পিঁপড়ে আর হাতি আর বামুনের চাকর – উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

এক পিঁপড়ে ছিল আর তার পিঁপড়ী ছিল, আর তাদের দুজনের মধ্যে ভারি ভাব ছিল। একদিন পিঁপড়ী বললে, ‘দেখ পিঁপড়ে, আমি যদি তোমার আগে মরি, তবে কিন্তু তুমি আমাকে গঙ্গায় নিয়ে ফেলবে। কেমন পিঁপড়ে, ফেলবে তো?’ পিঁপড়ে বললে, ‘হ্যাঁ পিঁপড়ী, অবশ্যি ফেলব। আর আমি যদি তোমার আগে মরি, তবে কিন্ত তুমি আমাকে গঙ্গায় নিয়ে ফেলবে। কেমন … বিস্তারিত পড়ুন

পণ্ডিতের খেলা – সুকুমার রায়

সে প্রায় দেড়শত বৎসরের আগেকার কথা, একদিন এক ইংরাজ বুড়ি তাহার জানালা দিয়া দেখিতে পাইল যে, পাশের বাড়িতে বাগানে বসিয়া একজন বয়স্ক লোক সারাদিন কেবল বুদ্বুদ উড়াইতেছে। দুদিন চারদিন এইরকম দেখিয়া বুড়ি ভাবিল লোকটা নিশ্চয় পাগল—তা না হইলে, কাজ নাই কর্ম নাই, কেবল কচি খোকার মতো বুদ্বুদ লইয়া খেলা—এ আবার কোন দেশী আমোদ? বুড়ি তখন … বিস্তারিত পড়ুন

বাঘ ও মেষশাবক – ঈশপের গল্প

এক বাঘ, পর্বতের ঝরনায় জলপাল করতে গিয়ে দেখতে পেল, কিছু দূরে, নীচের দিকে, এক মেষশাবক জলপান করছে।বাঘমনে মনে ভাবল, আজকে এই মেষশাবকে হত্যা করে এর কচি মাংস খাব কিন্তু বিনা দোষে এক প্রাণীকে হত্যা করা উচিত নয়। অতএব একটা দোষ দেখিয়ে তাকে হত্যা করতে হবে। এই চিন্তা করে,বাঘ তারাতারি সেই মেষ শাবকের কাছে গিয়ে বলল, … বিস্তারিত পড়ুন

বোকা বাঘ – উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

এক রাজার বাড়ির কাছে এক শিয়াল থাকত। রাজার ছাগলের ঘরের পিছনে তার গর্ত ছিল। রাজার ছাগলগুলি খুব সুন্দর আর মোটা-সোটা ছিল। তাদের দেখলেই শিয়ালের ভারি খেতে ইচ্ছে হত। কিন্ত রাজার রাখালগুলির ভয়ে তাদের কাছে আসতে পারত না। তখন শিয়াল তার গর্তের ভিতর থেকে খুঁড়তে আরম্ভ করল। খুঁড়ে-খুঁড়ে সে তো ছাগলের ঘরে এসে উপস্থিত হল, কিন্ত … বিস্তারিত পড়ুন

ব্যাঙের সমুদ্র দেখা – সুকুমার রায়

গ্রামের ধারে কবেকার পুরান এক পাতকুয়োর ফাটলের মধ্যে কোলাব্যাং তার পরিবার নিয়ে থাকত। গ্রামের মেয়েরা সেখানে জল তুলতে এসে যেসব কথাবার্তা বলত কোলাব্যাং তার ছেলেদের সেইসব কথা বুঝিয়ে দিত—আর ছেলেরা ভাবত ‘ইস্‌! বাবা কত জানে!’ একদিন সেই মেয়েরা সমুদ্রের কথা বলতে লাগল। ব্যাঙের ছানারা জিজ্ঞাসা করল—”হ্যাঁ বাবা! সমুদ্র কাকে বলে?” ব্যাং খানিক ভেবে বলল, “সমুদ্র? … বিস্তারিত পড়ুন

বুদ্ধিমান শিষ্য -সুকুমার রায়

এক মুনি, তাঁর অনেক শিষ্য। মুনিঠাকুর তাঁর পিতৃশ্রাদ্ধে এক মস্ত যজ্ঞের আয়োজন করলেন। সে যজ্ঞ এর আগে মুনির আশ্রমে আর হয়নি। তাই তিনি শিষ্যদের ডেকে বললেন, “আমি এক যজ্ঞের আয়োজন করেছি, সে যজ্ঞ তোমরা হয়তো আর কোথাও দেখবার সুযোগ পাবে না, কাজেই যজ্ঞের সব কাজ কর্ম বিধি ব্যবস্থা বেশ মন দিয়ে দেখো। নিজের চোখে সব … বিস্তারিত পড়ুন

বুদ্ধিমানের সাজা – সুকুমার রায়

আলি শাকালের মত ওস্তাদ আর ধূর্ত নাপিত সে সময়ে মেলাই ভার ছিল। বাগদাদের যত বড় লোক তাকে দিয়ে খেউড়ী করাতেন, গরিবকে সে গ্রাহ্যই করত না। একদিন এক গরীব কাঠুরে ঐ নাপিতের কাছে গাধা বোঝাই ক’রে কাঠ বিক্রী করতে এল। আলি শাকাল কাঠুরেকে বলল, “তোমার গাধার পিঠে যত কাঠ আছে সব আমাকে দাও; তোমাকে এক টাকা … বিস্তারিত পড়ুন

লোলির পাহারা – সুকুমার রায়

শহর থেকে অনেক দূরে “লোলি”দের বাড়ি। সে বাড়িতে খালি লোলি থাকে আর তার বাবা থাকেন, আর থাকে একটা বুড়ো শূয়োর। বাড়ির চারিদিকে ছোট ছোট ক্ষেত, তার চারিদিকে বেড়া দিয়ে ঘেরা। ক্ষেতে যে সামান্য ফসল হয়, তাই বেচবার জন্য লোলির বাবা শহরে যান, আর লোলিকে বলে দিয়ে যান, “তুই বাড়িতে থেকে ভাল করে পাহারা দিস্‌।” লোলি … বিস্তারিত পড়ুন

শিকারী কুকুর- ঈশপের গল্প

এক ব্যক্তির একটি অতি উত্তম শিকারী কুকুর ছিল। তিনি যখন শিকার করিতে যাইতেন, কুকুরটি সঙ্গে থাকিত। ঐ কুকুরের বিলক্ষণ বল ছিল; শিকারের সময়, কোনও জন্তুকে দেখাইয়া দিলে, সে সেই জন্তুর ঘাড়ে এমনভাবে কামড়াইয়া ধরিতো যে, উহা আর পলাইতে পারিত না। যতদিন তাহার শরীরে বল ছিল, সে, এই রূপে, আপন প্রভুর যথেষ্ট উপকার করিয়াছিল। কালক্রমে, ঐ … বিস্তারিত পড়ুন

শিয়াল পন্ডিত – উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

কুমির দেখলে, সে শিয়ালের সঙ্গে কিছুতেই পেরে উঠছে না। তখন ভাবলে, ‘ ও ঢের লেখাপড়া জানে, তাতেই খালি আমাকে ফাঁকি দেয়। আমি মূর্খ লোক, তাই তাকে আঁটতে পারি না।’ অনেকক্ষণ ভেবে কুমির ঠিক করল যে, নিজের সাতটা ছেলেকে শিয়ালের কাছে দিয়ে খুব করে লেখাপড়া শেখাতে হবে। তার পরের দিনই সে ছানা সাতটাকে সঙ্গে করে শিয়ালের … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!