হাসি হীন রাজা এবং তার দেশের গল্প।।

ভাই আপনি নাকি বেশি হাসেন? জ্বী ভাই হাসি, আমরা হাসি দেশের মানুষ তো তাই হাসি। আমাদের দেশে কেউ কাঁদে না সবাই হাসে। কিন্তু আমাদের তবু একটা দুঃখ আছে। কেউ যে কাঁদে না এইটা আমরা মেনে নিতে পারি না। কাঁদাও একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যপার। সকল দেশের মানুষ কাঁদে আর আমরা কাঁদতে পারি না। আমাদের চোখে কান্না নাই। … বিস্তারিত পড়ুন

তিনবন্ধুর কথা − মৃন্ময় চক্রবর্তী

হারান, কানাই, মনিরুল রায়পুকুরের পাড়ে বসে আছে। পুকুরের চারপাশে তালবন। জলে অজস্র চাঁদমালা ফুটেছে, অপূর্ব তার শোভা। তিন প্রাণবন্ধু মাঝে মাঝেই এই নির্জনে এসে বসে গল্প করে, নিষিদ্ধ কাজ সারে। ওদের সামনে পদ্মপাতার উপরে নাচ করে ডাহুক। ভর দুপুরে বুনো ঝোপ থেকে শিয়াল বেরিয়ে অবাক হয়ে ওদের দেখে, আবার চলে যায়। জায়গাটা গ্রামের প্রান্তে। এখানে … বিস্তারিত পড়ুন

চৌহদ্দি — সৈয়দ ওমর হাসান

মালেক হুজুর উত্তর ভেদুরিয়া ফাজিল মাদ্রাসার পৌরনীতির প্রভাষক। লম্বা জুব্বা আর চুড়িদার পাজামা পরেন সবসময়। মাথায় পরেন সাদা নেটের টুপি। মালেক হুজুরের চেহারা কৃষ্ণবর্ণ। লম্বা দাড়িতে ঈষৎ পাক ধরেছে তার। গোঁফজোড়া ছোট করে ছাঁটা। বয়স চল্নিশের কোঠায়। তার চেহারা কৃষ্ণবর্ণ হলেও মলিন নয়। চেহারায় উজ্জ্বলতা আছে যাকে নূরানী ছাট বলা যায়। কেউ অব্যাহতভাবে ধর্মকর্ম করলে … বিস্তারিত পড়ুন

আমার বেলা যে যায় —দেবাশিস কোনার

আমি এখন হাওয়ায় উড়ছি । উঠতি বয়েস । মা-বাবার কথা শুনছি না । এদিক সেদিক করে একটা দুচাকা মটোর সাইকেল কিনে টো টো করে ঘুরছি দিন রাত । সকলেই যে যার কাজে ব্যস্ত । কারোর আমার দিকে নজর দেবার সময় বা ইচ্ছা কোনটাই নেই । সুতরাং আমি বিন্দাস আছি । কেবল মা মাঝে মাঝে আমাকে … বিস্তারিত পড়ুন

মায়ের মুখ

নিত্য ‘না না’ করতে করতেই মাধব হারুর পিঠের ওপর দুম করে কিল বসিয়ে দিল। ওদিকে হারুও হেরে যাওয়ার পাত্র নয়। সে দাঁত খিঁচিয়ে, মুঠ পাকিয়ে ‘তবে রে’ বলে চেঁচিয়ে উঠে মাধবকে ধরে জুডোর প্যাঁচ কষতেই নিত্য মাঝখানে এসে দাঁড়াল। ‘এই থাম্, হচ্ছেটা কী অ্যা?’ কিন্তু থামতে বললেই থামছে কে? মাধবের মাথা গরম। আগে-পিছে ভেবে কাজ … বিস্তারিত পড়ুন

হিরণপুরের বাঘ রহস্য— ইন্দ্রজিৎ সরকার

কাগজের ঠোঙা থেকে একটুখানি ঝালমুড়ি ঢেলে নিয়ে মুখে দিলাম। দারুণ স্বাদ! প্রথম দফায় মুখে চালান করা মুড়িগুলো আয়েশ করে চিবিয়ে ফের ঠোঙা থেকে ঢালতে গেছি, অমনি চিলের মতো ছোঁ মেরে কেউ ঠোঙাটা তুলে নিল। স্কুলের বারান্দার সিঁড়িতে বসে মুড়ি খাচ্ছিলাম। পেছনে তাকিয়ে দেখি সঞ্জয়। ততক্ষণে সে আমার সাধের ঝালমুড়ি রাক্ষসের মতো গিলতে শুরু করেছে। ওকে … বিস্তারিত পড়ুন

চেনা বন্ধু

সেই ছোট্টবেলার ইস্কুলটাকে চোখের সামনে দেখতে পেয়ে চিত্তপ্রিয় কেমন যেনন বিহ্বল হয়ে পরে । আজ থেকে প্রায় ষাট বছর আগের নীলফামারী শহরের প্রন্তের এই গ্রামটির চেহারা আজ পুরো পাল্টে গেছে । সেই টিনের বেড়া আর টিনের চালের স্কুলের জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে পাকা দালানের মসত স্কুলবাড়ী । চিত্তপ্রিয়র চিনতে একটু কষ্ট হচ্ছে । পিছনের বাঁশবাগানটা নেই … বিস্তারিত পড়ুন

কাক ও কোকিলা— প্রদোষ প্রদীপ

কাক যখন বুঝতে পারল যে তার বউ-এর ডিম পাড়বার সময় এগিয়ে এসেছে, তখন সে ‘ কাকের বাসা’ বানানোর জন্য মহা তোড়জোড় শুরু করে দিল। প্রথমে ও একটা গাছ পছন্দ করে নিল। গাছটা একটু সরু এবং লম্বাটে। বেশ উপর দিকে গিয়ে সুন্দর ভাবে দুই ভাগে ভাগ হয়েছে এবং প্রচুর শাখা-প্রশাখা দিয়ে পাতা-ভর্তি, ঘন একটা জায়গা তার … বিস্তারিত পড়ুন

স্কুলের ছুটিতে দু’জনে

হাবলু চল মাছ মারতি যাই। প্রস্তাব ছুঁড়ে দেয় আলাল। কথাটা মন্দ না। আজতো শুক্রবার ইস্কুল ছুটি অতএব যাওয়া যায়। চল যাই। আলালের সাথে করে কেঁচো খুঁড়তে বেরোয় দুজন। মাছের প্রিয় হলো লাল কেঁচো। দেখতে ভাল হতে হবে। না হলে তিঁনিরা খাননা। এমনিতেই আলালের সাথে মাছ ধরে পারেনা হাবলু। এর জন্য খুবই কষ্ট হয় হাবলু’র। কারণ … বিস্তারিত পড়ুন

কষ্মিন কালের কথা

আমি বেশ কয়েকবার বাড়ী থেকে পালিয়েছি। বাড়ী থেকে পালানোটা আমার কাছে বেশ রোমাঞ্চকর মনে হতো। আমি ব্যপারটা তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করতাম। আমি খুব ছোট বেলা থেকে বাড়ী পালানো শুরু করেছি। প্রথম প্রথম ছোট খাট পালানো পালাতাম। যেমন আব্বুর ভয়ে আসরের দিকে আমি আর নেই। সবাই খোঁজাখুজি শুরু। আর আমি সেটা দেখে বেশ পজা পেতাম। তখন … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!