জাদুর কাঁচি (অনুবাদ )শিশুতোষ গল্প

অনেক অনেক বছর আগের কথা। তিনদিকে উঁচু উঁচু পাহাড়ে ঘেরা আর একপাশে নীল রঙের একটা হ্রদ, সেখানে একটি ছোট্ট চায়না ছেলে ছিল, তার নাম ছিল ‘’লিউ চিউ’’। সে তার বাবা মায়ের সাথে বাঁশের তৈরি একটা ছোট ঘরে থাকতো। তারা ছিল অনেক সুখি। সারাদিন লিউ চিউ বালি নিয়ে খেলা করত, সূর্যের নিচে বসেথাকত ,পাখি এবং ফুলের … বিস্তারিত পড়ুন

আফসানা–১ম অংশ

  ভালো করে গায়ে চাদর জড়িয়ে রাবুমামা বললেন,সে অনেক বছর আগেকথা বুঝলি।সে সময় আমার একবার সুপারন্যাচারাল এক্সপিরিয়েন্স হয়েছিল।আজ পর্যন্ত আমি যার কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারিনি।বলে রাবুমামা চুপ করে রইলেন।মুখ তুলে একবার আকাশের দিকে তাকালেন।আকাশে পরিপূর্ণ একখানি চাঁদ।উথাল-পাথাল জ্যোস্নায় ভেসে যাচ্ছে চরাচর।নভেম্বর মাস;গ্রামাঞ্চচলের দিকে এই সময়ই শীত বেশ জেঁকে বসে।রাত দশটার মতো বাজে।রাবুমামার সামনে রবিন,নীলু আর … বিস্তারিত পড়ুন

আফসানা–২য় অংশ

জ্বী, চাচা। রাজারহাট শহরে। রাহাপাড়া পানির ট্যাঙ্কির কাছে।যেখানে নদী গবেষনার ইন্সিস্টিটিউট-এর যে নতুন ভবন হচ্ছে । হ্যাঁ, হ্যাঁ। জায়গাটা আমি চিনি। রাজার হাটে আমার এক মামা থাকেন। আব্বাস মামা আফগানিস্তান থেকে আখরোট আর নাশপাতি ইমপোর্ট করেন। আর আমি থাকি মিঞাবাড়ির বালাই দীঘির পাড়। ওখানেই আমাদের পৈত্রিক ভিটে। উবাইদ মালিক- এর কথা শেষ হল না সেই … বিস্তারিত পড়ুন

আফসানা–৩য় অংশ

আমি মাথা নাড়লাম। আমার হাতের তালু ঘামছিল। এত শীতের মধ্যেও কন্ঠনালী শুকিয়ে কাঠ। আমার জন্মপূর্ব বাংলার একটি মুসলিম পরিবারে। পারিবারিক ধর্মীয় বিশ্বাসের মধ্যে বড় হয়েছি। জিনের অস্তিত্ব যে অস্বীকার করিতাও না। কিন্তু, তাই বলে-… আমি আফসানাদের দিকে তাকালাম। ওরা তিনজনই এদিকে তাকিয়ে রয়েছে। ওরাআমাদের কথাবার্তা শুনতে পাচ্ছে বলে মনে হল। আশ্চর্য! আফসানা ওর মাকে নীচু … বিস্তারিত পড়ুন

আফসানা–শেষ অংশ

মহিলাটি নেকাব সরিয়ে নিল। আমি চমকে উঠলাম। আফসানা! গায়ের রং দুধে আলতা গায়ের রং। কিছুটা বাদামী চুল। ঘন জোরা ভুঁরু। মায়াবী চোখ। নীলাভ মনি। ধবধবে গলায় মুক্তার মালা। কুড়ি বছর। অবিকল। মিষ্টি রিনরিনে কন্ঠে আফসানা বলল, আপনি কি আমাকে চিনতে পেরেছেন? আমি বললাম, হ্যাঁ। আপনি ভালো আছেন কি? হ্যাঁ। আমি মাথা নেড়ে বলাম। সারা শরীর … বিস্তারিত পড়ুন

আবদার–ইয়াছিন বাংলাদেশি

বিকেল ৪ টা ০৫ মিনিট। লেগে গেছে ইফতারি বানানোর ধুম! এসময় কত রকমের ইফতারি যে শোভা পায় দোকানে দোকানে- তা কেবল বাইরে থেকে কিনতে গেলেই চোখে পড়ে! তাছাড়া সেগুলো এতটাই মুখরোচক হয় যে অন্তত একদিন হলেও নেওয়া চাই বাড়িতে! তাই এক দিক দিয়ে ইফতারের সময় ঘণিয়ে আসে আর অন্য দিকে ক্রেতা সাধারণের আগমণ ঘটে দোকান … বিস্তারিত পড়ুন

মৃুক্তি পাখির লড়াই— তৌহিদ-উল ইসলাম

হঠাৎ চৈত্র মাসের মধ্যখানে পাকিস্তানি মিলিটারী এসে স্কুলে ভর্তি হল। আমাদের অনেকেই তখন ছাড়পত্র নিয়ে চলে গেল ভারতে।পড়াশুনার জন্য নয়,আত্মরক্ষার জন্য এই চলে যাওয়া। মিলিটারী বলতে স্বপনের বাবা। স্বপন আমাদের সাথে পড়ে। তাই মিলিটারী সম্পর্কে আমাদের ধারনা প্রচুর।কিন্তু এমন খারাপ ধারনা আমাদের মধ্যে কখনই ছিল না। ওরা স্কুলটা দখল করে নিল ,ভাল কথা। ওখানেই থাকুক। … বিস্তারিত পড়ুন

বনভোজন

মন্টুর চোখে মুখে আনন্দ ঠিকরে পড়ছে। এবার শীতের ছুটিতে স্কুল থেকে বনভোজনে যাবে। কোন দিন যাওয়া হয় নাই। প্রতিবছর বাড়ির সামনের বড় পাকা সড়ক দিয়ে বনভোজনের অনেক বাস যেতে দেখেছে। সবাই গলা ছেড়ে গান গেয়ে, মাইকে গান বাজিয়ে আনন্দ করতে করতে যায়। রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে কতো দেখেছে সে। তখন মন খুব খারাপ হয়ে যেত। কিন্তু … বিস্তারিত পড়ুন

রাখাল বালক— তৌহিদ-উল ইসলাম

এক ছিল রাখাল বালক। সে প্রতিদিন তার ছাগলগুলোকে সবুজ পাহাড়ের ওপর ঘাস খাওয়ানোর জন্য নিয়ে যেত। একদিন ছাগলগুলো পাহাড়ের ওপর ছেড়ে দিয়ে রাখাল বালক ঘুমিয়ে পড়ল। এ সুযোগে ছাগলগুলো ঘাস খেতে খেতে একটা বাগানের ভেতর ঢুকে গেল। রাখাল বালক ঘুম থেকে জেগে ওঠে দেখলো তার ছাগলগুলো পাশের এক বাগানে। সে তখন বাগানে ঢুকলো এবং ছাগলগুলোকে … বিস্তারিত পড়ুন

পন্ডিত শেয়াল — তৌহিদ-উল ইসলাম

একদিন সকাল বেলা পাঠশালা যাবার পথে এক পন্ডিত শেয়াল একটা গুহার মধ্যে পড়ে গেল। গুহার দেয়ালটা এত খাঁড়া আর উঁচু যে শেয়াল লাফ দিয়ে কোন ভাবেই ওঠে আসতে পারল না। তাই বসে বসে সে ভাবতে লাগল, কী ভাবে এ গুহা থেকে বের হওয়া যায়। এমন সময় একটা শুকর এল ঐ গুহার নিকটে। সে আন্ধকার গুহার … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!