চন্দ্রলোক— বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

এই বঙ্গদেশের সাহিত্যে চন্দ্রদেব অনেক কার্য্য করিয়াছেন। বর্ণনায়, উপমায়,-বিচ্ছেদে, মিলনে,-অলঙ্কারে, খোশামোদে,-তিনি উলটি পালটি খাইয়াছেন। চন্দ্রবদন, চন্দ্ররশ্মি, চন্দ্রকরলেখা, শশী, সমি ইত্যাদি সাধারণ ভোগ্য সামগ্রী অকাতরে বিতরণ করিয়াছেন; কখন স্ত্রীলোকের স্কন্ধোপরি ছড়াছড়ি, তখন তাঁহাদিগের নখের গড়াগড়ি গিয়াছেন; সুধাকর হিমকরকরনিকর, মৃগাঙ্ক, শশাঙ্ক, কলঙ্ক প্রভৃতি অনুপ্রাসে, বাঙ্গালী বালকের মনোমুগ্ধ করিয়াছেন। কিন্তু এই ঊনবিংশ শতাব্দীতে এইরূপ কেবল সাহিত্য-কুঞ্জে লীলা খেলা … বিস্তারিত পড়ুন

আকাশে কত তারা আছে? —বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়– দ্বিতীয় অংশ

অর্গেলন্দর নবম শ্রেণী পর্য্যন্ত তারা স্বীয় তালিকাভুক্ত করিয়াছেন। তাহাতে সপ্তম শ্রেণীর ১৩,০০০ তারা, অষ্টম শ্রেণীর ৪০,০০০ তারা, এবং নবম শ্রেণীর ১৪২,০০০ তারা। উচ্চতম শ্রেণীর সংখ্যা পূর্ব্বে লিখিত হইয়াছে কিন্তু এ সকল সংখ্যাও সামান্য। আকাশে পরিষ্কার রাত্রে এক স্থূল শ্বেত রেখা নদীর ন্যায় দেখা যায়। আমরা সচরাচর তাহাকে ছায়াপথ বলি। ঐ ছায়াপথ কেবল দৌরবীক্ষণিক নক্ষত্রসমষ্টি মাত্র। … বিস্তারিত পড়ুন

ধূলা—-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

ধূলার মত সামান্য পদার্থ আর সংসারে নাই। কিন্তু আচার্য্য টিণ্ডল ধূলা সম্বন্ধে একটি দীর্ঘ প্রস্তাব লিখিয়াছেন। আচার্য্যের ঐ প্রবন্ধটি দীর্ঘ এবং দুরূহ, তাহা সংক্ষেপে এবং সহজে বুঝান অতি কঠিন কর্ম্ম। আমরা কেবল টিণ্ডল সাহেবকৃত সিদ্ধান্তগুলিই এ প্রবন্ধে সন্নিবেশিত করিব, যিনি তাঁহার প্রমাণ জিজ্ঞাসু হইবেন, তাঁহাকে আচার্য্যর প্রবন্ধ পাঠ করিতে হইবে। ১। ধূলা, এই পৃথিবীতলে এক … বিস্তারিত পড়ুন

আশ্চর্য্য সৌরোৎপাত—-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়– প্রথম অংশ

১৮৭১ সালে সেপ্টেম্বর মাসে আমেরিকা-নিবাসী অদ্বিতীয় জ্যোতির্ব্বিদ ইয়ঙ্ সাহেব যে আশ্চর্য্য সৌরোৎপাত দৃষ্টি করিয়াছিলেন, এরূপ প্রকাণ্ড কাণ্ড মনুষ্যচক্ষে প্রায় আর কখন পড়ে নাই। তত্তুলনায় এট্‌না বা বিসিউবিয়াসের অগ্নিবিপ্লব, সমুদ্রোচ্ছ্বাসের তুলনায় দুগ্ধ-কটাহে দুগ্ধোচ্ছ্বাসের তুল্য বিবেচনা করা যাইতে পারে। যাঁহারা আধুনিক ইউরোপীয় জ্যোতির্ব্বিদ্যার সবিশেষ অনুশীলন করেন নাই, এই ভয়ঙ্কর ব্যাপার তাঁহাদের বোধগম্য করার জন্য সূর্য্যের প্রকৃতিসম্বন্ধে দুই … বিস্তারিত পড়ুন

আশ্চর্য্য সৌরোৎপাত—-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়– দ্বিতীয় অংশ

কথিত সময়ে প্রফেসর ইয়ঙ্ দূরবীক্ষণে দেখিতেছিলেন যে, সূর্য্যের উপরি ভাগে একখানি মেঘবৎ পদার্থ দেখা যাইতেছে। অন্যান্য উপায় দ্বারা সিদ্ধান্ত হইয়াছে যে, পৃথিবী যেরূপ বায়বীয় আবরণে বেষ্টিত, সূর্য্যমণ্ডলও তদ্রূপ। ঐ মেঘবৎ পদার্থ সৌর বায়ূর উপরে ভাসিতেছিল। পাঁচটি স্তম্ভের ন্যায় আধারের উপরে উহা আরূঢ় দেখা যাইতেছিল। প্রফেসর ইয়ঙ্ পূর্ব্বদিন বেলা দুই প্রহর হইতে ঐ রূপই দেখিতেছিলেন। তদবধি … বিস্তারিত পড়ুন

আকাশে কত তারা আছে? —বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়– প্রথম অংশ

ঐ যে নীল নৈশ নভোমণ্ডলে অসংখ্য বিন্দু জ্বলিতেছে, ওগুলি কি? ওগুলি তারা। তারা কি? প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিলে পাঠশালার ছাত্র মাত্রেই তৎক্ষণাৎ বলিবে যে, তারা সব সূর্য্য। সব সূর্য্য! সূর্য্য ত দেখিতে পাই বিশ্বদাহকর, প্রচণ্ডকিরণমালার আকর; তৎপ্রতি দৃষ্টিনিক্ষেপ করিবারও মনুষ্যের শক্তি নাই; কিন্তু তারা সব ত বিন্দু মাত্র; অধিকাংশ তারাই নয়নগোচর হইয়া উঠে না। এমন বিসদৃশের … বিস্তারিত পড়ুন

নক্ষত্রের কারিগর

বারো বছর বয়সী এক কিশোরের একবার ইচ্ছে হলো কাচের জারে একটা তারা তৈরি করবে। এরপর, তার বয়স চৌদ্দ পুরো হতে না হতে ঠিকই তেমন একটা তারা বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিলো বিশ্বকে। না কোনো খেলনা তারা নয়। সত্যিকারের একটুকরো নক্ষত্রই বানিয়েছিলো সে। সূর্যের এবং অন্য আর সব নক্ষত্রের মধ্যে মধ্যে যেমন হাইড্রোজেন ফিউশন রিয়াকশনের মাধ্যমে অন্য … বিস্তারিত পড়ুন

অঙ্গারমানব– রাগিব নিযাম জিসান

সেদিন সোমবার। আকাশ আলো খুঁজে বেড়াচ্ছিলো। এক পলকের সন্ধ্যায় একটা বিশালাকারে রুটি ভেসে এলো। সেই রুটির দিকে তাকিয়ে কিশোর ছেলের শখ হলো জোছনা দেখবে। রাজশাহী শহরের কোনো একটা পাড়া। সারি সারি দালান। একেবারে শেষ মাথায় রায়হানদের সেমি পাকা টিনের বাড়ি। বাবা সরকারী চাকুরে। ঘরে মা থাকে আর ক্লাস সিক্স পড়ুয়া ছোট্ট বোনটি। আজ আকাশের চাঁদটা … বিস্তারিত পড়ুন

জুজুমানব— রাগিব নিযাম জিসান

পূন্যভুমি সিলেট। এখানে ওখানে জড়িয়ে আছে শত বছরের ইতিহাস। জড়িয়ে থাকে বুজুর্গদের আশীর্বাদ। কেউ হয়তো এরই কারণে আল্লাহর অনুগ্রহে বেঁচে থাকে। হয়তোবা সূর্যটাও চোখ মেলে অশুভ যে কোনো কিছুকে ঠেকাতে। এখানে ওখানে ছড়িয়ে আছে চা বাগান। শ’ওয়ালেস চাবাগানটির কেয়ার টেকার হামিদের ছেলে ঘুরে ঘুরে কলেজে পৌছায় টাইম মতো। আবার বিকেলে ফেরে ঠিক সময়ে। -এই জামান। … বিস্তারিত পড়ুন

মাটিমানব— রাগিব নিযাম জিসান

ক্লান্তি, বিষাদ অবসন্নতা। কোথাও যেনো ছুঁয়ে যাচ্ছে জায়েককে। বাবাকে এমন অবস্থায় পড়তে হবে তার কারণেই এটা যেনো তার বিশ্বাস হচ্ছে না। কিছুদিন আগের কথা।নীলা বিয়ের চাপ দিচ্ছে। কাছাকাছি সমবয়সী হওয়ায় ঝামেলা। কুমিল্লা নামের এই মফঃস্বলে বিয়েটা মেয়েদের উপর তাড়াতাড়িই চাপে। সেক্ষেত্রে নীলার বয়স যেখানে বাইশের কাছে, ২৪ বছরের জায়েককে অনেক চাপ পোহাতে হচ্ছে। বাবার কাপড়ের … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!