মৌমাছি মৌমাছি— সুধাংশু ঘোষ

এক মাস পরে জটা ফিরে এল। টিপুকে দেখে হাসল দাঁত বের করে। জটার পুরো নাম জটাধারী। টিপু বলল, “আর মধু খাবি?” জটা হাসতে-হাসতে বলল, “খাবই তো। চাক ভাঙবার আসল কায়দাটা শিখে নিয়েছি।” টিপু হাত নেড়ে বলল, “থাক, ঢের হয়েছে। তোর আসল কায়দাটা বনে-জঙ্গলে গিয়ে দেখাস। বাড়ির বাগানে আর নয়।” জটা কাজ করে টিপুদের বাড়িতে। টিপুদের … বিস্তারিত পড়ুন

চোরধরা—– প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত

রাত তখন দশটা-এগারোটা হবে। কিন্তু পাড়াগাঁর রাত-সবকিছু চুপচাপ, সুন্সান্। কালিকাপুরের সমস্ত ঝোপঝাড় থেকে ঝিঁঝি ডেকে চলেছে একটানা, পাঠশালার দাওয়ার বুড়ো অশত্থগাছটার পঁ্যাচাগুলো হুম্‌হুম্ করে শব্দ করছে। পথেঘাটে কোনো লোকজন নেই। কোনো কোনো বাড়ির জানলায় রেড়ির তেলের পিদিম জ্বলছে, কোনো কোনো বাড়ি একেবারে অন্ধকার। গোবিন্দ ঘোষালের বাড়িতে তখনো কাজপাট চুকে যায়নি। গোবিন্দবাবু সেই কবে মারা গিয়েছেন। … বিস্তারিত পড়ুন

কুকুল আর এলোমেলো—- গীতা বন্দ্যোপাধ্যা

জমি শুঁকে শুঁকে শেষে ওরা আমাদের বাড়িতেই এসে হানা দিল। আমি তো গোড়ায় অনুসন্ধানের ব্যাপারটা বুঝতে পারিনি। ফাঁদে পড়ে গিয়ে শেষে যা হয়-একেবারে বোকামুখ। রাসবিহারী অ্যাভেনিউতে ফ্যা ফ্যা করে ঘুরছি-ঠিক সেই সময়েই বা ঘুরতে গেলাম কেন কে জানে- দেখি, নেড়িগেড়ি গোটাকয়েক কুকুর-ছানাকে একজন ফেরিওয়ালা বিস্কুট খাওয়াচ্ছে। আমরা কাছে গিয়ে দাঁড়াতে বলল, “আহা, ওদের মা-টা খানিক … বিস্তারিত পড়ুন

ফ্ল্যাট রেস— জরাসন্ধ

সেদিন শুনলাম কুহু আর কেকাতে আড়ি হয়ে গেছে। হামেশাই হয়ে থাকে। যেখানে যত ভাব, সেখানে তত আড়ি। ওরা তো ছেলেমানুষ। বড়রাও কম যান না। এই তো কদিন আগে মিসেস কাঞ্জিলাল বলছিলেন ওঁদের ‘গৃহলক্ষী ক্লাব’-এর মেম্বার ছিলেন পঞ্চান্ন, কমে কমে পঁয়ত্রিশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণটা কী? না, এর সঙ্গে ওঁর মুখ দেখাদেখি বন্ধ, সি ব্লকের সঙ্গে ডি … বিস্তারিত পড়ুন

নোট ভাঙালে কাঁঠালপাতা—- মনোজ বসু

সাধুচরণ দিনমানে রেজেস্ট্রি-অফিসে দলিলপত্র লেখে, সন্ধ্যার পর ঠাকুরঘরে খিল এঁটে জপতপ সাধন-ভজনে মেতে যায়। ওরই মধ্যে কিঞ্চিত্‌ ঘুমিয়েও নেয় বইকি-নইলে আবার বেলা দশটায় অফিসে গিয়ে কলম ঠেলবে কি করে? এক রাত্রে স্বপ্নের মধ্যে কে যেন বলল, জঙ্গলে কাঁটাবনের মধ্যে আমায় ফেলে দিয়েছে, বড্ড কষ্টে আছি। তুমি আমায় উদ্ধার করে নিয়ে যাও সাধুচরণ। ভোর হতে না … বিস্তারিত পড়ুন

পিসীমার পোষা বাঘ—- শরত্কুমার মুখোপাধ্যায়

আমার স্কুলের বন্ধুরা বিশ্বাস করে না, কিন্তু তোমরা ভাই নিশ্চয় করবে। আমার পিসীমার বাড়িতে একটা পোষা বাঘ আছে। সত্যিকারের বাঘ-পটুদা স্বচক্ষে দেখেছে। বাঘটা বাড়িতেই থাকে। চেন-টেন দিয়ে বাঁধা নয়, একেবারে খোলা। ঘরের কাজকর্ম করে। পিসীমারই ঘরের মেঝেয় মাদুর পেতে শোয় রাত্তিরবেলা। পিসীমা বলেন, ঘুসুড়ির মহারাজা রায়বাহাদুর নিঃশেষ চোধুরী বাঘটা তাঁকে উপহার দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, বৌঠান আমরা … বিস্তারিত পড়ুন

রাত গভীর—– হরিনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়

দোষ আমারই। বন্ধুর বোনের বিয়ে। যাব আর খেয়ে চলে আসব, এই ঠিক ছিল। কিন্তু গিয়েই মুস্কিলে পড়লাম। বন্ধু অকান্তে ডেকে হাত দুটো ধরে বলল, উদ্ধার করে দে ভাই, ভীষণ বিপদে পড়েছি। কি আবার হ’ল? পাড়ার ছেলের দল পরিবেষণ করবে ঠিক ছিল, কিন্তু তাদের মধ্যে একদল বেপাড়ার জলসা শুনতে চলে গেছে। লোক কম। তোদের হাত লাগাতে … বিস্তারিত পড়ুন

বিড়ালনামা

এক সকালে নাস্তার টেবিলে অবন্তি শুভকে জানায় সে একটা বিড়াল পালবে। কথাটা শুনে আমের জেলি মিশিয়ে পাউরুটি খেতে-থাকা শুভর মুখ হঠাৎ থেমে যায় এবং একই সাথে চোখ ছোট করে তাকায়। অবন্তি তখন তার হঠাৎ-জাগা এমন খেয়ালের কারণটা লাজুক হেসে শুভর কাছে খোলাসা করে। গতরাতে ঘুমের মধ্যে নাকি তার অনেক খাটাখাটনি গেছে। স্বপ্নে একটি বিশাল ধেড়ে … বিস্তারিত পড়ুন

নিজে ভালো হলে সবাই ভালো

সিকান্দার শাহ ছিলেন রোমের বাদশাহ। দিগ্বিজয়ী, পরাক্রান্ত, সৎ ও নিপুণ যোদ্ধা ছিলেন তিনি। পৃথিবীর বহুদেশ জয় করেছিলেন। প্রজারা তাঁকে দারুণ শ্রদ্ধা করত। একবার কয়েকজন লোক সিকান্দার শাহকে জিজ্ঞসা করলেন, –আপনি একজন বিশ্ববিজয়ী বীর। আপনার আগেও অনেক বাদশা ছিলেন রোমে। তাদেরও সৈন্যদল ছিল। তারাও যুদ্ধ করতেন। কিন্তু তারা আপনার মতো সুনাম অর্জন করতে পারেন নি। তারা … বিস্তারিত পড়ুন

সকলেই পরাধীন

মরুভূমির পথ ধরে দীর্ঘ উটের কাফেলা। সারি সারি ছোট-বড় উট। দীর্ঘ অফুরন্ত রাস্তা ধরে তারা চলছে। ক্লান্ত উটের দল পথে বিশ্রাম নিতে বসল। তখন এক উটের বাচ্চা তার মাকে হতাশ স্বরে বলল– মা, আমার হাতে যদি লাগাম থাকত, আমি কখনই এই কাফেলার সঙ্গে এইভাবে বোঝা বহন করতাম না। হায়, আমার কী দুর্ভাগ্য! আমার কোন স্বাধীনতা … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!