ছোটগল্পঃ নকল বীর

দরজা খুলেই চিৎ হয়ে পড়ে গেল সুরুজালি। ’কী হয়েছে, কী হয়েছে’ করতে করতে ছুটে এলো ঘরের লোকজন। সুরুজালি ’বাঘ বাঘ’ বলে আঙুলে ইশারা করতেই সবাই বাইরের দিকে তাকালো। দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে একটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার! কারোর কলজেজুড়ে পানি নেই। সুরুজালিকে ফেলে দেৌড়ে পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গেল তারা। এক মুহূর্ত পরে সুরুজালি মোচড় দিয়ে … বিস্তারিত পড়ুন

কোগ্রামের মধূ পণ্ডিত–শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

বিপদে পড়লে লোকে বলে,ত্রাহি মধূসূদন। তা কোগ্রামের লোকেরাও তাই বলত।কিন্তু তারা কথাটা বলত মধুসূদন পণ্ডিতকে।বাস্তবিক মধুসুন ছিল কোগ্রামের কাছে সাক্ষাৎ দেবতা।যেমনি বামনাই তেজ,তেমনি সর্ববিদ্যাশারদ।চিকিৎসা জানতেন,বিজ্ঞান জানতেন,চাষাবাদ জানতেন,মারণ উচাটন জানতেন,তার আমলে গায়ের লোক মরত না।সাঝের বেলা একদিন কষ্টকাঠিন্য রুগী বগলাবাবু মধুসূদনের বাড়িতে পাতন আনতে গিয়াছেন।গিয়ে দেখেন গোটা চারেক মুশকো চেহারার গোঁফগুলো লোক উঠানে হ্যারিকেন আলোয় খেতে … বিস্তারিত পড়ুন

রাণুর ঘুঘনিদানা

নাম টি পুরনো হলেও খাবার টি একদম নতুন।আর খেলে কি হয় তাও বলি শোন।রোজ বিকাল হলে পাড়ার মোড় হতে হাঁক শোনা যায়,“চাই ঘুঘনি-ই-ই।আলু-নারকেল গরম ঘুঘনি-ই-ই”তাই শুনে পাড়ার ছেলে মেয়েরা ছুটে আসে।অমনি দেখাযায়,কাধে ময়লা কাপড়ের ঝোলা।গায়ে হাত কাটা ময়লা শাট,খালি পা একটি লোক এক পাশে একটু হেলে,একটু খুড়িয়ে গালি দিয়ে আসছে।লোকটি বাড়ি কোথায় তা তারা জানে … বিস্তারিত পড়ুন

নাক মুখ বিহিন ভূত

দিচ্ছি একটা ভয়ংকর ভুতের গল্প । যারা ভীতু তারা পড়বেন না । কেউ আপনারা টোকিওর আসাকাসাতে এলেই দেখতে পাবেন, আসাকাসা রোডের ধারে “কি-নো-কুনি- যাকা’ নামে একটা ঢাল আছে। এটার মানে হল ‘কি’ প্রদেশের ঢাল। আমি জানি না, এটার নাম কেন ‘কি’ প্রদেশের ঢাল হল। সেই ঢালের এক ধারে দেখতে পাবেন একটি পুরোনো মোটেল। অনেক বড় … বিস্তারিত পড়ুন

মাখন বিলাসী –আশাপূর্ণা দেবি

এই গল্প টা আমার বানানো নয়,সত্যি গল্প।বলেছিল আমার ভাগ্নে নিত্যহরি।বলেছিল- ভোজন বিলাশি অনেকে থাকে।ভোজনের ব্যাপারে খুঁৎ ঘটলে খুঁৎ-থুঁতুনির এর আস্ত থাকে না তাদের।তেমন তেমন হলে তো মাথায় খুন চেপে যায়।যেমন হয়ে ছিল আমাদের গ্রামের একদর জমিদর বংশধর শ্যাম রতন গাঙ্গুলির।শ্যাম রতন ফাসিতে লটকাবার কারণই তো ওই ভোজন বিলাস। না,ফাসির খাওয়া খেয়ে মরেন নি শ্যামরতন,তেমন স্কুল … বিস্তারিত পড়ুন

নেমামা ভাগনে

তিমকড়ি পাল আর ভজহরি দত্ত মামা ভাগনে।মামা ভাগনে হলে ওদের বয়সের বেশী তফাৎ বেশী নয়। ছেলাবেলা থেকে এক বাড়িতে মানুষ।এক সঙ্গে শোয়া-বসা।তিনকুলে কেউ নেই । আপনার বলতে মামার ঐ ভাগনে,আর ভগনের ঐ মামা।তিন কড়ির বাবা হাজার কয়েক নগদ টাকা রেখে গিয়াছে;আর ভজ হরির বাবা দিয়া গেছেন কয়েক বিঘা ধানের জমি।দুটো মিলে ওদের এত দিন চলে … বিস্তারিত পড়ুন

মিস্‌মিদের কবচ–নবম পরিচ্ছেদ

সেদিন সন্ধ্যার কিছু আগে আমি মহীন সেকরার সঙ্গে আবার দেখা করতে গেলাম। মহীন আমায় দেখে ভয়ে-ভয়ে একটা টুল পেতে দিল বসবার জন্যে। আমি বললাম—মহীন, একটা সত্যি কথা বলবে? —কি, বলুন ! —তোমার সঙ্গে ননীর ঝগড়া-বিবাদ হয়েছিল কিছুকাল আগে? মহীন আমার দিকে অবাক হয়ে চেয়ে থেকে বললে—ননী বলেচে বুঝি? সব মিথ্যে কথা ওর বাবু, সব মিথ্যে। আমি … বিস্তারিত পড়ুন

মিস্‌মিদের কবচ–দশম পরিচ্ছেদ

কথাটা শ্ৰীগোপালকে বলবার জন্যে তার বাড়ির দিকে চললাম। রাস্তাটা বাড়ির পেছনের দিকে—শীগগির হবে বলে ‘শর্ট-কার্ট’ করে গেলাম বনের মধ্যে দিয়ে। সেই বন—যেখানে আমি সেদিন মিস্‌মি-জাতির কবচ ও দাঁতনকাঠির গোড়া সংগ্ৰহ করে ছিলাম। অন্ধকারেই যাচ্ছিলাম, হঠাৎ একটা সাদা-মত কি কিছুদূরে দেখে থমকে দাঁড়িয়ে গেলাম। জিনিসটা নড়চে-চড়চে আবার। অন্ধকারের জন্যে ভয় যেন বুকের রক্ত হিম করে দিলে। … বিস্তারিত পড়ুন

মিস্‌মিদের কবচ—একাদশ পরিচ্ছেদ

সেও এক কৃষ্ণপক্ষের গভীর অন্ধকার রাত্রি। মাঝে-মাঝে বৃষ্টি পড়চে আবার থেমে যাচ্চে, অথচ গুমট কাটেনি। আমার ঘরটার উত্তরদিকে একটা মাত্র কাঠের গরাদে দেওয়া জানলা, জানলার সামনাসামনি দরজা। পশ্চিমদিকের দেওয়ালে জানলা নেই—একটা ঘুলঘুলি আছে মাত্র। রাত প্রায় একটা কি তার বেশি। আমার ঘুম আসে নি, তবে সামান্য একটু তন্দ্রার ভাব এসেচে। হঠাৎ বাইরে ঘুলঘুলির ঠিক নিচেই … বিস্তারিত পড়ুন

চিত্রকর-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-১ম পর্ব

ময়মনসিংহ ইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করে আমাদের গোবিন্দ এল কলকাতায় । বিধবা মায়ের অল্প কিছু সম্বল ছিল । কিন্তু , সব চেয়ে তার বড়ো সম্বল ছিল নিজের অবিচলিত সংকল্পের মধ্যে । সে ঠিক করেছিল , ‘ পয়সা’ করবই সমস্ত জীবন উৎসর্গ করে দিয়ে । সর্বদাই তার ভাষায় ধনকে সে উল্লেখ করত ‘ পয়সা ‘ বলে … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!