ফেসবুক-আসক্তি || সৈয়দ তানভীর আজম

আমার বন্ধু শাকিল। ছেলেটি মোটামুটি সব দিক থেকে ভালো। তার একটাই সমস্যা, সে প্রচণ্ড ফেসবুক-আসক্ত। বাংলাদেশে বিভিন্ন মাদকাসক্তিকেন্দ্রের মতো যদি কোনো ফেসবুক আসক্তিকেন্দ্র থাকত তাহলে তাকে সেখানে ভর্তি করিয়ে দিতাম। বছর খানেক আগের কথা। তখন আমরা এক স্যারের কাছে পড়তে যেতাম। শাকিলও সেখানে পড়ত। সে নিয়মিত পড়তে যেত। একদিন দেখি, তার এ নিয়মিত আসাটা অনিয়মিত … বিস্তারিত পড়ুন

চাপাবাজি কোচিং সেন্টার ।। শাহ আলম

কোচিং সেন্টারের অভাব নেই ঢাকা শহরে। কিন্তু চাপাবাজি কোচিং সেন্টারের নাম একবারও শোনেননি পল্টু মামা। ভাগনে লাল্টুর কাছে প্রথম শুনলেন এই নাম। বললেন, ভাগনে, সত্যি বলছিস তো? নাকি গুল মারছিস? লাল্টু পোকা খাওয়া দাঁত বের করে হাসতে হাসতে বলল, কী বলছ মামা, মিথ্যে বলব কেন? আমাদের নাখালপাড়ার সবাই তো চাপাবাজি কোচিং সেন্টারের নাম জানে। পল্টু … বিস্তারিত পড়ুন

খুঁত ধরা ছেলে

বিলাতে চারিটি ভাই একদিন এক জায়গায় বসিয়া কথাবার্তা কহিতেছিলেন। তাহাদের আলাপের বিষয়, কে কি করিবে। সকলেরই মনে ইচ্ছা, একটা কিছু হওয়া চাই। সকলের ‘একটা কিছু’ত আর একরকম হয় না। তাই চার ভাই চাররকম কথা বলিল। একজন বলিল-‘আমি ইঁটের কারবার করিব। তাহাতে টাকা হইবে, আর ইঁট দিয়া আমার একখানা বাড়ি করিব।’ আর-একজন বলিল-‘দূর হ, তোর নেহাত … বিস্তারিত পড়ুন

আখের ফল-উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

শিয়াল পণ্ডিত আখ খেতে বড় ভালবাসে, তাই সে রোজ আখ ক্ষেতে যায়। একদিন সে আখের ক্ষেতে ঢুকে একটি ভিমরুলের চাক দেখতে পেল। ভিমরুলের চাক সে আগে কখনো দেখেনি, সে মনে করল ওটা বুঝি আখের ফল। শিয়াল কিনা পণ্ডিত মানুষ, তাই সে আখকে বলে ‘ইক্ষু’, ক্ষেতকে বলে ‘ক্ষেত্র’, লাঠিকে বলে ‘দণ্ড’,। ভিমরুলের চাক দেখে সে বললে, … বিস্তারিত পড়ুন

উকুনে-বুড়ির কথা-উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

এক যে ছিল উকুনে-বুড়ি, তার মাথায় বড্ড ভয়ানক উকুন ছিল। সে যখন তার বুড়োকে ভাত খেতে দিতে যেন তখন ঝরঝর করে সেই উকুন বুড়োর পাতে পড়ত। তাইতে সে একদিন রেগে গিয়ে, ঠাঁই করে বুড়িকে এক ঠেঙার বাড়ি মারলে। তখন বুড়ি ভাতের হাঁড়ি আছড়ে গুঁড়ো করে রাগের ভয়ে সেই যে নদীর ধার দিয়ে চলে গেল, আর … বিস্তারিত পড়ুন

কাজির বিচার-উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

রামকানাই ভাল মানুষ-নেহাত গোবেচারা। কিন্তু ঝুটারাম লোকটি বেজায় ফন্দিবাজ। দুইজনে দেখা-শোনা আলাপ-সালাপ হল। ঝুটরাম বললে, ‘ভাই দুজনেই বোঝা বয়ে কামকা কষ্ট পাই কেন? এই নাও, আমার পুঁটলিটাও তোমায় দিই-এখন তুমি সব বয়ে নাও। ফিরবার সময় আমি বইব। ‘রামকানাই ভালমানুষের মত দুজনের বোঝা ঘাড়ে বয়ে চলল। গ্রামের কাছে এসে তাদের খুব খিদে পেয়েছে। রামকানাই বলল, ‘এখন … বিস্তারিত পড়ুন

কুঁজো আর ভূত-উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

কানাই বলে একটি লোক ছিল, তার পিঠে তার পিঠে ছিল ভয়ঙ্কর একটা কৃঁজ। বেচারা বড্ড ভালমানুষ ছিল, লোকের অসুখ-বিসুখে ওষুধপত্র দিয়ে তাদের কত উপকার করত। কিন্তু কুঁজো বলে তাকে কেউ ভালবাসত না। কানাইয়ের ঝুড়ির দোকান লোক ছিল। আর কোনো ঝুড়িওয়ালা তার মত ঝুড়ি বুনতে পারত না। তারা তাকে ভারি হিংসা করত, আর তার নামে যা-তা … বিস্তারিত পড়ুন

কুঁজো বুড়ি

এক যে ছিল কুঁজো বুড়ি। সে লাঠি ভর দিয়ে কুঁজো হয়ে চলত, আর তার মাথাটা খালি ঠক-ঠক করে নড়ত। বুড়ির দুটো কুকুর ছিল। একটা নাম রঙ্গা, আর একটার নাম ভঙ্গা। বুড়ি যাবে নাতনীর বাড়ি, তাই কুকুর দুটোকে বললে, ‘তোরা যেন বাড়ি থাকিস, কোথাও চলে টলে যাসনে।’ রঙ্গা-ভঙ্গা বললে, ‘আচ্ছা’। তারপর বুড়ি লাঠি ভর দিয়ে, কুঁজো … বিস্তারিত পড়ুন

বাঘ মামা আর শিয়াল ভাগ্নে | উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী

শিয়াল ভাবে,`বাঘমামা, দাড়াঁও তোমাকে দেখাচ্ছি!’ এখন সে আর নরহরি দাসের ভয় তার পুরোনো গর্তে যায় না, সে একটা নতুন গর্ত খুজে বার করেছে। সেই গর্তের কাছে একটা কুয়ো ছিল। একদিন শিয়াল নদির ধারে একটা মাদুর দেখতে পেয়ে, সেটাকে তার বাড়িতে নিয়ে এল। এনে, সেই কুয়োর মুখের উপর তাকে বেশ করে বিছিয়ে বাঘকে গিয়ে বললে,’মামা, আমার … বিস্তারিত পড়ুন

টুনটুনি আর রাজার কথা | উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

রাজার বাগানের কোণে টুনটুনির বাসা ছিল। রাজার সিন্দুকের টাকা রোদে শুকোতে দিয়েছিল, সন্ধ্যার সময় তার একটি টাকা ঘরে তুলতে ভুলে গেল। টুনটুনি সেই চকচকে টাকাটি দেখতে পেয়ে তার বাসায় এসে রেখে দিলে, আর ভাবলে, `ঈস্! আমি কত বড়োলোক হয়ে গেছি। রাজার ঘরে যে ধন আছে, আমার ঘরে সেই ধন আছে!’ তারপর থেকে সে কেবলি এই … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!