তিন মুসাফির

আগেকার দিনে একদল লোকে দেশে দেশে মুসাফিরী করিয়া বেড়াইত। নানা জায়গায় ঘুরিয়া তাহারা সকল দেশের রীতিনীতি জানিয়া বইপুস্তক লিখিত। তাহাদের মধ্যে হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান, ইহুদি, সকলেই থাকিত । ভিন্ন জাতের বলিয়া কেহ কাহাকেও অবহেলা করিত না । এমনি তিন মুসাফির বিদেশ ভ্রমণে বাহির হইয়াছে। এক ইহুদি, এক খ্রিস্টান, আর এক মুসলমান। সেদিন তাহারা ঘুরিতে ঘুরিতে … বিস্তারিত পড়ুন

সত্যিকার আলসে !!

আগেকার দিনে রাজা-বাদশাদের নানারকমের অদ্ভুত খেয়াল থাকিত। এখনকার মতো দেশের অর্থ ব্যয় করিতে তাহাদের কাহারও কাছে কোনো জবাবদিহি করিতে হইত না । তাই খেয়াল খুশিমতো তাহারা টাকা-পয়সা খরচ করিতেন। এখনকার রাজারা কিন্তু এরূপ পারে না । তখন প্রত্যেক রাজবাড়িতে কতকগুলি অলস লোক থাকিত । প্রতিযোগিতাও হইত। রাজারা আলসেখানায় সেই অলস লোকগুলিকে দেখিয়া বড়ই আমোদ পাইতেন।অলস … বিস্তারিত পড়ুন

ঠেলাঠেলির ঘর

একজনের দুই বউ। কথায় বলে, “ঠেলাঠেলির ঘর, খোদায় রক্ষা কর।” দুই বউকে লইয়া স্বামী বেচারির বড়ই মুশকিল। তারা একে অপরের দোষ ধরিবার জন্য সব সময় সতর্ক হইয়া থাকে। এক বউকে কোনো কাজ দিলে সে অপর বউর ঘাড়ে চাপাইতে চায়। স্বামী গিয়াছে হাল বাহিতে মাঠে । দুই বউ ঠেলাঠেলি করিয়া রান্না করে নাই। দুপুরবেলা বাড়ি আসিয়া … বিস্তারিত পড়ুন

মজার গল্পে গল্পে ৬৪ জেলার নাম জানুন !

দিনাজপুরের দিনার সাথে ফরিদপুরের ফরিদের বিয়েতে কিশোরগঞ্জের কিশোররা মিলে নেত্রকোণার কোণাতে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ঠাকুরগাঁওয়ের ঠাকুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্রাহ্মণ পরিবার, রাজবাড়ির রাজ পরিবারের সদস্যরা দলে দলে যোগ দেয় সেই অনুষ্ঠানে । বিয়েতে তারা টাঙ্গাইল থেকে টাঙ্গাইল শাড়ী উপহার বর কনেকে । .. এই বিয়েতে কাজী ছিল মুন্সিগঞ্জের হাবিব মুন্সি। বিয়েতে সাতক্ষীরার সাত পরিবার, চাঁদপুরের চাঁদ … বিস্তারিত পড়ুন

হাসি আর ধরে না যে- দাদার

গোপাল গ্রামের এক মহাজনের কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নিয়েছিল। আজ দেব, কাল দেব বলে সে টাকা আর শোধ করতে পারেনি। সেই লোক গোপালকে একদিন হাটের মধ্যে পাকড়াও করে বললে, আমার টাকাগুলো দিয়ে দাও তো গোপাল, নইলে আজ আর তোমার ছাড়ব না। তোমাকে এত লোকের সামনে অপমান করব, দেখি তুমি কোথা যাও বাছাধন। মহাজনের দ্বারা … বিস্তারিত পড়ুন

পাত্রী দেখা

বিয়ের যেহেতু বয়স হয়েছে, তাই সিদ্ধান্ত নিলাম বিয়েটা করেই ফেলব। বিয়েতো আর এমনি এমনি করা যাবে না। তার জন্য মেয়ে খুঁজে বের করতে হবে। এই কাজে অত্যন্ত দক্ষ আমার এক দুলাভাই আছেন, যার ওপর পড়ল আমার জন্য বউ খোঁজার ‘গরু দায়িত্ব’। গরু দায়িত্ব এজন্য বললাম, হারানো গরু খুঁজতে যে কষ্ট সহ্য করতে হয় বউ খুঁজে … বিস্তারিত পড়ুন

ফেলুদার যোগ্য বউ — প্রথম পর্ব

“তুই কাকে বিয়ে করবি তিতির ? ” সোনা কাকুর প্রশ্নের উত্তরে গল্পের বই থেকে মুখ না তুলেই তিতির জবাব দিল “ফেলুদাকে !”সোনা কাকু হেসে বলল ” সামনের চায়ের দোকানের ফেলুদা ? ” তিতির মাথাটা দুদিকে নাড়িয়ে বলল “না! সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা !” সোনা কাকু বলল “আচ্ছা , কিন্তু কোন ফেলুদা ? সৌমিত্র চ্যাটার্জী ,সব্যসাচী চক্রবর্তী … বিস্তারিত পড়ুন

ফেলুদার যোগ্য বউ — দ্বিতীয় পর্ব

সোনাকাকু :আমার সকলের সাথে পরিচয় হওয়া প্রয়োজন। আপনার কথা তো শুনলাম ,বাকিদের মতামতও জানা আবশ্যক। আসলে বুঝতেই পারছেন যে অসুখের কথা আপনি বলছেন সেটা সরানোর ক্ষমতা আমি কেন কোনো ডাক্তারেরই নেই ,তাই আমার জানা দরকার যদি এমন কিছু থেকে থাকে যেখানে আমি আপনাদের একটু হলেও সাহায্য করতে পারবো। তার আগে আপনার পুত্রবধুর সাথে একবার দেখা … বিস্তারিত পড়ুন

পাওনাদার

গোপাল একবর বাইরে বেড়াতে গিয়েছিল। সেখানে গিয়েই অসুখে পড়ে গিয়ে বিভ্রাট। সেখানকার লোকজনেরা তখন তাকে একটি হাসপাতালে দিয়ে আসে। বিদেশ বিভুই তাই সেখানে জানা শোনা লোক ছিল না তার। রোজগার পত্র না থাকায় অনেক ধারটার হয়েও গেল সেখানে। সেই হাসপাতালে এক বৃদ্ধা তাঁর ছেলেকে রোজ দেখতে যান। তিনি লক্ষ করেন, সব রোগিকেই কেউ না কেউ … বিস্তারিত পড়ুন

উন্নয়ন-সম্পর্কিত টানাপোড়েন

শংকর প্রায় দৌড়তে দৌড়তে আসে, ‘ও গোপালদা, আবার সাংবাদিক আইচে! ভরানি খালের পোলের ছবি তোলতেচে।’ গোপাল তখন পরশু দিনের পেপারের উপসম্পাদকীয় পড়ছিল। মাথা তুলল না। এসব কথা শোনায় তার আগ্রহ নেই, তা বলা যাবে না। কিন্তু এখন শংকরকে আগ্রহ দেখানো ঠিক হবে কি না, সেটা ভাবল। শংকরও আচ্ছা সেয়ানা। চৈত্রের দুপুরের রোদ মুখে দিয়ে উঠোনের … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!