আকাশে কত তারা আছে? —বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়– দ্বিতীয় অংশ

অর্গেলন্দর নবম শ্রেণী পর্য্যন্ত তারা স্বীয় তালিকাভুক্ত করিয়াছেন। তাহাতে সপ্তম শ্রেণীর ১৩,০০০ তারা, অষ্টম শ্রেণীর ৪০,০০০ তারা, এবং নবম শ্রেণীর ১৪২,০০০ তারা। উচ্চতম শ্রেণীর সংখ্যা পূর্ব্বে লিখিত হইয়াছে কিন্তু এ সকল সংখ্যাও সামান্য। আকাশে পরিষ্কার রাত্রে এক স্থূল শ্বেত রেখা নদীর ন্যায় দেখা যায়। আমরা সচরাচর তাহাকে ছায়াপথ বলি। ঐ ছায়াপথ কেবল দৌরবীক্ষণিক নক্ষত্রসমষ্টি মাত্র। … বিস্তারিত পড়ুন

ধূলা—-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

ধূলার মত সামান্য পদার্থ আর সংসারে নাই। কিন্তু আচার্য্য টিণ্ডল ধূলা সম্বন্ধে একটি দীর্ঘ প্রস্তাব লিখিয়াছেন। আচার্য্যের ঐ প্রবন্ধটি দীর্ঘ এবং দুরূহ, তাহা সংক্ষেপে এবং সহজে বুঝান অতি কঠিন কর্ম্ম। আমরা কেবল টিণ্ডল সাহেবকৃত সিদ্ধান্তগুলিই এ প্রবন্ধে সন্নিবেশিত করিব, যিনি তাঁহার প্রমাণ জিজ্ঞাসু হইবেন, তাঁহাকে আচার্য্যর প্রবন্ধ পাঠ করিতে হইবে। ১। ধূলা, এই পৃথিবীতলে এক … বিস্তারিত পড়ুন

আশ্চর্য্য সৌরোৎপাত—-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়– প্রথম অংশ

১৮৭১ সালে সেপ্টেম্বর মাসে আমেরিকা-নিবাসী অদ্বিতীয় জ্যোতির্ব্বিদ ইয়ঙ্ সাহেব যে আশ্চর্য্য সৌরোৎপাত দৃষ্টি করিয়াছিলেন, এরূপ প্রকাণ্ড কাণ্ড মনুষ্যচক্ষে প্রায় আর কখন পড়ে নাই। তত্তুলনায় এট্‌না বা বিসিউবিয়াসের অগ্নিবিপ্লব, সমুদ্রোচ্ছ্বাসের তুলনায় দুগ্ধ-কটাহে দুগ্ধোচ্ছ্বাসের তুল্য বিবেচনা করা যাইতে পারে। যাঁহারা আধুনিক ইউরোপীয় জ্যোতির্ব্বিদ্যার সবিশেষ অনুশীলন করেন নাই, এই ভয়ঙ্কর ব্যাপার তাঁহাদের বোধগম্য করার জন্য সূর্য্যের প্রকৃতিসম্বন্ধে দুই … বিস্তারিত পড়ুন

আশ্চর্য্য সৌরোৎপাত—-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়– দ্বিতীয় অংশ

কথিত সময়ে প্রফেসর ইয়ঙ্ দূরবীক্ষণে দেখিতেছিলেন যে, সূর্য্যের উপরি ভাগে একখানি মেঘবৎ পদার্থ দেখা যাইতেছে। অন্যান্য উপায় দ্বারা সিদ্ধান্ত হইয়াছে যে, পৃথিবী যেরূপ বায়বীয় আবরণে বেষ্টিত, সূর্য্যমণ্ডলও তদ্রূপ। ঐ মেঘবৎ পদার্থ সৌর বায়ূর উপরে ভাসিতেছিল। পাঁচটি স্তম্ভের ন্যায় আধারের উপরে উহা আরূঢ় দেখা যাইতেছিল। প্রফেসর ইয়ঙ্ পূর্ব্বদিন বেলা দুই প্রহর হইতে ঐ রূপই দেখিতেছিলেন। তদবধি … বিস্তারিত পড়ুন

আকাশে কত তারা আছে? —বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়– প্রথম অংশ

ঐ যে নীল নৈশ নভোমণ্ডলে অসংখ্য বিন্দু জ্বলিতেছে, ওগুলি কি? ওগুলি তারা। তারা কি? প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিলে পাঠশালার ছাত্র মাত্রেই তৎক্ষণাৎ বলিবে যে, তারা সব সূর্য্য। সব সূর্য্য! সূর্য্য ত দেখিতে পাই বিশ্বদাহকর, প্রচণ্ডকিরণমালার আকর; তৎপ্রতি দৃষ্টিনিক্ষেপ করিবারও মনুষ্যের শক্তি নাই; কিন্তু তারা সব ত বিন্দু মাত্র; অধিকাংশ তারাই নয়নগোচর হইয়া উঠে না। এমন বিসদৃশের … বিস্তারিত পড়ুন

পিচ্চি দ্য গ্রেট

আপু, আপুরে… এই উঠত! ইংরেজিতে অপিরা মিনি বানান করে কিভাবে একটু বল…।’ গভীর রাতে পিচ্চি ছোট ভাই শিবলীর এমন আজগুবি হুকুম শুনে ঘুমটা ভেঙে গেল। আমি কিছু বুঝে ওঠার আগে সে আবারো বলা শুরু করল, ‘তাড়াতাড়ি বল না! নেট থেকে অপিরা মিনি ডাউনলোড করে সেটা দিয়ে গেমস ডাউনলোড করব। বানানটা পারছি না।’ রাত ২টা বাজে … বিস্তারিত পড়ুন

হোমওয়ার্ক

শেষ পিরিয়ডে ঢালি স্যারকে ক্লাসে ঢুকতে দেখে রতনের হাত-পা ঠান্ডা হয়ে গেল। তার একদম মনে ছিল না হোমওয়ার্কের কথা। ঢালি স্যারের হোমওয়ার্ক আনা হয়নি। হায় আল্লাহ, এখন কী হবে? কাল রাতে হঠাৎ করে টাঙ্গাইল থেকে ছোট মামা এসেছিলেন টাঙ্গাইলের বিখ্যাত মিষ্টি চমচম নিয়ে। সেগুলো সব ভাইবোন মিলে খেয়ে দেয়ে…তারপর গভীর রাতে ছোট মামার ভয়ংকর সব … বিস্তারিত পড়ুন

গরুর রচনা।

চা খাচ্ছেন। আর ভাবছেন। কত কিছু ভাবনা আসে না, চা খাওয়ার সময়। ভাবতে ভাবতে একটু মাথাও চুলকালেন। ব্যস। খসখস করে মাথা চুলকালে যা হয় তাই হল। টপ করে আম পড়ার মত চায়ে পড়ল মাথার কয়েক দানা খুস্কি। চা ও এই খুস্কি। চা শেষ। উহু। শুধু খুস্কি। চা ও শেষ খুস্কি। চাউসেস্কু। আরে না না। আমি … বিস্তারিত পড়ুন

টোঙঘরে শুনু পন্ডিত–গাজী হানিফ

কাঙ্খিত সেই বাসর রাত এলো। দুরু দুরু বুকে ঝট করে তোমার ঘোমটা খুলতেই বুকটা ছ্যাঁক করে লাফিয়ে উঠলো। আল্লারে! যে হলদে পাখির মতো রাঙা ঠোঁট, টিকেল নাক আর আধ-বোজা ডাগর চোখে এক ঝলক রূপের চমক… আমায় আকুল করলো। আমি কানের কাছে মুখ নিয়ে বলেছিলাম, তুমি আমার রাঙা বউ। এসব মনে পড়ে তোমার? সচকিত হয়ে এদিক-সেদিক … বিস্তারিত পড়ুন

ডিজিটাল আলাদিনের দৈত্য

আমার ফেসবুকের মেসেজ অপশন টা হাইড করা । পরিচিত ছাড়া কেউ সেখানে মেসেজ পাঠাতে পারে না । কিন্তু মেসেজ বাটনে জ্বলজ্বল করা থাকা লাল চিহ্নটা বলছে কেউ মেসেজ পাঠিয়েছে । “জ্বীন কফিল” নামের কেউ মেসেজ পাঠিয়েছে । আমার ফ্রেন্ড লিস্ট ছোট মোটামুটি সবাইকেই চিনি । জ্বীন কফিল নামে কেউ আছে বলে ঠিক মনে পড়লো না … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!