মানুষ মুখো – সুকুমার রায়

বাঁদরের মুখের চেহারা যে অনেকটা মানুষের মতো তা দেখলেই বোঝা যায়; বিশেষত ওরাং ওটান শিম্পাঞ্জী প্রভৃতি বুদ্ধিমান বাঁদরদের চালচলন আর মুখের ভাব দেখলে মানুষের মতো আশ্চর্য সাদৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। কোন কোন বাঁদর আছে তাদের মাথার লোমগুলি দেখলে ঠিক টেরিকাটা মানুষের মাথার মতো মনে হয়, যেন কেউ চিরুনি দিয়ে চুল ফিরিয়ে সিঁথি কেটে দিয়েছে। এক … বিস্তারিত পড়ুন

ফুলি চললো ফিলিমে –পূর্ণেন্দু পত্রী

দেবু তার মেজোবৌদিকে সুমিতার ঘরে ঢুকে সটান মেঝেয় শুয়ে,হাত-পা ছাড়িয়ে গড়াতে গড়াতে বললে- দারুন গুড নিউজ আছে তোমার।সিনিমার নামার চান্স এসে গেছে তো— সুমিতা সদ্য স্নান করে এসে আয়নার সামনে দাড়িয়ে মুখে ঘাড়ে একটু পাউডারের পাফ বোলাচ্ছিল।সিনিমার কোথায় ঠোটে লিপস্টিক ঘসতে ঘসতেই ঠোঁট উল্টে বলে-থাক,সাত-সকালে তোমাকে আর সিনিমার কথা বলে রসিকতা করতে হেব না।যখন বসয় … বিস্তারিত পড়ুন

মরুর দেশে – সুকুমার রায়

‘মরু’ নামটিতেই বলিয়া দেয় যে দেশটি মরা। গাছপালা জীবজন্তু সেখানে বাড়িতে পায় না; মানুষ সেখানে বাস করিতে গেলে দুদিনের বেশি টিঁকিতে পারে না; এমনি ভয়ানক সে দেশ। পৃথিবীর ‘ম্যাপ’ যদি দেখ, দেখিবে আফ্রিকার উত্তর-পশ্চিমে সাহারার প্রান্ত হইতে চীন সাম্রাজ্যের মাঝামাঝি পর্যন্ত বড় বড় দেশ জুড়িয়া Desert (পরিত্যাক্ত দেশ) বা মরুভুমি পড়িয়া আছে। তাছাড়া পৃথিবীর প্রায় … বিস্তারিত পড়ুন

বাজে গল্প ১ – সুকুমার রায়

দুই বন্ধু ছিলো , একজন অন্ধ আর একজন কালা। দুইজনে বেজায় ভাব। কালা বিজ্ঞাপনে পড়িলো আর অন্ধ লোকমুখে শুনিলো, কোথায় যেন যাত্রা হইবে, সেখানে সঙেরা নাচগান করিবে। কালা বলিলো , “অন্ধ ভাই চলো, যাত্রায় গিয়া দেখি”। অন্ধ হাত নাড়িয়া গলা খেলাইয়া কালাকে বুঝাইয়া দিলো, “কালা ভাই চলো , যাত্রায় নাচগান শুনিয়া আসি।” দুইজনে যাত্রার আসরে … বিস্তারিত পড়ুন

রাগের ওষুধ – সুকুমার রায়

কেদারবাবু বড় বদরাগী লোক। যখন রেগে বসেন, কাণ্ডাকাণ্ড জ্ঞান থাকে না। একদিন তিনি মুখখানা বিষণ্ণ ক’রে বসে আছেন, এমন সময় আমাদের মাস্টারবাবু এসে বললেন, ‘কি হে কেদারকেষ্ট, মুখখানা হাঁড়ি কেন?” কেদারবাবু বললেন, “আর মশাই, বলবেন না। আমার সেই রূপোবাঁধানো হুঁকোটা ভেঙে সাত টুকরো হয়ে গেল— মুখ হাঁড়ির মত হবে না তো কি বদনার মত হবে?” … বিস্তারিত পড়ুন

বাজে গল্প ২ – সুকুমার রায়

কোলকেতার সাহেববাড়ি থেকে গোষ্ঠবাবুর ছবি এসেছে। এ বাড়িতে তাই হুলুস্থুল। চাকর বামুন ধোপা নাপিত দারোগা পেয়াদা সবাই বলে, “দৌড়ে চল, দৌড়ে চল।” যে আসে সেই বলে , “কি চমৎকার ছবি, সাহেবের আকা”, বুড়ো যে সরকার মশাই তিনি বললেন, “সবচাইতে সুন্দর হয়েছে বাবুর মুখের হাসিটুকু- ঠিক তাঁরই মতো ঠান্ডা হাসি”। শুনে অবাক হয়ে সবাই বল্লে, “যা-হোক … বিস্তারিত পড়ুন

বাজে গল্প ৩ – সুকুমার রায়

কতগুলো ছেলে ছাতের উপর হুড়োহুড়ি করে খেলা করছে—এমন সময়ে একটা মারামারির শব্দ শোনা গেল। তারপরেই হঠাৎ গোলমাল থেমে গিয়ে সবাই মিলে “হারু পড়ে গেছে” বলে কাঁদতে কাঁদতে নীচে চলল। খানিক বাদেই শুনি একতলা থেকে কান্নাকাটির শব্দ উঠছে। বাইরের ঘরে যদুর বাবা গণেশবাবু ছিলেন—তিনি ব্যস্ত হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, “কি হয়েছে?” শুনতে পেলেন ছেলেরা কাঁদছে “হারু পড়ে … বিস্তারিত পড়ুন

বিষ্ণুবাহনের দিগ্বিজয় – সুকুমার রায়

বিষ্ণুবাহন খাসা ছেলে। তাহার নামটি যেমন জমকালো, তার কথাবার্তা চাল-চলনও তেমনি। বড় বড় গম্ভীর কথা তাহার মুখে যেমন শোনাইত, এমন আর কাহারও মুখে শুনি নাই। সে যখন টেবিলের উপর দাঁড়াইয়া হাত পা নাড়িয়া ‘দুঃশাসনের রক্তপান’ অভিনয় করিত, তখন আমরা সবাই উৎসাহে হাততালি দিয়া উঠিতাম, কেবল দু-একজন হিংসুটে ছেলে নাক সিঁট্‌কাইয়া বলিত, “ওরকম ঢের ঢের দেখা … বিস্তারিত পড়ুন

বেচারাম কেনারাম – উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

প্রথম দৃশ্য (জামা রিপু করিতে করিতে কেনারাম চাকরের প্রবেশ) কেনা। ঐ যা! আবার খানিকটা ছিঁড়ে গেল। ছুঁতেই ছিঁড়ে যায়, তা রিপু করব কি? ভাল মনিব জুটেছে, যাই হোক, এই জামাটা দিয়েই ক’বছর কাটালে। তিন বছর ত আমিই এইরকম দেখছি, আরো বা ক’বছর দেখতে হয়। তবু যদি চারটে পেট ভরে খেতে দিত! তাও কেমন? সকালে মনিব … বিস্তারিত পড়ুন

বেবুন – সুকুমার রায়

যেসব বানরের মুখ কুকুরের মতো লম্বাটে, যারা চার পায়ে চলে, যাদের ল্যাজ বেঁটে আর গালের মধ্যে থলি আর পিছনের দিকটায় কাঁচা মাংসের ঢিপি, তাদের নামে বেবুন। বেবুনের আসল বাড়ি আফ্রিকায়, কেউ কেউ এশিয়াতেও থাকেন। বেবুন বংশের অনেক শাখা— হলদে বেবুন, লালমুখো বেবুন, ঝুঁটিওয়ালা কালো বেবুন, চিত্রমুখ স্নগ-বেবুন বা ম্যানড্রিল, চাকমা বেবুন, ড্রিল বেবুন ইত্যাদি। কিন্তু … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!