হাতির নাক এবং দুষ্ট কুমির ( শিশুতোষ গল্প)

এমন এক সময় ছিল, যখন হাতির নাক এতোটা লম্বা ছিল না।সে এপাশ ওপাশ মোড়াতো। কিন্তু হাতির বাচ্চা সব কিছু পরিবর্তন করেদিলো। সে ছিল জিজ্ঞাসু, অনেক কিছুই জানার জন্য সে শুধু প্রশ্ন আর প্রশ্ন করতো। সে উট পাখিকে জিজ্ঞেস করলো, কেন তার লেজে এতো পাখা? সে জিরাফকে জিজ্ঞেস করলো, কিসে তার সারা শরীরে এতো ফোটা ফোটা … বিস্তারিত পড়ুন

ভুল গল্প – সুকুমার রায়

[ এই গল্পের মধ্যে ইচ্ছা করিয়া কতগুলি ভুল বর্ণনা করা হইয়াছে। কোথাও হয়ত এমন কথাও লেখা হইয়াছে যাহা একেবারেই অসম্ভব; অথবা এক জায়গায় যাহা লেখা হইয়াছে অন্য জায়গায় তাহারই উল্টা কথা বলা হইয়াছে— একটা ঠিক হইলে আর একটা ঠিক হইতেই পারে না। দেখ তো এই রকম ভুল কতগুলি বাহির করিতে পার। ] রামবাবু লোকটি যেমন … বিস্তারিত পড়ুন

প্রলয়ের ভয় – সুকুমার রায়

পুরাণে আমরা প্রলয়ের কথা পড়েছি। কবে প্রলয় হয়েছিল, আবার কবে হবে, কেমন করে প্রলয় হয়, এইসবের নানারকম বর্ণনাও তাতে আছে। প্রলয়ের সময়ে সমস্ত সৃষ্টি যে জলে ডুবে যাবে এ কথাও বার বার করে বলা হয়েছে। আশ্চর্য এই যে, নানান দেশে নানান জাতির ইতিহাসে প্রলয়ের প্রায় একই ধরনের বর্ণনা আছে। অন্তত এ কথাটা অনেক দেশের পুরাণেরি … বিস্তারিত পড়ুন

মাটির বাসন – সুকুমার রায়

মাটির বাসন গড়িতে জানে না, এমন জাতি পৃথিবীতে খুব কমই আছে। নিতান্ত আসভ্য মানুষ যাহারা কাপড় পরিতে জানে না, যাহারা বনে জঙ্গলে ঘুরিয়া বেড়ায়, তাহাদের মধ্যেও মাটর বাসনের চল আছে। অতি প্রাচীনকালের মানুষ, যাহারা পাথর শানাইয়া অস্ত্র গড়িত, যাহারা ধাতুর ব্যবহার শিখে নাই, তাহাদের কবর খুঁড়িলে মাটির গেলাস ঘটি বাটি পাওয়া যায়। কেবল তাহাই নয়, … বিস্তারিত পড়ুন

পরস্মৈপদী হাতির গল্প

এ কাহিনি আমার নয়, আমার পিতৃদেব মাতৃদেবীর। ঘটনা আমার জন্মের কিছুমাস আগেকার। তথ্যগত কিছু ভুলত্রুটি তাই কিছু থেকে যেতে পারে, কারণ গল্পের পুরোটাই পরস্মৈপদী। পিতৃদেব ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পিডব্লুডির ইঞ্জিনীয়ার। দু-তিন বছর অন্তর অন্তর পোস্টিং বদলাত। চাকরিজীবনের তখন শুরুর দিক, আঞ্চলিক রাজনীতির নিয়ম মেনেই তখন “ভালো’ জায়গায় পোস্টিং পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা ছিল না। এজন্য পিতৃদেবের … বিস্তারিত পড়ুন

মানুষ মুখো – সুকুমার রায়

বাঁদরের মুখের চেহারা যে অনেকটা মানুষের মতো তা দেখলেই বোঝা যায়; বিশেষত ওরাং ওটান শিম্পাঞ্জী প্রভৃতি বুদ্ধিমান বাঁদরদের চালচলন আর মুখের ভাব দেখলে মানুষের মতো আশ্চর্য সাদৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। কোন কোন বাঁদর আছে তাদের মাথার লোমগুলি দেখলে ঠিক টেরিকাটা মানুষের মাথার মতো মনে হয়, যেন কেউ চিরুনি দিয়ে চুল ফিরিয়ে সিঁথি কেটে দিয়েছে। এক … বিস্তারিত পড়ুন

ফুলি চললো ফিলিমে –পূর্ণেন্দু পত্রী

দেবু তার মেজোবৌদিকে সুমিতার ঘরে ঢুকে সটান মেঝেয় শুয়ে,হাত-পা ছাড়িয়ে গড়াতে গড়াতে বললে- দারুন গুড নিউজ আছে তোমার।সিনিমার নামার চান্স এসে গেছে তো— সুমিতা সদ্য স্নান করে এসে আয়নার সামনে দাড়িয়ে মুখে ঘাড়ে একটু পাউডারের পাফ বোলাচ্ছিল।সিনিমার কোথায় ঠোটে লিপস্টিক ঘসতে ঘসতেই ঠোঁট উল্টে বলে-থাক,সাত-সকালে তোমাকে আর সিনিমার কথা বলে রসিকতা করতে হেব না।যখন বসয় … বিস্তারিত পড়ুন

মরুর দেশে – সুকুমার রায়

‘মরু’ নামটিতেই বলিয়া দেয় যে দেশটি মরা। গাছপালা জীবজন্তু সেখানে বাড়িতে পায় না; মানুষ সেখানে বাস করিতে গেলে দুদিনের বেশি টিঁকিতে পারে না; এমনি ভয়ানক সে দেশ। পৃথিবীর ‘ম্যাপ’ যদি দেখ, দেখিবে আফ্রিকার উত্তর-পশ্চিমে সাহারার প্রান্ত হইতে চীন সাম্রাজ্যের মাঝামাঝি পর্যন্ত বড় বড় দেশ জুড়িয়া Desert (পরিত্যাক্ত দেশ) বা মরুভুমি পড়িয়া আছে। তাছাড়া পৃথিবীর প্রায় … বিস্তারিত পড়ুন

বাজে গল্প ১ – সুকুমার রায়

দুই বন্ধু ছিলো , একজন অন্ধ আর একজন কালা। দুইজনে বেজায় ভাব। কালা বিজ্ঞাপনে পড়িলো আর অন্ধ লোকমুখে শুনিলো, কোথায় যেন যাত্রা হইবে, সেখানে সঙেরা নাচগান করিবে। কালা বলিলো , “অন্ধ ভাই চলো, যাত্রায় গিয়া দেখি”। অন্ধ হাত নাড়িয়া গলা খেলাইয়া কালাকে বুঝাইয়া দিলো, “কালা ভাই চলো , যাত্রায় নাচগান শুনিয়া আসি।” দুইজনে যাত্রার আসরে … বিস্তারিত পড়ুন

রাগের ওষুধ – সুকুমার রায়

কেদারবাবু বড় বদরাগী লোক। যখন রেগে বসেন, কাণ্ডাকাণ্ড জ্ঞান থাকে না। একদিন তিনি মুখখানা বিষণ্ণ ক’রে বসে আছেন, এমন সময় আমাদের মাস্টারবাবু এসে বললেন, ‘কি হে কেদারকেষ্ট, মুখখানা হাঁড়ি কেন?” কেদারবাবু বললেন, “আর মশাই, বলবেন না। আমার সেই রূপোবাঁধানো হুঁকোটা ভেঙে সাত টুকরো হয়ে গেল— মুখ হাঁড়ির মত হবে না তো কি বদনার মত হবে?” … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!