ছোটকা ও ছুটকির কা-কারখানা

সামিহা আল মামুন পলাশপুর গ্রামে বাস করত ছোটকা ও ছুটকি। তারা থাকত তাদের দাদিমার সঙ্গে। দাদিমা ছিল খুব বৃদ্ধ। ছোটকা ও ছুটকির বাবা-মা ওদের ছোট রেখেই মারা যায়ু। ওদের দাদিমা আগে কাগজের প্যাকেট বানিয়ে বিক্রি করত। কিছু দিন ধরে অসুস্থ থাকায় কাগজের প্যাকেট বানাতে পারছিল না। তাই ওদের খাবার জোগাড় করতে কষ্ট হচ্ছিল। ছুটকি : … বিস্তারিত পড়ুন

ইঁদুর তাড়ানো তাবিজ (রম্য গল্প) —শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

  অগ্রহায়ন মাস। সব ঘরেই এলোমেলো ভাবে ধান ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা আছে। ঘরে বা উঠানে ধান একদিন বা দু’দিন রাখলেই ইঁদুর মাটি ফুঁড়ে গর্ত করে মাটির নিচে নিয়ে যায়। ইঁদুরের এই উৎপাত থেকে কোন ভাবেই রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না। এমন কি ঘরে তুলে রাখা কাঁথা কাপড়গুলাও কেটে টুকরো টুকরো করে দিচ্ছে। ইঁদুরের উৎপাত সহ্য করতে … বিস্তারিত পড়ুন

আনন্দের ভাগ—তাহেরা জান্নাত

শহরের কাক ডাকা ভোরের বাসিন্দা নাবিল। মানে যাদের জীবন ইট-কাঠ আর ফ্রেমে আটা চশমায় বন্দি। যাদের দৈনন্দিন রুটিন গুলো অনেকটায় নির্দিষ্ট থাকে। প্রতিদিনের মত আজও সকালবেলা মায়ের ডাকে ঘুম ভাঙল নাবিলেন মা রুমানা চৌদুরী সকালে উঠে নাসত্মা বানানোর কাজে ব্যসত্ম হয়ে পড়েছেন। যদিও যবষঢ়রহম যধহফ হিসেবে কাজের খালা আছে। এরই মাঝে নাবিল আড়মোড়া ভেঙে বারান্দার … বিস্তারিত পড়ুন

গাছদের কান্ড——ফারিন সুমাইয়া

  বেলির মন খুব খারাপ। চারিদককে গরমে সে একদম ঝলসে যাচ্ছে প্রায়। লেবুর দিকে তাকিয়ে মনটা তার আরো খারাপ হয়ে গেলো। এ কয়েকদিনের রোদে তাকানো যাচ্ছে না ওর দিকে। বৃষ্টি যেন এ পথে হাঁটবে না বলেই প্রতিজ্ঞা করেছে। বাকি সবারও একই অবস্থা, বৃষ্টির অভাব আর প্রচন্ড রোদ জীবনটাকে দূর্বিসহ করে তুলেছে। এ সময় শুনা গেলো … বিস্তারিত পড়ুন

লুকছানার স্কুল যাত্রা—- ড. আবদুল ওয়াহিদ

বনের জীব-জন্তুর বাচ্চারা প্রতিদিন সকালে স্কুলে যায়। কিন্তু ছোট্ট একটু কালো রঙের ভালুক টুমকী স্কুলে যেতো না। সে বলতো : ‘আমার স্কুলে যাবার এবং লেখাপড়া করার দরকার নেই। আমি প্রতিদিন সকালে বনের মধ্যে মিষ্টি মিষ্টি মধু খুঁজে বেড়াবো’। একদিন টুমকী ভাবলো, চাচা খরগোশের কাছে যাওয়া দরকার। তার থেকে মজার মজার গল্প শোনা যাবে। সে গেলো … বিস্তারিত পড়ুন

জ্বীনের দেশে বন্ধু বেশে—- ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ

গাছের আগায় একদল আগুন তখনও খেলা করছিলো। এ গাছ থেকে ও গাছে লাফিয়ে লাফিয়ে যাচ্ছিলো। একটা আগুন লাফিয়ে পড়ছিলো আর একটা আগুনের উপর। ‘হা ডু ডু’ খেলার মতো কখনো বা একটি আগুন একসাথে অনেককে ছুঁয়ে দিতে ব্যস্ত; ভালো করে খেয়াল করলে ‘ছি বুড়ি ছাই’ খেলার মতো মনে হতো। ভূতুড়ে সন্ধ্যায় বাড়ির দেউড়িতে বসে এ দৃশ্য … বিস্তারিত পড়ুন

এক যে আছে নীলপরী—- রমজান আলী মামুন

সূর্যটা একটু একটু করে তেঁতে উঠতেই মা মণিটা ঘুমাতে যাবার জন্যে পাপিয়াকে ডাক দেয়। পাপিয়া তিন তলার সিঁড়ির ধাপে বসে জ্যাঠাতো ভাই রনিকে নিয়ে খেলছিলো। আম্মুর ডাক শুনে ছুটে আসে ঘরে। দেখে মা বদ্ধ ঘরে ঘুমের আয়োজন করছে। অমনি পাপিয়া কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। এই গরমে আমি ঘুমাবো না। আমি বাইরে সাপ-লুডু খেলবো। মা তখন … বিস্তারিত পড়ুন

টুনটুনি আর আমি —– সুহৃদ আকবর

আমাদের বাড়ির নাম চাপরাশী বাড়ি। বড় বাড়ির বড় দরজা। সে আমলে আমাদের বাড়ির অনেক নাম-ডাক ছিল। বাড়ির একপাশে একটি কোমর বাঁকা নারিকেল গাছ। আমার জেঠামশায় রেঙ্গুন থেকে গাছটির বীজ এনে লাগিয়েছেন। নারিকেল গাছটির নিচে অসংখ্য ঝোপঝাড়। সেখানে আছে কয়েকটি ডমুর গাছ। একটি গাছে বাসা বেঁধেছে দুটি টুনটুনি পাখি। টুনটুনি দম্পতি বাসা থেকে ফুড়ুৎ ফুড়ুৎ বের … বিস্তারিত পড়ুন

হাতির পিঠে পিঁপড়া—মোঃ শামীম মিয়া

  অনেক দিন আগের কথা। আমদির পাড়া নামে কোন এক রাজ্যের এক রাজার ছিলো বিরাট বড় একটা বন । সেই বনে বাস করতো কয়েক হাজার প্রজাতির জীবজন্তু । যেমন বাঘ, হরিণ, হাতি, বানর, শিয়াল, বন কুকুর, বন ভেড়া, বন হাঁস , পাখি সহ বাস করতো কয়েক হাজার প্রজাতির পিঁপড়া, পোকামকড় তো আছেই। বনে যেসব জীবজন্তু … বিস্তারিত পড়ুন

খরগোশ ও কচ্ছপের গল্প

তখন শীত কাল। আনজুরহাট বাজারের পশ্চিম পাশে ইউনিয়ন পরিষদের পুকুরের নতুন পাকা সিঁড়ির পাঁচ নম্বর ঘাটে বসে রোদ পোহাচ্ছিল একটা কচ্ছপ। সিঁড়ি থেকে একটু উত্তরে সামান্য জঙ্গলের মতো, সেখানে কিসের যেন একটা শব্দ হতেই ঝপাৎ করে পুকুরে লাফ দিল কচ্ছপটি। কিছুক্ষণ পরে আবার মৃদুপায়ে সে আবার সিঁড়ির সেই ধাপেই এসে বসলো। বড্ড শীত পড়েছে দেশে। … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!