জানোয়ার ইঞ্জিনিয়ার – সুকুমার রায়

পাখির মধ্যে কাক, আর পশুর মধ্যে শেয়াল—বুদ্ধির জন্য মানুষে ইহাদের প্রশংসা করে। কিন্তু এখন যে জন্তুটির কথা বলিব, তাহার বুদ্ধি শেয়ালের চাইতে বেশি কিনা, সেটা তোমরা বিচার করিয়া দেখ। এই জন্তুর বাড়ি উত্তরের শীতের দেশে—বিশেষত উত্তর আমেরিকায়। ল্যাজশুদ্ধ দুহাত লম্বা জন্তুটি, দেখিতে কতকটা ইঁদুর বা ‘গিনিপিগে’র মতো; তাহার চেহারায় বিশেষ কোন বুদ্ধির পরিচয় পাওয়া যায় … বিস্তারিত পড়ুন

পুতুলের ভোজ – সুকুমার রায়

পুতুলের মা খুকী আজ ভয়ানক ব্যস্ত। আজ কিনা ছোট্ট পুতুলের জন্মদিন, তাই খুব খাওয়ার ধুম লেগেছে। ছোট্ট টেবিলের উপর ছোট্ট ছোট্ট থালা বাটি সাজিয়ে, তার মধ্যে কি চমৎকার ক’রে খাবার তৈরি ক’রে রাখা হয়েছে। আর চারিদিকে সত্যিকারের ছোট্ট ছোট্ট চেয়ার সাজানো রয়েছে, পুতুলেরা বসে খাবে ব’লে। খুকীর যে ছোটদাদা, তার কিনা সাড়ে চার বছর বয়স, … বিস্তারিত পড়ুন

টাকার বিপদ – সুকুমার রায়

বুড়ো মুচী রাতদিনই কাজ করছে আর গুণ্‌ গুণ্‌ গান করছে। তার মেজাজ বড় খুশি, স্বাস্থ্যও খুব ভাল। খেটে খায়; স্বচ্ছন্দে দিন চলে যায়। তার বাড়ির ধারে এক ধনী বেনে থাকে। বিস্তর টাকা তার; মস্ত বাড়ি, অনেক চাকর-বাকর। মনে কিনতি তার সুখ নাই, স্বাস্থ্যও তার ভাল নয়। মুচীর বাড়ির সামনে দিয়ে সে রোজ যাতায়াত করে আর … বিস্তারিত পড়ুন

পরীর দেশে একদিন-নারায়ণ চন্দ্র রায়

ছোট বেলায় আমরা রাতে দাদীর সঙ্গে ঘুমাতাম। আমরা ঘুমাতে দেরী করলে বা ঘুমাতে না চাইলে দাদী আমাদের গল্প শুনিয়ে ঘুম পাড়াতেন। মাঝে মধ্যে দাদী আমাদের ছড়া কবিতা পাঠ করেও শুনাতেন। না ঘুমিয়ে কি আর থাকা যায়? আমরা গল্প শুনে ঘুমিয়ে পড়তাম। আমরা দাদীর কাছে পরীর গল্প শুনতে চাইতাম। আর দাদী আমাদের পরীর গল্প না শুনিয়ে … বিস্তারিত পড়ুন

যতীনের জুতো – সুকুমার রায়

যতীনের নতুন জুতো কিনে এনে তার বাবা বললেন, “এবার যদি অমন করে জুতো নষ্ট কর তবে ওই ছেঁড়া জুতোই পরে থাকবে।” যতীনের চটি লাগে প্রতিমাশে একজোড়া। ধুতি তার দুদিন যেতে না যেতেই ছিঁড়ে যায়। কোনো জিনিসে তার যত্ন নেই। ব‌‌ইগুলো সব মলাট ছেঁড়া, কোণ দুমড়ান, শ্লেটটা উপর থেকে নিচ পর্যন্ত ফাটা। শ্লেটের পেন্‌‌সিলগুলি সর্বদাই তার … বিস্তারিত পড়ুন

টুনুদা-বিমল কর

লোকে বড় হলে গরু ধরে,আমি ন,দশ বছর বয়সে এক গরু ধরে ছিলাম।গরুর নাম টুনু।আমার মামাত বড় ভাই।টুনুদা বলে ডাকতাম।আমার বাবা তখন গোমোতে।রেলে চাকুরি করেন।আমরা থাকতাম রেল কোয়াটারে।বাড়ির সামনে বাচ্চা বাচ্চা পাহাড়,বা পাহাড়ের মতো উঁচু উঁচু ঢিবি। একবার সিমা এলেন আমাদের বাড়িতে।মাস খানেক থাকবেন।শরীর খারাপ বলে জল হাওয়া বদলাতে এসেছেন।মামীর সঙ্গে টুনুদা আর লিলি।টুনুদা আমার চেয়ে … বিস্তারিত পড়ুন

ঠুকে মারি আর মুখে মারি – সুকুমার রায়

মুখে-মারি পালোয়ানের বেজায় নাম, —তার মত পালোয়ান নাকি আর নাই। ঠুকে-মারি সত্যিকারের মস্ত পালোয়ান, মুখে-মারির নাম শুনে সে হিংসায় আর বাঁচে না। শেষে একদিন ঠুকে-মারি আর থাকতে না পেরে, কম্বলে নব্বুই মন আটা বেঁধে নিয়ে, সেই কম্বল কাঁধে ফেলে মুখে-মারির বাড়ি রওয়ানা হ’লো। পথে এক জায়গায় বড্ড পিপাসা আর ক্ষিদে পাওয়ায় ঠুকে-মারি কম্বলটা কাঁধ থেকে … বিস্তারিত পড়ুন

ডাকাত নাকি? -সুকুমার রায়

হারুবাবু সন্ধ্যার সময় বাড়ি ফিরছেন। স্টেশন থেকে বাড়ি প্রায় আধ মাইল দূর, বেলাও প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। হারুবাবু তাড়াতাড়ি পা চালিয়ে চলছেন। তাঁর এক হাতে ব্যাগ, আর এক হাতে ছাতা। চলতে চলতে হঠাৎ তাঁর মনে হল, কে যেন তাঁর পিছন পিছন আসছে। তিনি আড়চোখে তাকিয়ে দেখেন, সত্যি সত্যি কে যেন ঠিক তাঁরই মতন হন্‌হনিয়ে তাঁর … বিস্তারিত পড়ুন

ডিটেক্‌‌টিভ – সুকুমার রায়

জলধরের মামা পুলিশের চাকরি করেন, আর তার পিশেমশাই লেখেন ডিটেক্‌‌টিভ উপন্যাস। সেইজন্য জলধরের বিশ্বাস যে, চোর-ডাকাত জাল-জুয়াচোর জব্দ করবার সব রকম সঙ্কেত সে যেমন জানে এমনি তার মামা আর পিশেমশাই ছাড়া কেউ জানে না। কারও বাড়িতে চুরি-টুরি হলে জলধর সকলের আগে সেখানে হাজির হয়। আর, কে চুরি করল, কি করে চুরি হল, সে থাকলে এমন … বিস্তারিত পড়ুন

গরিলা – সুকুমার রায়

গরিলা থাকে আফ্রিকার জঙ্গলে। গাছের ডালপালার ছায়ায় সে জঙ্গল দিনদুপুরেও অন্ধকার হয়ে থাকে; সেখানে ভাল করে বাতাস চলে না, জীবজন্তুর সাড়াশব্দ নাই। পাখির গান হয়ত ক্বচিৎ কখন শোনা যায়। তারই মধ্যে গাছের ডালে বা গাছের তলায় লতাপাতার মাচা বেঁধে গরিলা ফলমূল খেয়ে দিন কাটায়। সে দেশের লোকে পারতপক্ষে সে জঙ্গলে ঢোকে না— কারণ গরিলার মেজাজের … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!