ওয়াসিলিসা – সুকুমার রায়

ওয়াসিলিসা এক সওদাগরের মেয়ে। তার মা ছিল না, কেউ ছিল না— ছিল খালি এক দুষ্টু সৎমা আর ছিল সে সৎমার দুটো ডাইনীর মত মেয়ে। ওয়াসিলিসার মা যখন মারা যান, তখন তিনি তাকে একটা কাঠের পুতুল দিয়েছিলেন আর বলেছিলেন, “একে কখন ছেড়ো না, সর্বদা কাছে কাছে রেখো, আর যখন তোমার বিপদ-আপদ ঘটবে, একে চারটি কিছু খেতে … বিস্তারিত পড়ুন

খুকির লড়াই দেখা – সুকুমার রায়

একদল ইংরেজ সৈন্য মাঠের পাশ দিয়ে লড়ায়ের জায়গায় যাচ্ছে, এমন সময় তাদের একজন হঠাৎ দেখতে পেল, মাঠের কিনারায় একটা খুকী ঘুমাচ্ছে! আশেপাশে কোথাও লোকজন নাই, ঘর বাড়ি যা কিছু ছিল কোন কালে গোলা লেগে ছাতু হ’য়ে গেছে— এমন জায়গায় খুকী আস্‌ল কোথা থেকে? খুকীর বয়স বছর দুই, টুক্‌টুক্‌ ক’রে হেঁটে বেড়ায়, অতি মিষ্টি ক’রে দু’চারটি … বিস্তারিত পড়ুন

খোঁড়া মুচির পাঠশালা – সুকুমার রায়

পোর্ট্‌স্‌মাউথের বন্দরে এক খোঁড়া মুচি থাকিত, তাহার নাম জন পাউন্ডস। ছেলেবেলায় জন তাহার বাবার সঙ্গে জাহাজের কারখানায় কাজ করিত। সেইখানে পনের বৎসর বয়সে এক গর্তের মধ্যে পড়িয়া তাহার উরু ভাঙিয়া যায়। সে অবধি সে খোঁড়া হইয়াই থাকে এবং কোন ভারি কাজ করা তাহার পক্ষে অসম্ভব হইয়া পড়ে। গরীবের ছেলে, তাহার ত অলস হইয়া পড়িয়া থাকিলে … বিস্তারিত পড়ুন

খৃষ্টবাহন – সুকুমার রায়

তার নাম অফেরো। অমন পাহাড়ের মত শরীর, অমন সিংহের মত বল, অমন আগুনের মত তেজ, সে ছাড়া আর কারও ছিল না। বুকে তার যেমন সাহস, মুখে তার তেমনি মিষ্টি কথা। কিন্তু যখন তার বয়স অল্প, তখনই সে তার সঙ্গীদের ছেড়ে গেল; যাবার সময় বলে গেল, “যদি রাজার মত রাজা পাই, তবে তার গোলাম হয়ে থাকব। … বিস্তারিত পড়ুন

গোলরুটি- রূশদেশের উপকথা

এক ছিল বুড়ো আর বুড়ি। একদিন বুড়িকে বুড়ো ডেকে বলল: “ও বুড়ি একবার হাঁড়িটা ছেঁচে, ময়দার টিন ছেড়ে বেছে দেখ না, একটু ময়দা পাস কিনা। একটা গোল রুটি করে দিবি? বুড়ী কখন একটা মোরগের পাখনা নয়ে বসে গেল। হাঁড়ি ছেঁচে, ময়দার টিন ঝেড়ে, কোন রকমে দুমুঠো ময়দা বের করল। ময়ান দিয়ে বুড়ী ময়দাটুকু ঠাসলো। তারপর … বিস্তারিত পড়ুন

সেকালের বাঘ – সুকুমার রায়

সেকালে এমন সব জন্তু ছিল যা আজকাল আর দেখা যায় না—এ কথা তোমরা নিশ্চয়ই জান। সেকালের চার দাঁতওয়ালা হাতি, ত্রিশ হাত লম্বা কুমির বা হাঁসুলি-পরা তিন শিঙা গন্ডার, এর কোনটাই আজকাল পাওয়া যায় না। মাঝে মাঝে গুহা গহ্বরে পাহাড়ের গায়ে বা বরফের নীচে, তাদের কঙ্কালের কিছু কিছু চিহ্ন পাওয়া যায়—তা থেকেই পণ্ডিত লোকে বুঝতে পারেন … বিস্তারিত পড়ুন

সেকালের বাদুড় – সুকুমার রায়

‘সেকালের জন্তু’র কথা বলিলেই একটা কোন কিম্ভুতকিমাকার জানোয়ারের চেহারা মনে আসে। যে-সকল জন্তু এখন দেখিতে পাই না, অথচ যাহার কঙ্কালচিহ্ন দেখিয়া বুঝিতে পারি যে সে এককালে পৃথিবীতে ছিল, তাহার চেহারা ও চালচলন সম্বন্ধে স্বভাবতই কেমন একটা কৌতূহল জাগে। তাহার উপর যদি তাহার মধ্যে কোন অদ্ভুত বিশেষত্বের পরিচয় পাই, তবে ত কথাই নাই। সেকালের ‘বাদুড়’ লিখিলাম … বিস্তারিত পড়ুন

সূদন ওঝা –সুকুমার রায়

সূদন ছিল ভারি গরিব,তার এক মুঠো অন্নেরও যায়গা নাই।রোজ জুয়া খেলে লোককে ঠকিয়ে যা পায়,তাই দিয়ে কোন রকমে তার চলে যায়।যে দিন যা উপায় করে,সেই দিনই তা খরচ করে ফেলে।একটি পয়সাও হাতে রাখে না।এই ভাবে কয়েক বছর কেটে গেল।ক্রমে সূদনের জ্বালায় গ্রামের লোক অস্থির হয়ে পড়ল।পথে তাকে দেখলেই ঘরে গিয়ে দরজা দেয়,সে এমন পাকা খেলোয়াড় … বিস্তারিত পড়ুন

সবজান্তা দাদা – সুকুমার রায়

“এই দ্যাখ্‌‌ টেঁপি, দ্যাখ্‌‌ কি রকম করে হাউই ছাড়তে হয়। বড় যে রাজুমামাকে ডাকতে চাচ্ছিলি? কেন, রাজুমামা না হলে বুঝি হাউই ছোটানো যায় না? এই দ্যাখ্‌‌।” দাদার বয়স প্রায় বছর দশেক হবে, টেঁপির বয়স মোটে আট, অন্য অন্য ভাইবোনেরা আরো ছোট। সুতরাং দাদার দাদাগিরির অন্ত নেই। দাদাকে হাউই ছাড়তে দেখে টেঁপির বেশ একটু ভয় হয়েছিল, … বিস্তারিত পড়ুন

সবজান্তা – সুকুমার রায়

আমাদের ‘সবজান্তা’ দুলিরামের বাবা কোন একটা খবরের কাগজের সম্পাদক । সেই জন্য আমাদের মধ্যে অনেকেরই মনে তাহার সমস্ত কথার উপরে অগাধ বিশ্বাস দেখা যাইত । যে কোন বিষয়েই হোক, জার্মানির লড়াইয়ের কথাটাই হোক আর মোহনবাগানের ফুটবলের ব্যাখ্যাই হোক, দেশের বড় লোকদের ঘরোয়া গল্পই হোক, আর নানারকম উৎকট রোগের বর্ণনাই হোক, যে কোন বিষয়ে সে মতামত … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!