অন্ধের বর চাওয়া–সুকুমার রায়

অতি গরিব এক অন্ধ। তার ভারি দুঃখ—তার ঘরবাড়ি নেই, টাকা-পয়সা নেই, ছেলেপিলে নেই, আর সে চোখে দেখতে পায় না। মনের দুঃখে অনেক কষ্টে তার দিন কাটে। একদিন স্বর্গ থেকে দেবদূত এসে বললেন, “ওরে অন্ধ, তুই আর কাঁদিস নে, আমি তোকে বর দিতে এসেছি। তুই কী বর চাস আমায় বল। একটিমাত্র বর তুই পাবি, সুতরাং ভালো … বিস্তারিত পড়ুন

আজগুবী প্রশ্ন

বাদশাহ নিজেকে একজন খুব বুদ্ধিমান ব্যক্তি বলে মনে করতেন। তাই তিনি প্রায়ই অন্যদের গেয় প্রতিপন্ন করানোর জন্যে তাদের অদ্ভুত অদ্ভুত সব প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতেন। একবার তিনি বারো হাজার পন্ডিত ব্যক্তিকে এক সমাবেশে ডেকে তাঁদের জিজ্ঞেস করলেন, ‘পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দু কোথায়?’ কিন্তু তারা কেউ এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলেন না। তা দেখে বাদশাহর মনে আর খুশি ধরে … বিস্তারিত পড়ুন

মোল্লার সদুপদেশ জীবন শিক্ষা: তিনটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা

একদিন মোল্লা কিছু পয়সা রোজগারের আশায় হাতে দড়ি ও টুকরি নিয়ে বাজারে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ঠিক তখন একজন মোটাসোটা জমিদার এসে চিৎকার করে বললেন, “আমি এক বাক্স সুন্দর চীনামাটির জিনিষ কিনেছি। যে এই বাক্স আমার বাড়ি বয়ে নিয়ে যাবে, তাকে আমি তিনটি সদুপদেশ দেব।” মোটেরা কেউই জমিদারের কথায় আগ্রহী হলো না। তবে মোল্লা মনে মনে ভাবল, … বিস্তারিত পড়ুন

লোকসান দু’পয়সা

গোপাল একবার নদীর ঘাটে ঘাটের ইজারা নিয়েছিল। নদীর ফেরী ঘাটের ইজারাদার গোপাল ভাড়া ছয় পয়সা থেকে কমিয়ে চার পয়সা করে দিলে- যাতে গরিব লোকদের উপকার হয়। সে বছর দেশের অবস্থাও খুব ভাল ছিল না বলে গোপাল এই ব্যবস্থা নিলে। যাতে গরিব লোকেরা খুশি হয় পরপারে যাতে সুবিধা হয়। তখন একদল ছেলে ইজারাদার গোপালের সঙ্গে দেখা … বিস্তারিত পড়ুন

সীতাভোগ খাওয়ার জ্বর

  গোপাল আর তার প্রাণের বন্ধু নেপাল নৌকায় করে একবার চাঁদপুর যাচ্ছিল। নৌকোয় ছয়জন মাঝি ছাড়া আরও দুজন ভদ্রলোক ছিলেন। একজনের হাতে আবার বর্ধমানের নামকরা এক হাঁড়ি খুশবু ছড়াচ্ছে এমন সীতাভোগ ছিল। তিনি সঙ্গী ভদ্রলোককে বললেন, আজ বিয়ের লগ্ন, তাই সীতাভোগের দাম বেড়ি দ্বিগুন মশায়। শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছি বলে চড়া দাম দিয়েই দই সীতাভোগ নিয়ে এলুম। … বিস্তারিত পড়ুন

গোপাল ভাঁড় এর বাংলাদেশ জয়

আজ আমরা জানবো বাংলার হাসির রাজা গোপাল ভাঁড় কিভাবে বাংলাদেশ জয় করেছিলেন! কি, শুনে অবাক হচ্ছেন তো! তবে লেখাটি মনযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন। বহু বছর আগে গোপাল ভাঁড় একজবার বাংলাদেশ তথা বঙ্গদেশ জয় করেছিলেন আর এ গল্পটি সম্পর্কে বলতে হলে শুরুতেই আরো একটি গল্প বলে নেওয়া ভালো, এতে বুঝতে সুবিধা হবে। গোপাল ভাঁড়ের সময় একবার … বিস্তারিত পড়ুন

একজন যোদ্ধা– হাসির গল্প

১৯৭১ সালের অক্টোবর মাস। সারাদেশ জুড়ে যুদ্ধ চলছে। ক্রমশই পাকিস্তানী সেনাবাহিনী কোনঠাসা হয়ে পড়ছে। মুক্তিযোদ্ধারা বিপুল বিক্রমে একের পর এক ঘাঁটি দখল করে নিচ্ছে। পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর একটা গ্রুপ ঘাঁটি গেড়েছে এক গ্রামের স্কুল মাঠে। একদিন মুক্তিযোদ্ধারা সেই ঘাঁটি আক্রমন করলো। দুই দল মুখোমুখি! মুক্তিযোদ্ধারা গাছের আড়ালে, ঝোঁপের ভেতর থেকে গুলি করছে! পাকিস্তানী মিলিটারীরা বালির বস্তার … বিস্তারিত পড়ুন

আমাদের ছক্কু–জাবেদ ভুঁইয়া

আমাদের ছক্কুকে চেনেন?না চেনার কথা ।উন্নয়নশীল দেশগুলোকে যেমন সবাই চেনেনা তেমনি উদিয়মান প্রতিভাগুলোকেও অনেকেই চিনেনা ।তবে ছক্কুর বিষয়টা অবশ্য পৃথক ।কারন তার প্রতিভা এরিষ্টটলের মত এত দিকে বৃদ্ধি পেয়েছে যে সে কোনটা রেখে কোনটার চর্চা করবে ভেবে ।ফলসরূপ আজ দেখা যায় ও কালো কাপড় গায়ে দিয়ে ,চোখে চশমা লাগিয়ে কয়েকজন সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে গোয়েন্দাগিরিতে নেমেজে। আবার … বিস্তারিত পড়ুন

বধূমাতা–তারাপদ রায়

সারাদিন অফিসে বিস্তর খাটাখাটি করে সন্ধ্যেবেলায় বিশ্রামের জন্য ঘরে ফিরে তরুণ গৃহকর্তাটি দেখলেন সর্বনাশ! বাড়িতে তুলকালাম চলছে। শাউড়ি বউয়ের ঝগড়া। মা পায়ের কাছে একটা পুরোনো সুটকেশ নিয়ে বসে রয়েছেন। ছেলেকে দেখেই লাফিয়ে উঠলেন, ‘তুই আমাকে একটা বৃদ্ধাবাসে রেখে আয়, আমি আর তোর বাসায় থাকবো না।’ ব্যাপার আজ গুরুতর। অনেক চেষ্টার পর মায়ের কাছ থেকে তরুণটি … বিস্তারিত পড়ুন

টর্চ–তারাপদ রায়

আমাদের টর্চটির প্রসঙ্গে আসছি। প্রসঙ্গত ওই টর্চটি আমরা বাড়ির কয়েকজন ছাড়া আর কেউ জ্বালাতে পারে না, সুতরাং কারও ওটা চুরি করে লাভ হবে না। টর্চটি জ্বালানোর আগে সেটার পিছনে এক সেকেন্ড ব্যবধানে পরপর তিনবার আলতো করে এবং তারপরে অতর্কিতে একবার একটু জোরে চড় দিতে হবে। এই শেষ চড়টা খুব জোরে হলে চলবে না, আবার খুব … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!