মিস্‌মিদের কবচ-তৃতীয় পরিচ্ছেদ

তারপর গাঙ্গুলিমশায়ের বাড়ি গেলাম। গিয়ে দেখি, যেখানটাতে গাঙ্গুলিমশায়ের বাড়ি—তার দু’দিকে ঘন-জঙ্গল। একদিকে দূরে একটা গ্রাম্য কাঁচা রাস্তা, একদিকে একটি হচ্ছে বাড়ি। আমি গাঙ্গুলিমশায়ের ছেলের কথা জিগ্যেস করে জানলাম, সে এখনও মহকুমা থেকে ফেরে নি। তবে একটি প্রৌঢ়ার সঙ্গে দেখা হলো—শুনলাম তিনি গাঙ্গুলিমশায়ের আত্মীয়া। তাঁকে জিগ্যেস করলাম—গাঙ্গুলিমশায়কে শেষ দেখেছিলেন কবে? —বুধবার। —কখন? —বিকেল পাঁচটার সময়। —কিভাবে … বিস্তারিত পড়ুন

মিস্‌মিদের কবচ-চতুর্থ পরিচ্ছেদ

সেদিনই আমার সঙ্গে গাঙ্গুলিমশায়ের ছেলে শ্রীগোপালের দেখা হলো। সে তার পিতার দাহকার্য শেষ করে ফিরে আসছে কাছাগলায়। আমি তাকে আড়ালে ডেকে নিজের প্রকৃত পরিচয় দিলাম। শ্রীগোপালের চোখ দিয়ে দর্‌দর্ করে জল পড়তে লাগলো। সে আমাকে সব-রকমের সাহায্য করবে প্রতিশ্রুতি দিলে। আমি বললাম—কারও ওপর আপনার সন্দেহ হয়? —কার কথা বলব বলুন। বাবার একটা দোষ ছিল, টাকার … বিস্তারিত পড়ুন

চড়াই আর বাঘের কথা–উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

গৃহস্থের ঘলের কোণে একটি হাঁড়ি ঝোলানো ছিল, তার ভিতরে চড়াই-চড়নী থাকত। একদিন চড়াই বললে, ‘চড়নী, আমি পিঠে খাব।’ চড়নী বললে, ‘পিঠের জিনিসপত্র এনে দাও, পিঠে গড়ে দেব এখন।’ চড়াই বললে, ‘কি জিনিস লাগবে?’ চড়নী বললে, ‘ময়দা লাগবে, গুড় লাগবে, কলা লাগবে, দুধ লাগবে, কাঠ লাগবে।’ চড়াই বললে, ‘আচ্ছা আমি সব এনে দিচ্ছি।’ বলে সে বনের … বিস্তারিত পড়ুন

সাক্ষী শিয়াল–উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

একজন সওদাগর একটি ঘোড়া নিয়ে বেড়াতে যাচ্ছিল। যেতে যেতে তার বড্ড ঘুম পেল। তখন সে ঘোড়াটিকে এক গাছে বেঁধে, সে গাছের তলায় ঘুমিয়ে রইল। এমন সময় এক চোর এসে সওদাগরের ঘোড়াটিকে নিয়ে চলে যাচ্ছে। সওদাগর ঘোড়ার পায়ের শব্দে জেগে উঠে বললে, ‘কি ভাই, তুমি আমার ঘোড়াটিকে নিয়ে কোথায় যাচ্ছ?’ চোর তাতে ভারী রাগ করে বললে, … বিস্তারিত পড়ুন

টুনটুনি আর নাপিতের কথা–উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

টুনটুনি গিয়েছিল বেগুন পাতায় বসে নাচতে। নাচতে-নাচতে খেল বেগুন কাঁটায় খোঁচা। তাই থেকে তার হল মস্ত বড় ফোঁড়া। ও মা, কি হবে? এত বড় ফোঁড়া কি করে সারবে? টুনটুনি একে জিগগেস করে, তাকে জিগগেস করে। সবাই বলরে, ‘ওটা নাপিত দিয়ে কাটিয়ে ফেল।’ তাই টুনটুনি নাপিতের কাছে গিয়ে বললে, নাপিতদাদা, নাপিতদাদা, আমার ফোঁড়াটা কেটে দাও না!’ … বিস্তারিত পড়ুন

টুনটুনি আর বিড়ালের কথা–উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

গৃহস্থের ঘরের পিছনে বেগুন গাছ আছে। সেই বেগুণ গাছের পাতা ঠোঁট দিয়ে সেলাই করে টুনটুনি পাখিটি তার বাসা বেঁধেছে। বাসার ভিতর তিনটি ছোট্ট-ছোট্ট ছানা হয়েছে। খুব ছোট্ট ছানা, তারা উড়তে পারে না, চোখও মেলতে পারে না। খালি হাঁ করে আর চীঁ-চীঁ করে। গৃহস্থের বিড়ালটা ভারি দুষ্টু। সে খালি ভাবে ‘টুনটুনির ছানা খাব।’ একদিন সে বেগুন … বিস্তারিত পড়ুন

নরহরি দাস–উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

যেখানে মাঠের পাশে বন আছে, আর বনের ধারে মস্ত পাহাড় আছে, সেইখানে, একটা গর্তের ভিতরে একটি ছাগলছানা থাকত। সে তখনো বড় হয়নি, তাই গর্তের বাইরে যেতে পেত না। বাইরে যেতে চাইলেই তার মা বলত, ‘যাসনে! ভালুকে ধরবে, বাঘে নিয়ে যাবে, সিংহে খেয়ে ফেলবে!’ তা শুনে তার ভয় হত, আর সে চুপ করে গর্তের ভিতরে বসে … বিস্তারিত পড়ুন

পান্তাবুড়ির কথা–উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

এক যে ছিল পান্তাবুড়ি, সে পান্তাভাত খেতে বড্ড ভালোবাসত। এক চোর এসে রোজ পান্তাবুড়ির পান্তাভাত খেয়ে যায়, তাই বুড়ি লাঠি ভর দিয়ে রাজার কাছে নালিশ করতে চলল। পান্তাবুড়ি পুকুর ধার দিয়ে যাচ্ছিল। একটা শিঙিমাছ তাকে দেখতে পেয়ে বললে,‘ পান্তাবুড়ি, কোথায় যাচ্ছ?’ পান্তাবুড়ি বললে, ‘চোরে আমার পান্তাভাত খেয়ে যায়, তাই রাজার কাছে নালিশ করতে যাচ্ছি!’ শিঙিমাছ … বিস্তারিত পড়ুন

আয়না হলো কাল

ছোট শিশু।ছোট বেলায় মারা গিয়াছে তার বাবা।বড় হয়ে অন্যদের বাবা দেখে তার নিজের বাবার কথা মনে পড়ে যায়।জানত না সে বাবার অবয়ব কেমন ছিল।তাই এক দিন মাকে জিজ্ঞাসা করল,মা!আমার বাবা দেখতে কেমন ছিল।তার মা গঠন আকৃতি বর্ননা করলেন।ছেলে টি আস্তে আস্তে বড় হলেন।একদিন সে আয়না চেহারার সামনে নিলে তার মায়ের বর্ননাকৃত চেহারা আয়নার সামনে ভেসে … বিস্তারিত পড়ুন

এক বাক্যে তিন দোয়া

লোকটি একধারে অন্ধ,দরিদ্র ও নিঃসন্তান।নবী মুসা (আঃ)আর কাছে নিজের দুরাবস্থার কথা খুলে বলে অবস্থার পরিবর্তনের জন্য আল্লাহার কাছে প্রার্থনা করার জন্য অনুরোধ করলেন।মুসা(আঃ)বললেন,তোমার একটি দোয়া কবুল হবে। এবার বল?তোমার জন্য কোন দোয়া করবো? লোকটি পড়ে গেল বিপাকে।যদি সন্তানের জন্য দোয়া চাই।আর সম্পদ না থাকলে তা হলে বিপদ বাড়বে কমবে না।আর যদি সম্পদ চাই এবং সন্তান … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!