ব্যাঙের রাজা- সুকুমার রায়

রাজবাড়িতে যাবার যে পথ, সেই পথের ধারে প্রকাণ্ড দেয়াল, সেই দেয়ালের একপাশে ব্যাঙেদের পুকুর। সোনাব্যাং, কোলাব্যাং, গেছোব্যাং, মেঠোব্যাং— সকলেরই বাড়ি সেই পুকুরের ধারে। ব্যাঙেদের সর্দার যে বুড়ো ব্যাং, সে থাকে দেয়ালের ধারে, একটা মরা গাছের ফাটলের মধ্যে, আর ভোর হলে সবাইকে ডাক দিয়ে জাগায়— “আয় আয় আয়— গ্যাঁক্‌ গ্যাঁক্‌ গ্যাঁক্‌— দেখ্‌ দেখ্‌ দেখ্‌— ব্যাং ব্যাং … বিস্তারিত পড়ুন

ব্যোমকেশের মাঞ্জা – সুকুমার রায়

‘টোকিয়ো—কিয়োটো—নাগাসাকি—য়োকোহামা’— বোর্ডের উপর প্রকাণ্ড ম্যাপ ঝুলিয়ে হারাণচন্দ্র জাপানের প্রধান নগরগুলি দেখিয়ে যাচ্ছে। এর পরেই ব্যোমকেশের পালা, কিন্তু ব্যোমকেশের সে খেয়াল‌‌ই নেই। কাল বিকেলে ডাক্তারবাবুর ছোট্ট ছেলেটার সঙ্গে প্যাঁচ খেলতে গিয়ে তার দু-দুটো ঘুড়ি কাটা গিয়েছিল, সে কথাটা কিছুতেই আর ভুলতে পারছে না। তাই সে বসে বসে সুতোর জন্যে কড়া রকমের একটা মাঞ্জা তৈরির উপায় চিন্তা … বিস্তারিত পড়ুন

বুদ্ধিমান শিষ্য – সুকুমার রায়

এক মুনি, তাঁর অনেক শিষ্য। মুনিঠাকুর তাঁর পিতৃশ্রাদ্ধে এক মস্ত যজ্ঞের আয়োজন করলেন। সে যজ্ঞ এর আগে মুনির আশ্রমে আর হয়নি। তাই তিনি শিষ্যদের ডেকে বললেন, “আমি এক যজ্ঞের আয়োজন করেছি, সে যজ্ঞ তোমরা হয়তো আর কোথাও দেখবার সুযোগ পাবে না, কাজেই যজ্ঞের সব কাজ কর্ম বিধি ব্যবস্থা বেশ মন দিয়ে দেখো। নিজের চোখে সব … বিস্তারিত পড়ুন

ভোলানাথের সর্দারি – সুকুমার রায়

সকল বিষয়েই সর্দারি করিতে যাওয়া ভোলানাথের ভারি একটা বদ অভ্যাস। যেখানে তাহার কিছু বলিবার দরকার নাই, সেখানে সে বিজ্ঞের মতো উপদেশ দিতে যায়, যে কাজের সে কিছুমাত্র বোঝে না, সে কাজেও সে চট্‌‌পট্‌‌ হাত লাগাইতে ছাড়ে না। এইজন্য গুরুজনেরা তাহাকে বলেন ‘জ্যাঠা’- আর সমবয়সীরা বলে ‘ফড়ফড়ি রাম’ ! কিন্তু তাহাতে তাহার কোনো দুঃখ নাই, বিশেষ … বিস্তারিত পড়ুন

ভুতুড়ে হোটেল

পেছনের ইতিহাস : ১৯০৯ সালে ফ্রীল্যান অস্কার স্ট্যানলী ( স্ট্যানলী স্টীমার অটোমোবাইল এর প্রতিষ্ঠাতা ) এই হোটেলের ন ির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেন । ১৪০ টি রুম সম্বলিত এই হোটেলটি সম্ভবত বেশী খ্যাতি পেয়েছে স্টীফেন কিং এর দি শাইনিং বইটির মাধ্যমে । যা তিনি লিখেছিলেন স্ট্যানলী হোটেলের ২১৭ নং রুমে থাকার পর । কিং তার নভেলটি … বিস্তারিত পড়ুন

ভুল গল্প – সুকুমার রায়

এই গল্পের মধ্যে ইচ্ছা করিয়া কতগুলি ভুল বর্ণনা করা হইয়াছে। কোথাও হয়ত এমন কথাও লেখা হইয়াছে যাহা একেবারেই অসম্ভব; অথবা এক জায়গায় যাহা লেখা হইয়াছে অন্য জায়গায় তাহারই উল্টা কথা বলা হইয়াছে— একটা ঠিক হইলে আর একটা ঠিক হইতেই পারে না। দেখ তো এই রকম ভুল কতগুলি বাহির করিতে পার। রামবাবু লোকটি যেমন কৃপণ, তাঁর … বিস্তারিত পড়ুন

প্রলয়ের ভয় – সুকুমার রায়

পুরাণে আমরা প্রলয়ের কথা পড়েছি। কবে প্রলয় হয়েছিল, আবার কবে হবে, কেমন করে প্রলয় হয়, এইসবের নানারকম বর্ণনাও তাতে আছে। প্রলয়ের সময়ে সমস্ত সৃষ্টি যে জলে ডুবে যাবে এ কথাও বার বার করে বলা হয়েছে। আশ্চর্য এই যে, নানান দেশে নানান জাতির ইতিহাসে প্রলয়ের প্রায় একই ধরনের বর্ণনা আছে। অন্তত এ কথাটা অনেক দেশের পুরাণেরি … বিস্তারিত পড়ুন

মাটির বাসন – সুকুমার রায়

মাটির বাসন গড়িতে জানে না, এমন জাতি পৃথিবীতে খুব কমই আছে। নিতান্ত আসভ্য মানুষ যাহারা কাপড় পরিতে জানে না, যাহারা বনে জঙ্গলে ঘুরিয়া বেড়ায়, তাহাদের মধ্যেও মাটর বাসনের চল আছে। অতি প্রাচীনকালের মানুষ, যাহারা পাথর শানাইয়া অস্ত্র গড়িত, যাহারা ধাতুর ব্যবহার শিখে নাই, তাহাদের কবর খুঁড়িলে মাটির গেলাস ঘটি বাটি পাওয়া যায়। কেবল তাহাই নয়, … বিস্তারিত পড়ুন

পরস্মৈপদী হাতির গল্প

এ কাহিনি আমার নয়, আমার পিতৃদেব মাতৃদেবীর। ঘটনা আমার জন্মের কিছুমাস আগেকার। তথ্যগত কিছু ভুলত্রুটি তাই কিছু থেকে যেতে পারে, কারণ গল্পের পুরোটাই পরস্মৈপদী। পিতৃদেব ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পিডব্লুডির ইঞ্জিনীয়ার। দু-তিন বছর অন্তর অন্তর পোস্টিং বদলাত। চাকরিজীবনের তখন শুরুর দিক, আঞ্চলিক রাজনীতির নিয়ম মেনেই তখন “ভালো’ জায়গায় পোস্টিং পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা ছিল না। এজন্য পিতৃদেবের … বিস্তারিত পড়ুন

মানুষ মুখো – সুকুমার রায়

বাঁদরের মুখের চেহারা যে অনেকটা মানুষের মতো তা দেখলেই বোঝা যায়; বিশেষত ওরাং ওটান শিম্পাঞ্জী প্রভৃতি বুদ্ধিমান বাঁদরদের চালচলন আর মুখের ভাব দেখলে মানুষের মতো আশ্চর্য সাদৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। কোন কোন বাঁদর আছে তাদের মাথার লোমগুলি দেখলে ঠিক টেরিকাটা মানুষের মাথার মতো মনে হয়, যেন কেউ চিরুনি দিয়ে চুল ফিরিয়ে সিঁথি কেটে দিয়েছে। এক … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!