আজব সাজা – সুকুমার রায়

“পণ্ডিতমশাই, ভোলা আমায় ভ্যাংচাচ্ছে।” “না পণ্ডিতমশাই, আমি কান চুলকাচ্ছিলাম, তাই মুখ বাঁকা দেখাচ্ছিল !” পণ্ডিতমশাই চোখ না খুলিয়াই অত্যন্ত নিশ্চিন্ত ভাবে বলিলেন, “আঃ ! কেবল বাঁদরামি ! দাঁড়িয়ে থাক।” আধমিনিট পর্যন্ত সব চুপচাপ। তারপর আবার শোনা গেল, “দাঁড়াচ্ছিস না যে ?” “আমি দাঁড়াব কেন ?” “তোকেই তো দাঁড়াতে হবে।” “যাঃ আমায় বলেছে না আর কিছু … বিস্তারিত পড়ুন

আলিপুরের বাগানে – সুকুমার রায়

আলিপুরের চিড়িয়াখানায় আমাদের একটি বন্ধু আছেন। আমরা যখনই আলিপুর যাই, অন্তত একটিবার তাঁর সঙ্গে দেখা করতে ভুলি না। দেখা করবার সময় শুধু হাতে যাওয়াটা ভাল নয়, তাই বন্ধুর জন্য প্রায়ই কিছু উপহার নিয়ে যাই। তিনিও তাঁর সাধ্যমত নানারকম তামাসা কসরত ও মুখভঙ্গী দেখিয়ে আমাদের আপ্যায়িত করেন। অনেকে চিড়িয়াখানায় গিয়ে গোড়া থেকেই বাঘের ঘরটা দেখবার জন্য … বিস্তারিত পড়ুন

আশ্চর্য কবিতা – সুকুমার রায়

আমাদের ক্লাশে একটি নূতন ছাত্র আসিয়াছে। সে আসিয়া প্রথম দিন‌‌ই সকলকে জানাইল, “আমি পোইট্‌‌রি লিখতে পারি !” একথা শুনিয়া ক্লশের অনেকেই অবাক হ‌‌ইয়া গেল; কেবল দুই-একজন হিংসা করিয়া বলিল, “আমরাও ছেলেবেলায় ঢের ঢের কবিতা লিখেছি।” নতুন ছাত্রটি বোধহয় ভাবিয়াছিল, সে কবিতা লিখিতে পারে শুনিয়া ক্লাশে খুব হুলুস্থুল পড়িয়া যাইবে এবং কবিতার নমুনা শুনিবার জন্য সকলে … বিস্তারিত পড়ুন

আষাঢ়ে হাতি ও রাজার গল্প– সুকুমার রায়

বাইরে তখন বৃষ্টি পড়ছিল। মা শেয়াল তার একপাল ছানাপোনা নিয়ে বসে আছে গুহার ভিতর। মাঝে মাঝে বৃষ্টির ছাঁট এসে ঢুকছিল গুহার ভিতর। কারণ গুহাটা খুব একটা বড় নয়। কোনো রকমে ঠেলেঠুলে ওরা ছয়টা প্রাণী আশ্রয় নিয়েছে। মা শেয়াল বসেছিল গুহার একেবারে মুখের কাছে, যাতে বৃষ্টির পানি ছানাদের গা ছুঁতে না পারে। ঝম ঝম বৃষ্টি। মা … বিস্তারিত পড়ুন

উকিলের বুদ্ধি – সুকুমার রায়

গরিব চাষা, তার নামে মহাজন নালিশ করেছে। বেচারা কবে তার কাছে পঁচিশ টাকা নিয়েছিল, সুদে-আসলে তাই এখন পাঁচশো টাকায় দাঁড়িয়েছে। চাষা অনেক কষ্টে একশো টাকা যোগাড় করেছে; কিন্তু মহাজন বলছে, “পাঁচশো টাকার এক পয়সাও কম নয়; দিতে না পার তো জেলে যাও।” সুতরাং চাষার আর রক্ষা নাই। এমন সময় শামলা মাথায় চশমা চোখে তোখোড়-বুদ্ধি উকিল … বিস্তারিত পড়ুন

উঁচু বাড়ি – সুকুমার রায়

লোকে বলে—’মনুমেন্টের মতো উঁচু!’ সেরকম উঁচু বাড়ি দেখলে আমরা বলি ‘ইস্‌! বড্ড উঁচু বাড়ি।’ কিন্তু একটিবার আমেরিকায় ঘুরে এস, তারপরে সেই বাড়িই তোমার চোখে নিতান্তই ছোট ঠেকবে। মনুমেন্টের মাথায় অমন আরও দু-চারটা মনুমেন্ট চাপাও, তবে আমেরিকার লোকে বলবে ‘হ্যাঁ, কতকটা উঁচু বটে!’ নিউ ইয়র্কের একটি বাড়ি পঞ্চান্ন তলা—সাড়ে সাতশ ফুট উঁচু! একটা সাধারণ তিনতলা বাড়ি … বিস্তারিত পড়ুন

বাঘ ও বিড়ালের দ্বন্দ্ব

বনের রাজা বাঘ একদিন রাতে বন ছেড়ে বের হল।বনের পাশের লোকালয়ে মানুষের জীবন যাপন দেখার জন্য।মানুষ যেমন বাঘকে দেখে ভয় পায়।বাঘও তেমনি মানুষকে দেখে ভয় পায়।বাঘ গ্রামের অলি গলিতে গুটি গুটি পায়ে হাটছে কখনো কখনো দাড়িয়ে সারি সারি ঘর গুলো পর্যবেক্ষন করছে।গোয়াল ঘরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় গরু গুলোর হাম্বা হাম্বা ডাক শুনে উকি ঝুকি … বিস্তারিত পড়ুন

স্বপ্ন

স্বপ্নকে আরবিতে হিলমুন, ফার্সিতে খাব এবং ইংরেজিতে ড্রিম বলে। সজাগ থেকে স্বপ্ন দেখা যায় না। আমরা ঘুমিয়ে যা দেখি তা স্বপ্ন নয়, বরং যা আমাদের ঘুমোতে দেয় না তাই স্বপ্ন। সবাই স্বপ্নপ্রেমি। সবাই স্বপ্ন দেখতে বড্ড ভালোবাসি। কেউ কেউ স্বপ্ন দেখাতে আবার বেশ ভালোবাসেন। স্বপ্নরাজ্য কারো পৈত্রিক সম্মতি নয়। এখানে কারো বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন চলে না। … বিস্তারিত পড়ুন

চার বন্ধু

চার বন্ধু জ্যামিতি ক্লাসে খুবই ভাল করছিলঃ বাড়ির কাজে আর মিডটার্মে বেশ ভাল গ্রেড পেয়ে উৎরে যাচ্ছিল। তো এমনি করে যখন ফাইনাল পরীক্ষার দিন ঘনিয়ে এল, তারা ভাবল আর পড়ে কী হবে? তার চেয়ে বরং দূরের অন্য এক শহরে আরেক বন্ধুর জন্মদিনে যাওয়া যাক যদিও পরীক্ষা সোমবার সকালে! যা ঘটে আর কী, পার্টিতে মাত্রাতিরিক্ত ফুর্তি … বিস্তারিত পড়ুন

জিলাপির প্যাঁচ

অনেকে আগেও বলেছে, “ভাইরে, তোর পেট ভরা প্যাঁচ, জিলাপির প্যাঁচ।” কথাটা শুনে আমি মনে মনে হেসেছি। তবে কথাটা স্বীকার করিনি। স্বীকার করি কি করে! নিজের মনের ভেতরে ঢুকে আমি নিজেই আঁতকে উঠি প্রত্যেকবার। খাইছে! এইটা কি? অন্ধকার, চোরাবালি, উড়ন্ত তেলাপোকা, মাকড়সার জাল আর ঘন জঙ্গলে ভরা এইটা কি মানুষের মন? অসম্ভব! ঘটনা দেখে নিজের জন্য … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!