লোককাহিনী: কুমড়া চোর

প্রতিরাতেই এক গৃহস্থের কুমড়া চোরে লইয়া যাইত। “রাতে সজাগ” থাকার অভ্যাস তাহার নাই। তাই সে চোর ধরিতে পারে না। একদিন গৃহস্থের আমাশয় হইল। রাতে সে কুমড়ার মাচার নিচে পায়খানায় গিয়া টের পাইল কে যেন হাঁহাঁহুহি করিতেছে। গৃহস্থ বিুঝিতে পারিল আজ চোর আসিয়াছে। সে কান খাড়া করিয়া রাখিল। এক চোর বলিল– ভাই, আজ ছোট কুমড়া নিব … বিস্তারিত পড়ুন

চোরে না-শোনে ধর্মের কাহিনী

পাহাড়ি রুক্ষ, ধু-ধু প্রান্তর। ছোট-বড় পাহাড়। এরই মধ্যে রাস্তা। একদল বণিক চলেছে নিজেদের গন্তব্যে, কিন্তু তারা আক্রান্ত হয় ভয়ংকর দস্যুদের কবলে। দস্যুরা প্রথমেই “হারে রে রে, হারে রে রে” বলে ঝাঁপিয়ে পড়ল বণিকদলটির উপর। তারপরে শুরু করল নির্মমভাবে মারধর। মালপত্র যা ছিল সব লুট করে নিল নিমেষের মধ্যে। বণিকেরা অসহায়। তারা করুণভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করতে … বিস্তারিত পড়ুন

দুই বন্ধু

দেশের নাম খোরাশান। ভারি সুন্দর এক দেশ। সেই দেশে ছিল দুইজন সাধু ব্যক্তি। একজন ছিল বেশ মোটাসাটা। খেতে খুব পছন্দ করত। দিনে দুইবার ভালো ভালো পেটপুরে না খেলে তার শান্তি হত না। অন্যজন ছিলেন সম্পূর্ণ আলাদা। শরীর ছিল লিকলিকে। হাড়-জিড়জিরে দেহ। খাওয়াদাওয়া একদম পছন্দ করত না। দুইদিন পরে একদিন খেত যে। দুজনেরই আবার খুব ভাল … বিস্তারিত পড়ুন

আক্কাছের মোবাইল –— রণদীপম বসু

ফুটপাথ ধরে হাঁটলে এরকম ছোটখাটো জটলা সামনে পড়বেই। পাশ কাটিয়ে যেতে যেতে একটা পরিচিত স্বরের ঝাঁঝালো কণ্ঠ শুনেই থমকে দাঁড়ালাম। দুকদম পেছনে এসে উঁকি দিতেই দেখি আমাদের আক্কাছ সাহেব ! নিশ্চয়ই উল্টাপাল্টা কেউ কিছু বলেছে ! আপাদমস্তক সৎ ও প্রতিবাদী আক্কাছ তো কাউকেও কেয়ার করার লোক নন। কিন্তু এবারে ভিকটিম ব্যক্তিটিকে তো নিরীহ গোবেচারা বলেই … বিস্তারিত পড়ুন

কলম ––রণদীপম বসু

  সকালে অফিসে ঢুকেই জরুরি ফাইলটা নিয়ে বসের রুমে দৌঁড় দেবো প্রায়, কলমটা আর খুঁজে পাচ্ছি না। তালাহীন ড্রয়ারটা হাতরে তন্ন তন্ন করেও কলমটা খুঁজে পেলাম না। আগে টেবিল থেকে কলম হারিয়ে যেতো বলে এখন ড্রয়ারেই রেখে যাই। এখানেও তথৈবচ ! অন্যের বই বউ আর কলম, এই তিনের প্রতি শিক্ষিত বাঙালির আদি ঝোঁক যে এখনও … বিস্তারিত পড়ুন

বোকা জোলা আর শিয়ালের কথা – উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

এক বোকা জোলা ছিল। সে একদিন কাস্তে নিয়ে ধান কাটতে গিয়ে খেতের মাঝখানেই ঘুমিয়ে পড়ল। ঘুম থেকে উঠে আবার কাস্তে হাতে নিয়ে দেখল, সেটা বড্ড গরম হয়েছে। কাস্তেখানা রোদ লেগে গরম হয়েছিল, কিন্তু জোলা ভাবলে তার জ্বর হয়েছে। তখন সে ‘আমার কাস্তে তো মরে যাবে রে!’ বলে হাউ-মাউ করে কাঁদতে লাগল। পাশের ক্ষেতে এক চাষা … বিস্তারিত পড়ুন

বিপদের সময়ের প্রকৃত বন্ধুর নাম ‘আত্মবিশ্বাস’

একবার একজন বিজনেস এক্সিকিউটিভ প্রচন্ড অর্থ সংকটে পড়লেন। তিনি দেনার দায়ে ডুবে ছিলেন ও সেটা থেকে মুক্তির কোন উপায়ই খুঁজে পাচ্ছিলেন না। তার বিনিয়োগকারীরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছিল, সাপ্লায়াররা তাদের অর্থ ফেরত চাচ্ছিলো। এরকম সঙ্কটময় মূহূর্তে তিনি একটি পার্কে চুপচাপ বসে ছিলেন। ভাবছিলেন এরকম কোন উপায় বের করা যায় কিনা যাতে তিনি এ সমস্যা থেকে মুক্তি … বিস্তারিত পড়ুন

অন্যের সুখই নিজের সুখ

একদিন এক শিক্ষক ক্লাসে ঢুকে সব ছাত্রকে একটি করে বেলুন দিয়ে বেলুনে যার যার নাম লিখতে বললেন। সবার নাম লেখা হয়ে গেলে শিক্ষক বেলুনগুলো সংগ্রহ করলেন। বেলুনগুলো নিয়ে পাশের একটি কক্ষে রাখলেন। এরপর শিক্ষক সব ছাত্রকে ৫ মিনিট সময় দিয়ে তাদের নিজের নাম সম্বলিত বেলুনটি খুঁজতে বললেন। সবাই হুড়মুড় করে ঐ কক্ষে ঢুকল, হন্যে হয়ে … বিস্তারিত পড়ুন

অন্যকে সহযোগিতা করুন, নিজেও তা পাবেন

অনেক দিন আগের কথা। নীল আকাশের নিচে নীল সাগরের নীল পানিতে নীল জেলের বাস ছিল। তার নাম নীল কেন রাখা হয়েছে তা কেউ জানতনা। কিন্তু কাকতলীয় ভাবে নীল জেলের বেঁচে থাকার মাঝে প্রকৃতির কত নীলেরই সমাগম হয়েছিল। ছোট্ট নীল জেলে প্রতিদিনই তার বাবাকে মাছ ধরতে সাহায্য করতে সাগরে আসত। সে খুব উদার ছিল। বাবার অলক্ষে … বিস্তারিত পড়ুন

অন্যকে সুখে রাখুন, নিজে সুখী হবেন

এক অন্ধ লোক রাস্তার পাশেই বেলুন বিক্রি করতো। কিন্তু সেগুলো ছিল সাদা-কালো। রঙিন কোনো বেলুন তার কাছে ছিল না। কারণ লোকটি সাদা-কালো ও রঙিনের পার্থক্য বুঝতও না। একদিন একটি ছোট বাচ্চা বেলুন কিনতে এসে বৃদ্ধ লোকটিকে জিজ্ঞেস করলো—“কাকু, তুমি শুধু সাদা-কালো বেলুন বিক্রি করো কেন? রঙিন নেই কেন?” তখন লোকটি বাচ্চাটিকে বললেন—“আসলে বাবু, আমি তো … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!