মিউটেশন (বিজ্ঞান কল্পকাহিনী)

এক. আকাশের কালো নিকষ অন্ধকার লিলিয়ামের কাছে মাঝে মাঝে অদ্ভুদ মনে হয় । এটা কী কারণে হয় সে নিজেও জানেনা । তবে মনে যে হয় এটা নিশ্চিত । কোনো কোনো সময় তার ভাল লাগে আবার কোনো কোনো সময় খারাপ ও লাগে । ঐ নিকষ অন্ধকারটা তার কাছে কখনও মনে হয় অনন্তকাল ধরে তার সামনে থাকবে … বিস্তারিত পড়ুন

ফোঁড়া —- রহস্য গল্প

অনেক ক্ষন ধরে সামনে বসা মানুষ টার দিকে তাকিয়ে আছেন ডঃ তাহসিনা। মাথাটা নিচু করে বসেই আছে সেই লোক। অনেকক্ষণ ধরে বসে থেকে থেকে শেষে বলতে শুরু করল- “আমার যে সমস্যা সেটা হল আমার পেটে একটা ফোঁড়া ঊঠেছে।” বলেই শুন্য দৃষ্টিতে ডঃ তাহসিনার দিকে তাকিয়ে থাকল। ডঃ তাহসিনা অনেক ভাল একজন সাইকায়াট্রিষ্ট। উনি এর আগে … বিস্তারিত পড়ুন

খুনের আগে খুন– প্রথম অংশ

  সকাল বেলায় একেনবাবুর ফোন, “স্যার, আপনি কি এখন ফ্রি আছেন?“ আজ শনিবার ৯-ই অগাস্ট। সকালে একবার পিসিমাকে দেখে আসবো ভাবছিলাম। অনেকদিন ধরে বলছেন, যাচ্ছি যাবো করে যাওয়া হয় নি। আজ সকাল থেকেই মন প্রস্তুত করে বসে আছি। “কেন বলুন তো ?“ একেনবাবুকে জিজ্ঞেস করলাম। “মাসিমা, ফোন করেছিলেন, একটা বিশেষ দরকারে আমাদের সঙ্গে কথা বলতে … বিস্তারিত পড়ুন

প্রফেসর ঝমলু ও ডাইনোসর

পানি দিয়ে গাড়ি চালানোর ওপর একটা গবেষণা করছিলাম। কাজের চাপে কোন দিক দিয়ে যে তিনটা দিন চলে গেল, টেরই পাইনি। আজ সকালবেলা যখন আমার হাত-পা অবশ হয়ে এল আর চোখে একটু ঘোলা ঘোলা দেখতে শুরু করলাম, বুঝলাম ঘুম দরকার। শোবার আগে চোখে স্বপ্ন দেখার যন্ত্র ‘স্বপ্নচারী’ পড়ে নিয়েছিলাম। মাত্র স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি যে আমি … বিস্তারিত পড়ুন

প্রত্যাবর্তন– সাইন্স ফিকশান

নিজের আবিষ্কৃত মাইন্ড রিডার যন্ত্রটি , গিনিকে তার জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কের উপলব্ধি করিয়েছে। ছোট বেলায় মা হারানো মেয়েটা , এক অচেনা নারীর মধ্যে মায়ের মমতার সন্ধান পাওয়ায় , তার সম্পূর্ণ অস্তিত্ব , এক অসম্ভব পরিতৃপ্তিতে ভরে উঠেছে , সেই স্বর্গী য় অনুভূতি ই তাকে এক নতুন ফর্মুলা তৈরীর অনুপ্রেরণা দিয়েছে । গিনির ব্যস্ত আঙ্গুল … বিস্তারিত পড়ুন

মাইন্ড রিডার — সাইন্স ফিকশান

যন্ত্র টা মোটামুটি বানিয়ে ফেলেছে গিনি । আজ রাত্রেই বাকি কাজ টুকু শেষ করে ভোর রাত্রে মহড়া । বিজ্ঞানের অসম্ভব কে সম্ভব করার অদম্য ইচ্ছা তার ভিতরের মেয়েটাকে সারাক্ষণ তাড়া করে বেড়ায়। আজ সে প্রথমবার তার কাল্পনিক চিন্তাকে যন্ত্রের আকার দিতে চলেছে। গিনির ফর্মুলা যদি ঠিকমত কাজ করে তাহলে তার বানানো আঙুরের মত ছোট্ট যন্ত্রটা … বিস্তারিত পড়ুন

ভিন গ্রহের প্রাণীর গল্প

তোমার নাম কি? আমার নাম নেই। নাম্বার আছে। আমার নাম্বার ৪৫৫৪লোএপ্লা। তোমার নাম তাহলে লোএপ্লা হ্যা। লোতে লোহা। এতে এলোমিনিয়াম। প্লাতে প্লাস্টিক। আমাকে বানানো হয়েছে এই উপাদান দিয়ে আচ্ছা। আমার নাম আসাদ। আই’ম ফ্রম বাংলাদেশ আমি জানি কিভাবে জানো? আমাদর মস্তিস্কে গতকাল রাতে আপনার বিস্তারিত তথ্য দেয়া হয়েছে। সেখানে আপনার একটি ছবি দেয়া হয়েছে। আপনার … বিস্তারিত পড়ুন

শব্দ— বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

সচরাচর শব্দ প্রতি সেকেণ্ডে ১০৩৮ ফিট গিয়া থাকে বটে, কিন্তু বের্থেম ও ব্রেগেট নামক বিজ্ঞানবিৎ পণ্ডিতেরা বৈদ্যুতিক তারে প্রতি সেকেণ্ডে, ১১,৪৫৬ ফিট বেগে শব্দ প্রেরণ করিয়াছিলেন। অতএব তারে কেবল পত্র প্রেরণ হয়, এমত নহে; বৈজ্ঞানিক শিল্প আরও কিছু উন্নতি প্রাপ্ত হইলে মনুষ্য তারে কথোপকথন করিতে পারিবে। * মনুষ্যের কণ্ঠস্বর কত দূর যায়? বলা যায় না। … বিস্তারিত পড়ুন

জ্যোতিস্তরঙ্গ— বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

প্রবন্ধান্তরে কথিত হইয়াছে যে, আলোক ইথর নামপ্রাপ্ত বিশ্বব্যাপী জাগতিক তরল পদার্থের আন্দোলনের ফল মাত্র। সূর্য্যালোক সপ্ত বর্ণের সমবায়; সেই সপ্ত বর্ণ ইন্দ্রধনু অথবা স্ফটিক প্রেরিত আলোকে লক্ষিত হয়। প্রত্যেক বর্ণের তরঙ্গসকল পৃথক্ পৃথক্; তাহাদিগের প্রাকৃতিক সমবায়ের ফলে, শ্বেত রৌদ্র। এই সকল জ্যোতিস্তরঙ্গ-বৈচিত্র্যই জগতের বর্ণবৈচিত্র্যের কারণ। কোন কোন পদার্থ, কোন কোন বর্ণের তরঙ্গসকল রুদ্ধ করিয়া, অবশিষ্টগুলি … বিস্তারিত পড়ুন

চন্দ্রলোক— বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

এই বঙ্গদেশের সাহিত্যে চন্দ্রদেব অনেক কার্য্য করিয়াছেন। বর্ণনায়, উপমায়,-বিচ্ছেদে, মিলনে,-অলঙ্কারে, খোশামোদে,-তিনি উলটি পালটি খাইয়াছেন। চন্দ্রবদন, চন্দ্ররশ্মি, চন্দ্রকরলেখা, শশী, সমি ইত্যাদি সাধারণ ভোগ্য সামগ্রী অকাতরে বিতরণ করিয়াছেন; কখন স্ত্রীলোকের স্কন্ধোপরি ছড়াছড়ি, তখন তাঁহাদিগের নখের গড়াগড়ি গিয়াছেন; সুধাকর হিমকরকরনিকর, মৃগাঙ্ক, শশাঙ্ক, কলঙ্ক প্রভৃতি অনুপ্রাসে, বাঙ্গালী বালকের মনোমুগ্ধ করিয়াছেন। কিন্তু এই ঊনবিংশ শতাব্দীতে এইরূপ কেবল সাহিত্য-কুঞ্জে লীলা খেলা … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!