হাওয়াই মিঠাই —- রণদীপম বসু

সপাং করে পিঠের ওপর জালিবেতের তীব্র বাড়িটা পড়তেই শার্টের নিচে চামড়াটা যেন ঝলসে উঠলো অপুর ! অবিশ্বাস্য চোখে রহমান স্যারের এমন ভয়ঙ্কর মূর্তি দেখে শিউড়ে ওঠলো সে। বড় বড় চোখ দুটো ডিমের মতো ঠেলে বেরিয়ে আসছে তার ! চতুর্থ শ্রেণীর ক্লাশ টিচার রহমান স্যারের এমন উগ্র রূপ আগে কি কখনো দেখেছে সে ! কিছুতেই মনে … বিস্তারিত পড়ুন

চিণ্টু মামা—– রণদীপম বসু

‘বুঝলি, মামা ছিলেন খুবই মজার মানুষ। আর সবচে মজার বিষয় হলো, তিনি কোন মজাই করতে পারতেন না !’ বলেই একটু থামলেন। এরপর দীপ্ত’র দিকে চেয়ে বলে উঠলেন- ‘কিরে, এমন হ্যাবলার মতো তাকিয়ে আছিস কেন ?’ . এমন জট পাকানো কথা শুনলে হ্যাবলা না হয়ে উপায় আছে ! চিণ্টু মামার কথা শুনে দীপ্ত’র অবস্থাও তাই। কিন্তু … বিস্তারিত পড়ুন

কৈলাসে চা পান—– আশাপূর্ণা দেবী

মা দুর্গা কৈলাসে ভাঁড়ার ঘরের সামনে বসে পান সাজছিলেন। জয়া-বিজয়া কাছে বসে খয়ের সুপুরি কুচিয়ে দিচ্ছিল; তা দিক, পান সাজাটি মা কারো হাতে দিতে রাজী নন, ভোলা মহেশ্বরের জিনিস বলে কথা! কে চূণ বেশী দিয়ে ফেলবে, কে খয়ের বেশী দিয়ে ফেলবে, বেচারী ভোলানাথের গাল পুড়বে, জিভ তিতোবে। শত কাজের মধ্যে তাই মা দুর্গার নতুন এই … বিস্তারিত পড়ুন

মা

আমার নানার চার মেয়ে ও দু’ছেলের মধ্যে আমার মা ছিলেন সবার বড়। নানা আমার মাকে খুব ভালোবাসতেন। আমাদের বাড়ি থেকে নানার বাড়ি প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে। গ্রামের নাম চরবাড্ডা মির্জাচর। সবুজ গাছপালা বেষ্টিত গ্রামটি খুবই চৎমকার। মাঝে মাঝে আমার মাকে দেখার জন্য নানা আমাদের বাড়িতে আসতেন। আসার সময় নানা মায়ের জন্য কাঁঠাল, আম, কলা, আনারস, … বিস্তারিত পড়ুন

সেমুলী

আমি তখন ছোট। বয়স ছয় কি সাত হবে। মাঝে মাঝে স্কুলে যেতাম এবং দিনে একটা করে বই ছিঁড়তাম। আমি ছিলাম নিন্মবিত্ত পরিবারের সন্তান। আমার জন্মের পর থেকেই বাবার সংসারে অভাব অনটন দেখা দেয়। অথচ আমার জন্মের পূর্বে আমাদের সংসারে ছিল ঘোলা ভরা ধান, গোয়াল ভরা গরু ও বালতি ভরা দুধ। দাদা যখন সংসার ছেড়ে দিলেন, … বিস্তারিত পড়ুন

ভাষা দৈন্যতার পরিনতি

এক ডাক্তার বন্ধুর মুখে শোনা সত্য কাহিনী দিয়েই গল্পটি শুরু করছি। আমার সেই ডাক্তার বন্ধুটি একজন গবেষকও। কর্মোপলক্ষে তাকে নানান দেশে যেতে হয়, এছাড়া তিনি নানান সময়ে বিভিন্ন দেশে নিজের লেখাপড়া এবং অধ্যাপনার কাজও করেন। একবার পড়াশুনার জন্য বেশ কিছুকাল তাকে সুইডেন থাকতে হয়েছিল। উত্তর ইউরোপের দেশ হলেও ইউরোপের অনেক দেশের মতোই সুইডেনেও ইংরেজী ভাষার … বিস্তারিত পড়ুন

তারিফ হোসেনের সত্য….”ভাই”

সূচনাঃ সম্পর্কসূচক যতগুলো শব্দ আমরা জানি তার মধ্যে ভাই শব্দটি খুবই নৈর্ব্যক্তিক ও আপেক্ষিক। স্থান-কাল-পাত্র নিরপেক্ষ ভাই ঢাকা-মক্কা প্রাচীন-অর্বাচীন কৃতী-দুষ্কৃতী নির্বিশেষে উপর্যুপরি ব্যবহৃত এবং স্বীকৃত। ভাইয়ের রকমফেরঃ দ্বিন-ইসলামের দুর্দিন ঘোচাতে যুদ্ধক্ষেত্রে যেতে সদা প্রস্তুত জিহাদি ভাই। দীক্ষাদাতার কাছে আগত গ্রহীতা লঘু-গুরু যাই হোক তারা একে অন্যের গুরুভাই। ওদিকে সুতা, লতা বাহুডোরে বেঁধে সৃষ্ট বন্ধনকে আমরা … বিস্তারিত পড়ুন

কাজে লাগানো—– আশাপূর্ণা দেবী

অ্যাঁ! চুরি! এত বড় ওজনের একখানা চুরি! খোদ রাজবাড়ি! স্বয়ং মহারাজের জন্মদিনে, একেবারে রাজ-অন্দরের খাসমহল ‘মচ্ছমহল’ থেকে! খবরটা শুনেই মহারাজা খাপ থেকে তলোয়ার টেনে বার করতে গেলেন, কিন্তু অনেক দিনের মরচেয় খাপের সঙ্গে জম্পেস হয়ে আটকে থাকার দরুন তলোয়ার আর খাপ্ থেকে বেরোতে রাজী হল না। রাজা রেগে গলদঘর্ম হয়ে হাঁক পাড়লেন, “কে আছিস, বড় … বিস্তারিত পড়ুন

মৌমাছি মৌমাছি— সুধাংশু ঘোষ

এক মাস পরে জটা ফিরে এল। টিপুকে দেখে হাসল দাঁত বের করে। জটার পুরো নাম জটাধারী। টিপু বলল, “আর মধু খাবি?” জটা হাসতে-হাসতে বলল, “খাবই তো। চাক ভাঙবার আসল কায়দাটা শিখে নিয়েছি।” টিপু হাত নেড়ে বলল, “থাক, ঢের হয়েছে। তোর আসল কায়দাটা বনে-জঙ্গলে গিয়ে দেখাস। বাড়ির বাগানে আর নয়।” জটা কাজ করে টিপুদের বাড়িতে। টিপুদের … বিস্তারিত পড়ুন

চোরধরা—– প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত

রাত তখন দশটা-এগারোটা হবে। কিন্তু পাড়াগাঁর রাত-সবকিছু চুপচাপ, সুন্সান্। কালিকাপুরের সমস্ত ঝোপঝাড় থেকে ঝিঁঝি ডেকে চলেছে একটানা, পাঠশালার দাওয়ার বুড়ো অশত্থগাছটার পঁ্যাচাগুলো হুম্‌হুম্ করে শব্দ করছে। পথেঘাটে কোনো লোকজন নেই। কোনো কোনো বাড়ির জানলায় রেড়ির তেলের পিদিম জ্বলছে, কোনো কোনো বাড়ি একেবারে অন্ধকার। গোবিন্দ ঘোষালের বাড়িতে তখনো কাজপাট চুকে যায়নি। গোবিন্দবাবু সেই কবে মারা গিয়েছেন। … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!