নিমন্ত্রণ

একদিন একটি সারস ও একটি শিয়ালের মধ্যে রাস্তায় যেতে যেতে দেখা হলো। এরপর একসঙ্গে পথ চলতে চলতে তাদের মধ্যে একটা বন্ধুত্ব হয়ে গেল। বিদায়ের সময় শিয়াল সারসকে সেদিন তার বাসায় রাতে খাওয়ার নিমন্ত্রণ জানাল। যথাসময়ে সারস শিয়ালের বাড়িতে উপস্থিত হলো। শিয়াল মজা করে সারসের সামনে একটা বিশাল চওড়া থালায় কিছু স্যুপের ব্যবস্থা করল। সারসের তো … বিস্তারিত পড়ুন

যেমন শ্বশুর তেমন জামাই – ভি এস নাইপল

হোটেলমালিক রামলগন হাঁ করে একবার গণেশের মুখের দিকে আরেকবার থালার দিকে তাকাচ্ছিল। গণেশের খাওয়া শেষ হতেই জিজ্ঞেস করল, ‘সাহেব, পেট ভরেছে?’ ‘ভরেছে,’ আঙুল দিয়ে থালা চাটতে চাটতে বলল গণেশ। ‘আমি বুঝি, সাহেব। বাবা মারা যাওয়ার পর আপনার তো আর আপন কেউ রইল না। একা একা অনেক কষ্ট হয় আপনার।’ বলেই চলেছে রামলগন, ‘সেই পাঁচ বছর … বিস্তারিত পড়ুন

ম্যাকগাইভারের স্বপ্ন!

স্বপ্ন সবাই দেখে। বিটিভির কিছুদিন আগের সবচেয়ে জনপ্রিয় চরিত্র ম্যাকগাইভারও দেখবে নিশ্চয়। দেখেও। ম্যাকগাইভারের স্বপ্নের সঙ্গে আমাদের স্বপ্নের পার্থক্য দুটো। প্রথমত আমাদের স্বপ্ন আমাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি, অন্য কারো সেখানে প্রবেশাধিকার নেই। কিন্তু ম্যাকগাইভারের স্বপ্ন দেখতে পারে সবাই। দ্বিতীয়ত দেখা যায় ম্যাকগাইভার স্বপ্নে যে অঞ্চলে বিচরণ করে তার একটি স্মারক ঘুম ভাঙ্গার পর ম্যাকের কাছে থেকে … বিস্তারিত পড়ুন

মামা-ভাগ্নের টিকিট-বাণিজ্য – আসিফ মেহ্দী

‘ঘরের বারান্দায় বিশ্বকাপ! স্টেডিয়ামে বসে খেলা না দেখলে পরকালে কী জবাব দিবি?’ মোবাইল ফোনে কথার ‘গুগলি’ ছুড়লেন মামা। অপর পাশের ব্যক্তি কী বললেন তা আমাদের জানার সুযোগ নেই। তবে লোকটার কথা শুনে মামা আনন্দে এমন হাসি দিলেন যেন মামার বিয়ের কথা পাকাপাকি হয়ে গেল। ফোন রেখেই হাতে তুলে নিলেন আধুনিক যুগের হাতিয়ার ‘ইলেকট্রনিক মসকিউটো ব্যাট’। … বিস্তারিত পড়ুন

আরুণির কর্তব্যনিষ্ঠা

অনেক অনেক কাল আগের কথা। শিক্ষার্থীরা গুরুগৃহে গিয়ে থাকত। লেখাপড়া শেষ করে নিজেদের বাড়িতে ফিরে যেত। শিক্ষার্থীরা গুরুগৃহকে নিজেদের বাড়ির মতোই মনে করত। গুরুও শিক্ষার্থীদের নিজের সন্তানের মতোই ভালবাসতেন। এমনি এক শিক্ষার্থী ছিলেন আরুণি। তাঁর গুরু ছিলেন ঋষি ধৌম্য। তখন বর্ষাকাল। বর্ষার জলের তোড়ে মাঠে ঋষি ধৌমের একখন্ড জমির আল ভেঙে গিয়েছিল। ঋষি ধৌম্য আরণিকে … বিস্তারিত পড়ুন

আদুভাই– আবুল মনসুর আহমদ– ৪র্থ অংশ

 চার আমি সেবার বিএ পরীক্ষা দেব। খুব মন দিয়ে পড়ছিলাম। হঠাৎ লাল লেফাফার এক পত্র পেলাম। কারো বিয়ের নিমন্ত্রণ-পত্র হবে মনে করে খুললাম। ঝরঝরে তকতকে সোনালি হরফে ছাপা পত্র। পত্র-লেখক আদুভাই। তিনি লিখেছেন : তিনি সেবার ক্লাস সেভেন থেকে ক্লাস এইটে প্রমোশন পেয়েছেন বলে বন্ধু-বান্ধবদের জন্য কিছু ডাল-ভাতের ব্যবস্থা করেছেন। দেখলাম, তারিখ অনেক আগেই চলে … বিস্তারিত পড়ুন

আফ্রিদি দৈত্য ও সাওদাগরের গল্প

বেগম শাহরাজাদ তাঁর গল্প বলা শুরু করলেন,–‘কোন এক সময়ে এক দেশে এক সওদাগর বাস করত। অগাধ ধন-দৌলতের মালিক। সারা দুনিয়েতে তার মত ধনী লোক একটি একটিও ছিল না। একসময় কিছু মালপত্র কেনার জন্য সে দেশে বিদেশে ঘুরতে লাগল। মাথার উপরে আগুনের মতো সূর্য। তার তাপে পথ চলা কঠিন। ক্লান্ত সওদাগর তাই বিশ্রামের জন্য একটা গাছতলায় … বিস্তারিত পড়ুন

হেকিম রায়ান, উজির ও বাদশা উনানের গল্প

অনেক কাল কাগে রুম দেশ নামে সুন্দর এক নগরী ছিল। সেখানে খুব শক্তিশালী এক সুলতান রাজত্ব করতেন। সৈন্য সামন্ত, চাকর-চাকরানী আর ধন সম্পদের কোন কিছুরই অভাব ছিল না তাঁর। কিন্তু দুঃখ তার একটাই ছিল, সুলতানের সারা গায়ে কুষ্ঠ রোগ ছিল। অনেক ডাক্তার, কবিরাজ দেখিয়েও তার রোগ ভাল হল না। এক সকালে সুলতানের দরবারে এক বৃদ্ধ … বিস্তারিত পড়ুন

সাদা লোমের লাল ছাগল

পোস্টারে ‘গরু কিনলে কসাই ফ্রি’ বিজ্ঞাপন দেখে নিচে দেয়া নম্বরে কল দিলো গেদু চাচা। ‘হ্যালো ভাই, এটা কি কসাই হাট বাজার নাকি?’ ‘জি না ভাই, এটি কসাই বাজার না, তবে মশাইবাড়ি মাঠ। তা আপনার কী চাই?’ অপরপ্রান্ত থেকে উল্টো প্রশ্ন আসল। ‘ইয়ে মানে, আমি তো একটা ছাগল কিনেছি, এখন উৎকৃষ্ট মানের চারজন কসাই লাগবে। আপনাদের … বিস্তারিত পড়ুন

আদুভাই– আবুল মনসুর আহমদ– ১ম অংশ

এক আদুভাই ক্লাস সেভেনে পড়তেন। ঠিক পড়তেন না বলে পড়ে থাকতেন বলাই ভাল। কারণ ঐ বিশেষ শ্রেণি ব্যতীত আর কোন শ্রেণিতে তিনি কখনো পড়েছেন কি না, পড়ে থাকলে ঠিক কবে পড়েছেন, সে কথা ছাত্ররা কেউ জানত না। শিক্ষকরাও অনেকে জানতেন না বলেই বোধ হত। শিক্ষকরাও অনেকে তাঁকে ‘আদুভাই’ বলে ডাকতেন। কারণ নাকি এই যে, তাঁরাও … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!