ুন

আষাঢ়ে হাতি ও রাজার গল্প– সুকুমার রায়

বাইরে তখন বৃষ্টি পড়ছিল। মা শেয়াল তার একপাল ছানাপোনা নিয়ে বসে আছে গুহার ভিতর। মাঝে মাঝে বৃষ্টির ছাঁট এসে ঢুকছিল গুহার ভিতর। কারণ গুহাটা খুব একটা বড় নয়। কোনো রকমে ঠেলেঠুলে ওরা ছয়টা প্রাণী আশ্রয় নিয়েছে। মা শেয়াল বসেছিল গুহার একেবারে মুখের কাছে, যাতে বৃষ্টির পানি ছানাদের গা ছুঁতে না পারে। ঝম ঝম বৃষ্টি। মা … বিস্তারিত পড়ুন

উঁচু বাড়ি – সুকুমার রায়

লোকে বলে—’মনুমেন্টের মতো উঁচু!’ সেরকম উঁচু বাড়ি দেখলে আমরা বলি ‘ইস্‌! বড্ড উঁচু বাড়ি।’ কিন্তু একটিবার আমেরিকায় ঘুরে এস, তারপরে সেই বাড়িই তোমার চোখে নিতান্তই ছোট ঠেকবে। মনুমেন্টের মাথায় অমন আরও দু-চারটা মনুমেন্ট চাপাও, তবে আমেরিকার লোকে বলবে ‘হ্যাঁ, কতকটা উঁচু বটে!’ নিউ ইয়র্কের একটি বাড়ি পঞ্চান্ন তলা—সাড়ে সাতশ ফুট উঁচু! একটা সাধারণ তিনতলা বাড়ি … বিস্তারিত পড়ুন

বাঘ ও বিড়ালের দ্বন্দ্ব

বনের রাজা বাঘ একদিন রাতে বন ছেড়ে বের হল।বনের পাশের লোকালয়ে মানুষের জীবন যাপন দেখার জন্য।মানুষ যেমন বাঘকে দেখে ভয় পায়।বাঘও তেমনি মানুষকে দেখে ভয় পায়।বাঘ গ্রামের অলি গলিতে গুটি গুটি পায়ে হাটছে কখনো কখনো দাড়িয়ে সারি সারি ঘর গুলো পর্যবেক্ষন করছে।গোয়াল ঘরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় গরু গুলোর হাম্বা হাম্বা ডাক শুনে উকি ঝুকি … বিস্তারিত পড়ুন

চার বন্ধু

চার বন্ধু জ্যামিতি ক্লাসে খুবই ভাল করছিলঃ বাড়ির কাজে আর মিডটার্মে বেশ ভাল গ্রেড পেয়ে উৎরে যাচ্ছিল। তো এমনি করে যখন ফাইনাল পরীক্ষার দিন ঘনিয়ে এল, তারা ভাবল আর পড়ে কী হবে? তার চেয়ে বরং দূরের অন্য এক শহরে আরেক বন্ধুর জন্মদিনে যাওয়া যাক যদিও পরীক্ষা সোমবার সকালে! যা ঘটে আর কী, পার্টিতে মাত্রাতিরিক্ত ফুর্তি … বিস্তারিত পড়ুন

জিলাপির প্যাঁচ

অনেকে আগেও বলেছে, “ভাইরে, তোর পেট ভরা প্যাঁচ, জিলাপির প্যাঁচ।” কথাটা শুনে আমি মনে মনে হেসেছি। তবে কথাটা স্বীকার করিনি। স্বীকার করি কি করে! নিজের মনের ভেতরে ঢুকে আমি নিজেই আঁতকে উঠি প্রত্যেকবার। খাইছে! এইটা কি? অন্ধকার, চোরাবালি, উড়ন্ত তেলাপোকা, মাকড়সার জাল আর ঘন জঙ্গলে ভরা এইটা কি মানুষের মন? অসম্ভব! ঘটনা দেখে নিজের জন্য … বিস্তারিত পড়ুন

জলপাইয়ের আঁটি

স্কুলের টিফিনের সময় আজ পকেটে মাত্র দশটা পয়সা আছে। কেউ হয়ত ভাবতে পারে আমি ভুল করে দশ টাকাকে দশ পয়সা বলছি। কিন্তু ভুল আমার হয়নি, পকেটে আসলেই দশ পয়সা আছে। অ্যালুমিনিয়ামের দশ পয়সা, গোল নয়, ধারটা ঢেউ খেলানো। একদিকে শাপলার ছবি আর অন্যদিকে কিসের ছবি তা মনে করতে পারছিনা। স্কুলের বাইরে একটা বুড়ি বসে নানান … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!