চালিয়াৎ– সুকুমার রায়

শ্যামচাঁদের বাবা কোন একটা সাহেব-অফিসে মস্ত কাজ করিতেন, তাই শ্যামচাঁদের পোষাক পরিচ্ছদে, রকম-সকমে কায়দার অন্ত ছিল না। সে যখন দেড় বিঘৎ চওড়া কলার আঁটিয়া, রঙিন ছাতা মাথায় দিয়া, নতুন জুতার মচ্‌মচ্‌ শব্দে গম্ভীর চালে ঘাড় উঁচাইয়া স্কুলে আসিত, তাহার সঙ্গে পাগড়িবাঁধা তক্‌মা-আঁটা চাপরাশি এক রাজ্যের বই ও টিফিনের বাক্স বহিয়া আনিত, তখন তাহাকে দেখাইত ঠিক … বিস্তারিত পড়ুন

ব্যাঘ্র বধের ব্যাপার

সেবার শীত পড়েছে প্রচণ্ড। এত বেশি ঠাণ্ডা যে সন্ধ্যার পরই নাকের ডগা জমে একেবারে শক্ত হয়ে যায় আর কানদুটো এমন অবশ হয়ে আসে যে ঠেসে কান মলে দিলেও কিছুই টের পাওয়া যায় না। এমনি সময়ে খবর এলো পশ্চিমের শালবনে একটা বিরাট ডোরাকাটা বাঘ এসে আস্তানা জমিয়েছে। বিরাট সেতো বোঝাই যাচ্ছে- কারণ ডোরাকাটা বাঘ তো আর … বিস্তারিত পড়ুন

আক্কেল গুড়ুম

ভবেরহাটি হল্টে ট্রেনটা যখন এসে থামল রাত তখন বার টা ঘর ছুই ছুই করছে।প্যাসেঞ্জার ট্রেন। বেশি রাত হেলেও কিছু থামে এখানে।এজ কিন্তু কুল্যে নামল একজন।তবে সে জন্য প্ল্যাটফর্মের একমাত্র চায়ের দোকান নুটুপদর তেমন ভাবন্তর হল না।রাতের শেষ ট্রেনটা হলেও দশ-পনের কাপ চা বিক্রি হয়ে যায়।আগে হত না।নুটুপও দাড়ে দশটার ট্রেন পার হয়ে গেলই দোকানের ঝাপ … বিস্তারিত পড়ুন

রাক্ষস ও এক বাজপাখির গল্প

হঠাৎ করেই বনের পাখিরা দুঃশ্চিন্তায় পড়ে গেলো। ওদের এই দুঃশ্চিন্তার কারণ একটি বাজপাখি। এটি যেন পাখি নয়, যেন রাক্ষস! সারাদিন শুধু খাই খাই। হাঁস খাবে, মুরগি খাবে, চড়–ই খাবে, টিয়া খাবে, ময়না খাবে- আরো কত কি! বাজপাখিটির ক্ষেতে কোন ক্লান্তি নেই। কিছুতেই যেন পেট ভরতে চায় না। বাজপাখিটির সকালের নাস্তায় ছোট-বড় মিলে দশ থেকে বারোটি … বিস্তারিত পড়ুন

তেনারা — শিশুতোষ গল্প

স্কুলে ছুটি পড়ায় ফুকলো দাদুর ঘরে রোজ টুকলোরা গল্প শুনতে যায়। দাদুর একটা দাঁতও নেই। কথাও কেমন ফুকফুকে ফুস !ফুস ! করে বেরোয়। তাই দাদু যখন রাজকুমার আর রাজকন্যার গল্প বলতে থাকেন ,তখন টুকলো মন সেখানে বসে না। তাও ও রোজ ছেলেদের সাথে দলবেঁধে আসে। আসারও কারণ আছে। দাদুর ঘরে রাজ্যের যত পুরনো জিনিস ! … বিস্তারিত পড়ুন

দিদার বাড়ি

বিকেল বেলা সমীক স্কুল থেকে ফিরে রানার বাড়ি গিয়ে বলল “কোচিং এ যাবার আগে আজকে আমাকে একবার দিদার বাড়ি ঘুরে যেতে হবে বুঝলি ! মা একটা জিনিস দিয়েছে ,সেটা দিতে। বলছিলাম কি রানা তুইও আমার সাথে চল ,ওখান থেকেই একেবারে আমরা কোচিং এ চলে যাবো। ইতিমধ্যে রানার মা ঘরে এসে সমীক কে দেখে হেসে বললেন … বিস্তারিত পড়ুন

ফেলুদার যোগ্য বউ — প্রথম পর্ব

“তুই কাকে বিয়ে করবি তিতির ? ” সোনা কাকুর প্রশ্নের উত্তরে গল্পের বই থেকে মুখ না তুলেই তিতির জবাব দিল “ফেলুদাকে !”সোনা কাকু হেসে বলল ” সামনের চায়ের দোকানের ফেলুদা ? ” তিতির মাথাটা দুদিকে নাড়িয়ে বলল “না! সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা !” সোনা কাকু বলল “আচ্ছা , কিন্তু কোন ফেলুদা ? সৌমিত্র চ্যাটার্জী ,সব্যসাচী চক্রবর্তী … বিস্তারিত পড়ুন

ফেলুদার যোগ্য বউ — দ্বিতীয় পর্ব

সোনাকাকু :আমার সকলের সাথে পরিচয় হওয়া প্রয়োজন। আপনার কথা তো শুনলাম ,বাকিদের মতামতও জানা আবশ্যক। আসলে বুঝতেই পারছেন যে অসুখের কথা আপনি বলছেন সেটা সরানোর ক্ষমতা আমি কেন কোনো ডাক্তারেরই নেই ,তাই আমার জানা দরকার যদি এমন কিছু থেকে থাকে যেখানে আমি আপনাদের একটু হলেও সাহায্য করতে পারবো। তার আগে আপনার পুত্রবধুর সাথে একবার দেখা … বিস্তারিত পড়ুন

সিংহাসন

সিংহাসন : আপনি কোথায় চললেন মহারাজ ? রাজা অস্থির হয়ে বললেন : জানিনা ,তবে এটুকু জানি ওই গদিতে বসার যোগ্যতা আমার নেই। সিংহাসন : একি বলছেন মহারাজ ? ঈশ্বরের যোগ্যতা বিচার হয় বলে তো কখনো শুনিনি। রাজা বিস্ময় প্রকাশ করে বললেন : কে ঈশ্বর ? আমি তো একজন সাধারণ মানুষ যার ছোট্ট ভুলের খেসারত দেশ … বিস্তারিত পড়ুন

উন্নয়ন-সম্পর্কিত টানাপোড়েন

শংকর প্রায় দৌড়তে দৌড়তে আসে, ‘ও গোপালদা, আবার সাংবাদিক আইচে! ভরানি খালের পোলের ছবি তোলতেচে।’ গোপাল তখন পরশু দিনের পেপারের উপসম্পাদকীয় পড়ছিল। মাথা তুলল না। এসব কথা শোনায় তার আগ্রহ নেই, তা বলা যাবে না। কিন্তু এখন শংকরকে আগ্রহ দেখানো ঠিক হবে কি না, সেটা ভাবল। শংকরও আচ্ছা সেয়ানা। চৈত্রের দুপুরের রোদ মুখে দিয়ে উঠোনের … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!