সাগর কেন লোনা?–উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

এক যে ছিল রাজা, তার নাম ফ্রদি। তার ছিল একটা যাঁতা, তাকে বলত গ্রত্তি। সে যাঁতা যেমন তেমন যাঁতা ছিল না, তাকে ঘুরিয়ে যে জিনিস ইচ্ছা, তাই তার ভিতর বার করা যেত। কিন্তু ঘোরাবে কে? সে যাঁতা ছিল পাহাড়ের মত বড়। রাজার চাকরেরা সেটা নাড়তেই পারল না। রাজার দেশে যত জোয়ান ছিল, সকলে হার মেনে … বিস্তারিত পড়ুন

গর্দভ সমাচার –ড. মুহম্মদ আনিসুল হক

প্রাচীনকালে এক সামন্ত রাজকুমারের সাথে পাঠশালায় পণ্ডিত মশায়ের কাছে সেই রাজ্যের রজকের পুত্রও পড়াশোনা করত। সেই সুবাদে রাজকুমার ও রজকপুত্রের ভেতর এক ধরনের হৃদ্যতাও গড়ে উঠেছিল। যা কি না তৎকালীন সামান্ততান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় একে বারেই অকল্পনীয় ব্যাপার। ওই রজকপুত্রের বাবা রাজবাড়ীর কাপড় চোপড় ধোয়ার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল। যতই একই পাঠশালায় একই শ্রেণীতে এবং একই পণ্ডিতের … বিস্তারিত পড়ুন

কে এই মার্লিন জাদুকর?

মার্লিন জাদুকরের গল্প তো নিশ্চয়ই জানা আছে! তাকে নিয়ে তো সিনেমা, উপন্যাস আর টিভি অনুষ্ঠান কম হলো না। তবুও যেন রহস্য শেষ হয় না। আদিকালের কাহিনীতে আছে, রাজা আর্থারকে ক্যামেলোটের রাজা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন মার্লিন। মার্লিনের বুদ্ধি-পরামর্শ ও জাদুবলে রাজ্য বিস্তার করেছিলেন রাজা আর্থার। অনেক ঐতিহাসিক এবং কাল্পনিক ঘটনা প্রচলিত রয়েছে মার্লিনকে নিয়ে। জিওফ্রে ব্রিতোনামের … বিস্তারিত পড়ুন

নুতন গল্প-উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

এক রাজা, তার তিন ছেলে। বড় ছেলে গাঁজা খায়, মেজ ছেলে লাঠি হাতে ঘুরিয়া বেড়ায়, ছোট ছেলে বাপের কাছে বসিয়া রাজ্যের কাজকর্ম দেখে। বড় দুটো ছোটটিকে দেখিতে পারে না। ‘সোনার গাছ রূপোর পাতা, শ্বেত কাকের বাসা তাতে!’ রাজার বড় ইচ্ছা এই গাছ ছেলেরা আনিয়া দেয়। তিন ছেলে কত জায়গায় ঘুরিল। বড় দুটির কি হইল জানা … বিস্তারিত পড়ুন

গিল্‌ফয় সাহেবের অদ্ভুত সমুদ্র-যাত্রা–উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

তোমরা ‘ইউনাইটেড্‌ স্টেট্‌স’ কোথায় জান? পৃথিবীর মানচিত্রের বাঁ ধারে গোলাকাটির নাম নূতন মহাদ্বীপ। নূতন মহাদ্বীপের বড় দেশটা আমেরিকা। আমেরিকার মাঝখানটা খুব সরু, দেখিতে দুটি দেশের মত দেখায়। এই দুইটির উপরেরটির নাম উত্তর আমেরিকা আর নীচেরটির নাম দক্ষিণ আমেরিকা। উত্তর আমেরিকার যত দেশ, ইউনাইটেড্‌ স্টেট্‌স তাহার মধ্যে সকলের বড়। ইউনাইটেড্‌ স্টেট্‌সে গিলফয় সাহেবের বাড়ি। গিলফয় সাহেব … বিস্তারিত পড়ুন

তারপর?–উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

এক যে রাজা; তার ভারি গল্প শোনার শখ। কিন্তু তা থাকলে কি হয়, রাজামশাইকে কেউ গল্প শুনিয়ে খুশি করতে পারে না। রাজামশাই বলরেন, ‘যে আমাকে গল্প গুনিয়ে খুশি করতে পারবে, তাকে আমার অর্ধেক রাজ্য দিব, না পারলে কান কেটে নিব’। তা শুনে দেশ বিদেশের কত ভারি ভারি নামজাদা গল্পওয়ালা কোমর বেঁধে গোঁফে তা দিয়ে গল্পের … বিস্তারিত পড়ুন

পণ্ডিতের কথা–উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধূরী

সেই যে হবুচন্দ্র গবুচন্দ্র মন্ত্রী ছিল, সেই হবুচন্দ্র রাজার একটা ভারি জবর পণ্ডিতও ছিল। তার এতই বুদ্ধি ছিল যে, তার পেটে অত বুদ্ধি ধরত না। তাই তাকে দিন রাত নাকে কানে তুলোর ঢিপ্‌লী গুঁজে বসে থাকতে হত, নইলে বুদ্ধি বেরিয়ে যেত। তুলোর ঢিপ্‌লী গুঁজত বলে নাম হয়েছিল ‘ঢিপ্‌লী’ পণ্ডিত। একদিন হয়েছি কি, হবুচন্দ্রের দেশের জেলেরা … বিস্তারিত পড়ুন

একটি কাক ও লাল কুকুরের গল্প

অনেকক্ষণ ধরে রাস্তার পাশের টং এর দোকানের চারপাশে অপেক্ষা করছে তিনটে ক্ষুধার্ত কাক। দোকানের ভেতর থেকে কেউ যদি দয়াপরবশ হয়ে রুটি কিংবা বিস্কুটের টুকরো ছুঁড়ে দেয়! কাকাগুলো এই আশায় অপেক্ষা করছে ভোর সকাল থেকে। কিন্তু ,আজ ওদের প্রতি মনে হয়, ভাগ্যদেবী সুপ্রসন্ন নয়। প্রায় সকাল গড়িয়ে দুপুর হতে চললো কিন্তু ভাগ্যে এখনো জোটেনি কিছুই। তারপরও … বিস্তারিত পড়ুন

নির্বোধ

এক লোক ডাক্তারের নিকট শরীরের দুর্বলতার কথা বলতে ডাক্তার তাকে একটা দুর্বলতা কাটানোর জন্য একটা সিরাপ দিলেন,এবং ফাইলের উপর সাদা কাগজ দিয়ে দাগ করে খতে বললেন।লোকটা রোজ ফাইলের উপর সাদা কাগজ গুলো এক দাগ করে খেতে লাগলো,এভাবে সব সাদা কগজ খেয়ে সাবার।কিছুদিন পরে ডাক্তারের নিকট গিয়ে বলল,ডাক্তার সাহেব দাগ তো সব খেয়েছি। কিন্তু দুর্বলতা তো … বিস্তারিত পড়ুন

ট্রেন

এক বোকা লোক কিভাবে বাড়ি যাবে,তার পরামর্শ চাইল এক পথচারির নিকট।পথচারিরঃআপনি কোথায় জাবেন? বোকাঃজামালপুর। পথচারিঃতাহলে আপনি ট্রেনে যান ট্রেনেই সুবিধা। বোকাঃট্রেন দেখতে কেমন?আমি তো ট্রেন চিনি না। পথচারিঃট্রেন হল যার উপর দিয়ে ধোঁয়া ছাড়ে,নিচ দিয়ে পানি পড়ে,জপতে জপতে যাচ্ছে।রাস্তার পাশে এক লোক সিগারেট মুখেদিয়ে প্রসাব করছে,কিছুক্ষণ পরপর হা করে ধোয়ার গোলা ছাড়ছে,নিচেদিয়ে পানি ছাড়ছেই। বোকাঃ … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!