কৃপণের ধন

এক কৃপণ অনেক টাকাকড়ি জমিয়েছিল। পাছে চোর সন্ধান পেয়ে সব চুরি করে নিয়ে পালায়– এই ভয়েই তার দিন কাটত। একদিন সে করল কি, সব টাকা খরচ করে একতাল সোনা কিনে আনল। তারপর সেটি গোপনে ঝোপের আড়ালে মাটিতে পুঁতে রাখল। চোরের আর নিয়ে পালাবার উপায় নেই ভেবে সে নিশ্চিন্ত হল। কিন্তু প্রতিদিনই সোনার তালটি চোখে দেখতে … বিস্তারিত পড়ুন

রাজা ও বোকা বানর

এক রাজার একটি পোষা বানর ছিল। বানরটিকে রাজা তালিম দিয়ে অনেক কিছু শিখিয়েছিলেন। বানর রাজার কথা বুঝতে শিখেছিল। রাজা তাকে পা টিপে দিতে বললে দিব্যি পা টিপে দেয়, হাওয়া করতে বলেলে চামর দিয়ে মানুষের মতো হাওয়া করে দেয়। কেবল মানুষের মতো কথাই বলতে পারত না বানরটা। কিন্তু মানুষের মতই কাজ করতে শিখেছিল। রাজার আদরের বানরটি … বিস্তারিত পড়ুন

হাতি শিকার– অনুবাদ গল্প

বার্মার মুলমিনে থাকার সময় টের পেলাম, জীবনে আর কখনও নিজেকে এতটা গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়নি আমার। কারণ ওখানে আমাকে একেবারেই দেখতে পারে না এমন লোক ছিলো বিস্তর। আমি ছিলাম ওখানকার সাব-ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার। ইউরোপীয়দের প্রতি সেখানকার মানুষের এক রকম বিতৃষ্ণা ছিলো। বড় রকমের দাঙ্গা-হাঙ্গামা করার মতো সাহস কারও হতো না বটে, কিন্তু বাজারের ভিতর দিয়ে কোনও … বিস্তারিত পড়ুন

গাধা ও ব্যবসায়ী

এক লবণের ব্যবসায়ী সস্তায় পেয়ে একদিন বাজার থেকে প্রচুর লবণ কিনল। বোঝা বইবার জন্য ব্যবসায়ীর একটি গাধা ছিল। লবণের বোঝা গাধাটির পিঠে চাপিয়ে সে বাড়ির দিকে চলল। গাধার পিঠে ছিল প্রচুর লবণ। এত বোঝা আগে সে কখনো পিঠে নেয়নি। তার হাঁটতে কষ্ট হতে লাগল। ধীরে ধীরে হাঁটতে হাঁটতে ব্যবসায়ী একটা নালার ধারে পৌছল। নালার ওপরে … বিস্তারিত পড়ুন

একটী পাঁঠার গল্প

একলোকের একটি পাঁঠা ছিলো। পাঁঠা ছিলো অত্যন্ত চাপাবাজ আর ভিতু প্রকৃতির। পাঁঠা রোজ রোজ ঘাস খাওয়ার জন্য জঙ্গলে যেতো। জঙ্গলে ঘাস খাওয়া শেষ হলে সন্ধার আগেই আবার বাড়িতে ফিরে আসতো। কিন্তু বাড়িতে এসে চাপাবাজি করতো যে, সে কয়েকটা বাঘকে ঘায়েল করে এসেছে। : একদিনের ঘটনা। ঘাস খেতে খেতে বেলা ডুবে গেছে পাঁঠা তা টেরই পেলো … বিস্তারিত পড়ুন

হিসেবী লোক — গোপাল ভাঁড়ের গল্প

  গোপাল একবার দূর দেশে বেড়াতে যাবে বহুদিন ভাড়াটে বাড়িতে রয়েছে, একে একে অনেক আসবাবপত্র জমা হয়েছে। সে সব আসবাব সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব, অথচ বেচে যেতেই ইচ্ছে নেই। হেকে পয়সা পাবে। বেচে গেলে টাকা পয়সা যা পাওয়া যাবে এখন, তাতে ফিরে এলে সে টাকায় তো আর খরিদ করা যাবে না, ভালো ভালো আসবাবপত্র … বিস্তারিত পড়ুন

চোরের আজব সাজা — গোপাল ভাঁড়ের গল্প

  একদিন গোপালের জ্বর হওয়ায় সে সেদিন রাজসভায় যেতে পারেনি। মহারাজ সভাসদদের নিয়ে নানা আলাপ আলোচনা করতে করতে হঠাৎ বললেন, আমার সভার মধ্যে এমন কি কেউ আছে, যে গোপালের ঘর থেকে কিছু চুরি করে আনতে পারে? যদি কেউ পারে, তবে সে সামান্য জিনিস হলেও আমি তাকে বিশেষভাবে পুরষ্কৃত করব। তোমরা কেউ রাজী থাকলে বল। মহারাজের … বিস্তারিত পড়ুন

নবাবের অষ্টাদশ পর্ব মহাভারত কথা –গোপাল ভাঁড়ের গল্প

একবার মুর্শিদাবাদের নবাবের খেয়াল হল, হিন্দুদের মত আমাকে নিয়ে মহাভারত রচিত হোক। যেমনি ভারা তেমনি মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের কাছে নির্দেশ পাঠালেন, আপনাদের অর্থাৎ হিন্দুদের অনুকরণে, তাকে নিয়ে একটি নতুন মহাভারত পন্ডিতদের দিয়ে লিখে দিতে হবে একমাসের মধ্যে। সেইরূপ পন্ডিত অতি শীঘ্র নবাব দরবা পাঠান। যিনি রচনা করবেন তাঁকে প্রচুর ‍আসরাফি পুরষ্কার দেওয়া হবে। নবাবের চিঠি পেয়ে … বিস্তারিত পড়ুন

রসিক গোপালের চালাকি

একবার গোপাল পাড়ার এক দোকান থেকে বাকি খেয়েছে। অনেকদিন হয়ে গেল দেনা সে শোধ করে না। তখন মুদি রেগে মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের কাছে আরজি জানাল। পাঁচ টাকার দেনা ছিল সাত-টাকার দাবিতে মুদি মহারাজের কাছে নালিশ করল। গোপাল রাজার তলব পেয়ে রাজসভায় গিয়ে বলল ‘সাত টাকা নয় হুজুর, পাঁচটাকা দেনা, আমি ক্রমে আস্তে আস্তে শোধ করব। আমায় … বিস্তারিত পড়ুন

ব্যথা বনাম চুলকানি – ভিক্তর গুরেৎস্কি

‘ডাক্তার সাহেব, আমার কী হয়েছে, বলুন তো?’ ‘আপনার কী মনে হয়?’ ‘আমার কিছুই মনে হয় না।’ ‘তাহলে এসেছেন কেন?’ ‘ব্যথা করে।’ ‘কী?’ ‘এখানে, এখানে আর এখানে।’ ‘সব জায়গায় একসঙ্গে? তাজ্জব কথা! শুনুন, এই এখানে ব্যথা করতে পারে না। এখানে শুধু চুলকাতে পারে।’ ‘কিন্তু আমার তো ব্যথা করছে।’ ‘এখানে আপনার ব্যথা কেন করছে, বুঝতে পারছি না। … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!