গোপালের পড়া – সুকুমার রায়

দুপুরের খাওয়া শেষ হ‌‌ইতেই গোপাল অত্যন্ত ভালোমানুষের মতন মুখ করিয়া দু-একখানা পড়ার ব‌‌ই হাতে ল‌‌ইয়া তিনতলায় চলিল। মামা জিজ্ঞাসা করিলেন, “কিরে গোপলা, এই দুপুর রোদে কোথায় যাচ্ছিস?” গোপাল বলিল, “তিনতলায় পড়তে যাচ্ছি।” মামা— “পড়বি তো তিনতলায় কেন? এখানে বসে পড় না।” গোপাল— “এখানে লোকজন যাওয়া-আসা করে, ভোলা গোলমাল করে, পড়বার সুবিধা হয় না।” মামা— “আচ্ছা, … বিস্তারিত পড়ুন

গরিলা – সুকুমার রায়

গরিলা থাকে আফ্রিকার জঙ্গলে। গাছের ডালপালার ছায়ায় সে জঙ্গল দিনদুপুরেও অন্ধকার হয়ে থাকে; সেখানে ভাল করে বাতাস চলে না, জীবজন্তুর সাড়াশব্দ নাই। পাখির গান হয়ত ক্বচিৎ কখন শোনা যায়। তারই মধ্যে গাছের ডালে বা গাছের তলায় লতাপাতার মাচা বেঁধে গরিলা ফলমূল খেয়ে দিন কাটায়। সে দেশের লোকে পারতপক্ষে সে জঙ্গলে ঢোকে না— কারণ গরিলার মেজাজের … বিস্তারিত পড়ুন

গরিলার লড়াই – সুকুমার রায়

যতরকম বনমানুষ আছে তার মধ্যে, বুদ্ধিতে না হোক, শরীরের বলে গরিলাই সেরা। হাত-পায়ের মাংসপেশীর বাঁধন থেকে তার দাঁড়াবার ধরন আর ভ্রূকুটিভঙ্গি পর্যন্ত সবই যেন খাঁ খাঁ করে তেড়ে বলছে, “খবরদার! কাছে এস না।” মানুষের মধ্যে এত বড় পালোয়ান কেউ নেই যে এক মিনিটের জন্যেও একটা গরিলার রোখ সামলাতে পারে। কিন্তু গরিলায় গরিলায় যদি লাগে, তাহলে … বিস্তারিত পড়ুন

গরুর বুদ্ধি – সুকুমার রায়

পণ্ডিতমশাই ভট্‌চার্যি বামুন, সাদাসিধে শান্তশিষ্ট নিরীহ মানুষ। বাড়িতে তাঁর সরষের তেলের দরকার পড়েছে, তাই তিনি কলুর বাড়ি গেছেন তেল কিনতে। কলুর ঘরে মস্ত ঘানি, একটা গরু গম্ভীর হয়ে সেই ঘানি ঠেলছে, তার গলায় ঘণ্টা বাঁধা। গরুটা চলছে চলছে আর ঘানিটা ঘুরছে, আর সরষে পিষে তা থেকে তেল বেরুচ্ছে। আর গলার ঘণ্টাটা টুংটাং টুংটাং ক’রে বাজছে। … বিস্তারিত পড়ুন

আষাঢ়ে হাতি ও রাজার গল্প– সুকুমার রায়

বাইরে তখন বৃষ্টি পড়ছিল। মা শেয়াল তার একপাল ছানাপোনা নিয়ে বসে আছে গুহার ভিতর। মাঝে মাঝে বৃষ্টির ছাঁট এসে ঢুকছিল গুহার ভিতর। কারণ গুহাটা খুব একটা বড় নয়। কোনো রকমে ঠেলেঠুলে ওরা ছয়টা প্রাণী আশ্রয় নিয়েছে। মা শেয়াল বসেছিল গুহার একেবারে মুখের কাছে, যাতে বৃষ্টির পানি ছানাদের গা ছুঁতে না পারে। ঝম ঝম বৃষ্টি। মা … বিস্তারিত পড়ুন

উকিলের বুদ্ধি – সুকুমার রায়

গরিব চাষা, তার নামে মহাজন নালিশ করেছে। বেচারা কবে তার কাছে পঁচিশ টাকা নিয়েছিল, সুদে-আসলে তাই এখন পাঁচশো টাকায় দাঁড়িয়েছে। চাষা অনেক কষ্টে একশো টাকা যোগাড় করেছে; কিন্তু মহাজন বলছে, “পাঁচশো টাকার এক পয়সাও কম নয়; দিতে না পার তো জেলে যাও।” সুতরাং চাষার আর রক্ষা নাই। এমন সময় শামলা মাথায় চশমা চোখে তোখোড়-বুদ্ধি উকিল … বিস্তারিত পড়ুন

উঁচু বাড়ি – সুকুমার রায়

লোকে বলে—’মনুমেন্টের মতো উঁচু!’ সেরকম উঁচু বাড়ি দেখলে আমরা বলি ‘ইস্‌! বড্ড উঁচু বাড়ি।’ কিন্তু একটিবার আমেরিকায় ঘুরে এস, তারপরে সেই বাড়িই তোমার চোখে নিতান্তই ছোট ঠেকবে। মনুমেন্টের মাথায় অমন আরও দু-চারটা মনুমেন্ট চাপাও, তবে আমেরিকার লোকে বলবে ‘হ্যাঁ, কতকটা উঁচু বটে!’ নিউ ইয়র্কের একটি বাড়ি পঞ্চান্ন তলা—সাড়ে সাতশ ফুট উঁচু! একটা সাধারণ তিনতলা বাড়ি … বিস্তারিত পড়ুন

এক দাঁতের রাক্ষস

রাক্ষস রাজ্যে আজ খুশির বন্যা বইছে। রাজ্যজুড়ে হুম, হাম, দুম, দাম শব্দ হচ্ছে। রাক্ষসরাজা মন্ত্রীকে ডাকলেন – মন্ত্রী? – জি হুজুর। – শব্দ এতো কম হচ্ছে কেন? শব্দ বাড়াতে হবে। তুমি শব্দের ব্যবস্থা করো। – জি হুজুর। আমি এখনই যাচ্ছি। পুরো রাজ্য এবার টের পাবে, শব্দ কাকে বলে! – ৬০০ বছর পর আমার একটা পুত্র … বিস্তারিত পড়ুন

এক বছরের রাজা – সুকুমার রায়

এক ছিলেন সওদাগর— তাঁর একটি সামান্য ক্রীতদাস তাঁর একমাত্র ছেলেকে জল থেকে বাঁচায়। সওদাগর খুশি হয়ে তাকে মুক্তি তো দিলেনই, তা ছাড়া জাহাজ বোঝাই ক’রে নানা রকম বাণিজ্যের জিনিস তাকে বকশিশ দিয়ে বললেন, “সমুদ্র পার হয়ে বিদেশে যাও— এই সব জিনিস বেচে যা টাকা পাবে, সবই তোমার।” ক্রীতদাস মনিবের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে জাহাজে চড়ে … বিস্তারিত পড়ুন

একটি বাবুই ও নীল পরীর গল্প

ছোট্ট একটি গ্রামে একটি ছোট্ট ঘরে একটি ছোট্ট ছেলে তার মায়ের সাথে থাকত। ছেলেটির নাম ছিল নিলয় মাহমুদ। তার নাম যা ই হোক, মা তাকে বাবুই নামেই ডাকতে বেশি পছন্দ করে। বাবুই মায়ের অনেক আদরের। আর বাবুইও মাকে অনেক বেশি পছন্দ করে। বিশেষ করে মায়ের সেই গল্প। মা তাকে প্রতি রাতেই গল্প শুনায়। মায়ের গল্প … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!