দেবী, পরী ও ডাকিনী

বাদশা একদিন বীরবলকে বললেন, ‘বীরবল দেবী, পরী ও ডাকিনীর শুধু নামই শুনেছি, কোনওদিন তাদের দেখিনি। তুমি তাদের এনে আমাকে দেখাতে পারো? আমার খুব ইচ্ছে করছে।’ বীরবল বললেন, ‘পারি হুজুর। কিন্তু একটি শর্ত আছে। যদি শর্ত মতো কাজ করতে পারেন তবে আজকেই দেখাতে পারি। ‘কী শর্ত ? বীরবল বললেন, আমি যখন তাদের আপনার কাছে হাজির করব, … বিস্তারিত পড়ুন

কচ্ছপ

বাবা কখনো কাছিম বলেন না, বলেন কচ্ছপ। অনেক সময় লক্ষ করেছি, কোনো প্রসঙ্গে আলোচনা অথবা কথা-কাটাকাটি শুরু হলে, ওই প্রসঙ্গ বা কথার মধ্যে ডান হাতের তর্জনী সোজা করে কিছু বলার জন্য যেন সুযোগ খোঁজেন বাবা। বলেন, ‘এক্কেবারে কচ্ছপের মতো।’ একদিন বাবাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘এর মধ্যে কাছিমের মতো কী দেখলেন?’ সে কথা জিজ্ঞেস করাও যেন অপরাধ। … বিস্তারিত পড়ুন

ঘুমের ঘাটে

ছোট বোন পারুল অদ্ভুত ধরনের। ধানের পাতার মতো সুন্দর। কেবল স্বপ্ন দেখে। কত রকম যে তার স্বপ্ন! কেউ শুনে শেষ করতে পারবে না। বিরক্তি চলে আসতে পারে। বলবে, যা তো, তোর স্বপ্ন নিয়ে ঘুমিয়ে পড়। একদিন সে সত্যি সত্যি ঘুমিয়ে পড়ে। তার ঘুমের মধ্যে পাথরঘাটা হয়ে যায় ঘুমের ঘাট। ঘুমের ঘাটে একদল দস্যু আসে। তারা … বিস্তারিত পড়ুন

বঙ্গদেশের আষাঢ়ে গল্প

মজিদ সাহেব ভুলোমনা মানুষ, ভুলোমনের জন্য জীবনে অনেক সমস্যায় পড়েছেন। কিন্তু কীভাবে যেন পারও পেয়ে গেছেন, নিশ্চয় ওপরওলার কৃপায়। আরও সমস্যায় তিনি পড়তে পারতেন, কিন্তু সেটি হতে দেয়নি তাঁর মেয়ে নিশাত, যার জন্ম হতে হতে তিনি অনেক সহজ হয়েছেন, তাঁর কঠোরতা কমেছে, গরম মেজাজ যথেষ্ট ঠান্ডা হয়েছে। নিশাতের বড় দুই ভাই বড় হয়েছে মজিদ সাহেবের … বিস্তারিত পড়ুন

বলা গল্প ফিরতি বলা

গল্পটা আষাঢ়ে হলেও ঘটনাটা আষাঢ় মাসের নয়। ঘটেছিল জোষ্ঠি মাসে। যশোরের নাভারন, ঝিকরগাছা ইত্যাদি পেরিয়ে গদখালীর মাঠ—একটা ছোট স্টেশন। ট্রেন দাঁড়ায় কি দাঁড়ায় না। সকালে-বিকেলে দু-চারজন মানুষকে উঠতে-নামতে দেখা গেলেও দুপুরে প্রায়ই অকারণে ট্রেন ক্যাঁচ শব্দে দাঁড়ায়; তারপর ক্যাঁচকোচ শব্দে লোহায় লোহায় ঘষাঘষির আওয়াজ করতে করতে ছাড়ে। ট্রেন চলে গেলে স্টেশনের ভাঙা-ফাটা ইটের ঘরটা নির্জনে … বিস্তারিত পড়ুন

কাকস্য বেদনা

মানুষ শখ করে কত ধরনের পাখি পোষে! কবুতর, তোতা, টিয়া, কাকাতুয়া, জোড়ায় জোড়ায় লাভ বার্ড! আর আমি কিনা পুষি কালো পাখি—কাক! তা-ও খাঁচায় বন্দী করে না, ছাড়া রেখেই। আমার সেই পোষা কাকগুলো সারা দিন যথেচ্ছ উড়ে উড়ে ঘুরে বেড়ায়, সন্ধ্যা হলে ভালো ছেলেদের মতো ঘরে ফিরে আসে। বাসার পেছনের বারান্দায় স্তূপ করে ফেলে রাখা ভাঙা … বিস্তারিত পড়ুন

কবচ–শর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

‘–আরে হরিপদবাবু যে! প্রাতঃপ্রণাম,প্রাতঃপ্রণাম! — প্রাতঃপ্রণাম। কিন্তু আপনাকে তো ঠিক চিনতে পারলুম না মশাই? — তার তাড়াহুড়ো নেই, ক্রমে ক্রমে চিনবেন। আগে কুশলপ্রশ্নাদি সেরে নিই, তারপর না হয় অন্য কথা। তা বলি আপনার খিদে-টিদে ঠিকমতো হচ্ছে তো? রাতে বেশ সুনিদ্রা হয় তো? কোষ্ঠ নিয়মিত পরিষ্কার হচ্ছে তো? — দেখছেন মশাই, বাজারে যাচ্ছি। এখন কি আর … বিস্তারিত পড়ুন

রাতের অতিথি– শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

‘- গোপালবাবু যে! শুনলুম কাল রাতে আপনার বাড়িতে চোর এসেছিল! — ওঃ সে কী কান্ড মশাই। চোর বলে চোর! সাংঘাতিক চোর! — চোর-ডাকাতরই যুগ পড়েছে মশাই। চারদিকে চুরির একেবারে মচ্ছোব পড়ে গেছে। কী চুরি হচ্ছে না বলুন। সোনা- দানা, টাকা পয়সা, বাসনকোসন, জামাকাপড়, এমনকি জুতো, ঝাঁটা, বস্তা, পাপোষ যা পাচ্ছে চেঁছেপুঁছে নিয়ে যাচ্ছে। পরেশবাবুর বাড়িতে … বিস্তারিত পড়ুন

শুয়োর চরানো রাজকুমারের কথা — হ্যান্স অ্যান্ডারসন

অনেকদিন আগে এক বেচারা রাজকুমার ছিল ; তার একটা রাজ্যও ছিল । রাজ্যটা কিন্তু খুব ছোটো, তবু তার যা আয় হত, তাতেই বিয়ে করা চলত। রাজকুমারের বিয়ে করার বড়ো ইচ্ছা । দেশ-বিদেশের লোকে তার নাম জানত | একশো রাজকন্যার কাছে প্রস্তাব জিজ্ঞাসা করলে, তারা খুশি হয়ে বলত, “তোমাকে বিয়ে করব ? হ্যা, নিশ্চয়ই ; অনেক … বিস্তারিত পড়ুন

লাট্টু আর বলের কথা– হ্যান্স অ্যান্ডারসন

একটা দেরাজের ভিতরে অনেকরকম খেলনার সঙ্গে একটা লাটু, আর একটা বল পাশাপাশি রাখা ছিল। বলকে লাটু, বলল, “এতই যখন আমাদের কাছাকাছি রাখা হয়, তখন আমরা বর-কনে হয়ে যাই-না-কেন ?” বলটা মিহি মরক্কো চামড়ার তৈরি। তার ধারণা সে একজন হাল ফ্যাশনের বিবি। তা সে লাটুর কথা শুনবে কেন ? পরদিন খেলনাগুলোর মালিক দেরাজের কাছে এল । … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!