শত্রুকে নিজের তরবারি দান—আমরা সেই সে জাতি –– আবুল আসাদ

চতুর্থ খলীফা বীরবর আলী। বিস্ময়কর তার শক্তি, সাহস ও ওউদার্য। এক যুদ্ধের ময়দানে বিপুল বিক্রমে তিনি যুদ্ধ করছেন। একজন বলিষ্ঠ ও সাহসী সৈন্য তার দিকে অগ্রসর হয়ে প্রচন্ড বেগে তাকে আক্রমণ করল। তুমুল যুদ্ধ চললো। অকস্মাত আলীর আঘাতে শত্রুর তরবারি ভেঙ্গে গেল। শত্রুকে অসহায় দেখে আলী তরবারি কোষ বন্ধ করলেন। শত্রু মৃত্যুর প্রতীক্ষা করছে। আলীকে … বিস্তারিত পড়ুন

উবাদা ইবনে সামিতের শপথ রক্ষা—আমরা সেই সে জাতি –– আবুল আসাদ

খলীফা উমার (লা) শাসনকাল। মুয়াবিয়া তখন সিরিয়অর শাসনকর্তা। মদীনার খাযরাজ গোত্রের হযরত উবাদা ইবন সামিত গেলেন সিরিয়ায়। বাইয়াতে রিদওয়ানে শরীক আনসার উবাদা ইবন সামিত সত্য প্রকাশের ক্ষেত্রে দুনিয়ার কোন মানুষকেই ভয় করেন না। সিরিয়ায় ব্যবসা ও শাসনকার্যে কতকগুলো অনিয়ম দেখে তিনি ক্রোধে জ্বলে উঠলেন। দামেশকের মসজিদ। সিরিয়ার গভর্ণর মুয়াবিয়াও উপস্থিত মসজিদে। নামাযের জামাত শেষে হযরত … বিস্তারিত পড়ুন

ইয়ারমুকে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল যারা—আমরা সেই সে জাতি –– আবুল আসাদ

ইয়ারমুক প্রান্তরে ভীষণ যুদ্ধ চলছে। রোম সম্রাট হিরাক্লিয়াসের এটা এক মরণ পণ সংগ্রাম। রোম সাম্রাজ্যের সবচেয়ে নিপুণ সেনাপতি ম্যানোয়েল বা মাহান দুই লক্ষেরও অধিক সৈন্য নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন ৪০ হাজার সৈন্যের এক ক্ষুদ্র মুসলিম বাহিনীর উপর। একদিন নয় দুদিন নয়, ৫ দিন যুদ্ধ চলছে। রোমক ন্যৈদের পায়ে শৃঙ্খল লাগানো হয়েছে যাতে তারা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালাতে … বিস্তারিত পড়ুন

রোমান সেনাপতি মাহানের তাঁবুতে খালিদ বিন ওয়ালিদ—আমরা সেই সে জাতি –– আবুল আসাদ

ইয়ারমুকের যুদ্ধ তখনও শুরু হয়নি। সম্রাট হেরাক্লিয়াসের প্রধান সেনাপতি মাহানের অধীনে কয়েক লক্ষ সৈন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে নির্দেশের অপেক্ষায় দণ্ডায়মান। এমন সময় ময়দানের অপর প্রান্তে মুসলিম শিবিরে খবর এল, রোমক সেনাপতি মাহান মুসলিম দূতের সাথে দেখা করতে চান। এই আহবান অনুসারে মুসলিম বাহিনীর প্রধান সেনাপতি আবু উবাইদার নির্দেশে খালিদ ১০০ অশ্বারোহী সৈন্য নিয়ে মাহানের শিবিরে … বিস্তারিত পড়ুন

সেনাপতি হলেন সাধারণ সৈনিক—আমরা সেই সে জাতি –– আবুল আসাদ

সিরিয়ার রণক্ষেত্র। সিরিয়ায় মুসলিম বাহিনীর সর্বাধিনায়ক খালিদ সৈন্য পরিচালনা করছেন। মদীনা থেকে খলিফা হযরত উমারের (রাদিয়াল্লাহু আনহু) দূত শাদ্দাদ ইবনে আউস খালিদের পদচ্যুতি এবং সেনাপতি আবু উবাইদার প্রধান সেনাপতি মনোনয়নের চিঠি নিয়ে এলেন সিরিয়ায়। সিরিয়ার সেনাশিবির। সকল সৈনিক ও সেনাধ্যক্ষরা উপস্থিত। খলীফার দূত শাদ্দাদ সকলের সামনে সর্বাধিনায়ক খালিদের পদাবনতি এবং আবু উবাইদার প্রধান সেনাপতি পদে … বিস্তারিত পড়ুন

উহুদের হিন্দা ইয়ারমুকে—আমরা সেই সে জাতি –– আবুল আসাদ

যেই হিন্দা উহুদ যুদ্ধে শহীত হামজার কলিজা চিবিয়েছিলেন, সেই হিন্দা ইসলামের ছায়ায় আশ্রয় লাভের পর নতুন এক জীবনে বিমূর্ত হয়ে উঠলেন। যে রূপে আমরা তাঁকে উহুদ প্রান্তরে দেখেছিলাম তার বিপরীত রূপে আমরা তাঁকে দেখি ইয়ামাক রণক্ষেত্রে। ইসলামের বিস্ময়কর আবির্ভাব ও অব্যুত্থানে পূর্বরোম সাম্রাজ্যের শাসনকর্তা বিচলিত হয়ে পড়েন। রোম সাম্রাজ্যের পাশেই ইকটি শক্তিশারী রাষ্ট্রের অভ্যুদয় তাঁর … বিস্তারিত পড়ুন

ইকরামা ইবন আবু জাহলের শাহাদাত—আমরা সেই সে জাতি –– আবুল আসাদ

ইসলামের মখর শত্রু ইকরামা ইবন আবু জাহল ইসলামের সশীতল ছায়ায় আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। ইসলাম গ্রহণের আগে একদিন যে কট্টর শত্রু ছিল, ইসলাম গ্রহণের পর সে হয়ে উঠল একজন জানবাজ মুজাহিদ। তাঁর প্রাণে জ্বলে উঠল ঈমানের আগুন-শহীদের রক্তবীজ সঞ্চারিত হলো তাঁর প্রাণমূলে। অন্ধকার থেকে আলোয় এসেছেন তিনি। আলেঅর স্পর্শ তাঁকে পাগল করে তুলেছে। সংগ্রামের প্রাণশক্তি তাঁর … বিস্তারিত পড়ুন

সা‘দের প্রাসাদে আগুন—আমরা সেই সে জাতি –– আবুল আসাদ

সেনাপতি সা’দ। মুসলিম বাহিনীর অধিনায়ক সা’দ পারস্য জয় করেছেন। বিজয়ের পর হযরত উমার তাঁকে কুফার শাসনকর্তা নিযুক্ত করলেন। সেনাপতি সা’দ তাঁর বিজয় অভিযান কালে পারস্য সম্রাটের বিলাসব্যসন ও আরাম আয়েশের অফুরান নজীর দেখেছেন। কুফা নগরী সাজাবার সময় বোধ হয় তাঁর সেসব কথা মনে পড়েছিল। তিনি নিজের জন্যও তাই সেখানে একটি প্রাসাদ তৈরী করলেন এবং সম্রাট … বিস্তারিত পড়ুন

জর্দানের রোমান শাসকের দরবারে মুয়াজ—আমরা সেই সে জাতি –– আবুল আসাদ

জর্দানের সুন্দর ‘ফাহল’ নগরী। ইরাক-জর্দান এলাকায় এটা রোমানদের শেষ দুর্গ। নিরুপায় রোমক বাহিনী মুসলিম সেনাপতি আবু উবাইদার কাছে সন্ধির প্রস্তাব দিল। সন্ধি সম্বন্ধে আলোচনার জন্য সেনাপতি আবু উবাইদাহ (রা) মুয়াজ ইবন জাবাল (রা)-কে পাঠালেন রোমক শাসক সাকলাবের দরবারে। মুয়াজ দরবারে পৌঁছলে সাকলাব তাঁকে পরম সমাদরে একটি কারুকার্যখচিত আসনে বসবার জন্য অনুরোধ করলেন। কিন্তু মুয়াজ দরবারের … বিস্তারিত পড়ুন

আমীরুল মুমিনীন কৈফিয়ত দিলেন—আমরা সেই সে জাতি –– আবুল আসাদ

শুক্রবার। জামার নামায। ইমামের আসনে হযরত উমার। খোতবাদানের জন্য তিনি মিম্বারে দাঁড়িয়েছেন। চারদিকে নিঃশব্দ নীরবতা। সকলের চোখ খলীফা উমারের দিকে। হঠাৎ মসজিদের অভ্যন্তর থেকে একজন লোক উঠে দাঁড়াল। সে বলল, “উপস্থিত ভ্রাতৃগণ! গতকাল আমরা বাইতুল মাল থেকে এক টুকরা করে কাপড় পেয়েছি। কিন্তু খলীফা আজ যে নতুন জামাটি গায়ে দিয়েছেন, তা তৈরী করতে অন্ততঃ তিন … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!