অচিনপুরের কল্পকথা

অচিনপুর গ্রামটাকে ম্যাপে খুঁজলে পাওয়া যাবে না – ছোট্ট নদী রঙ্গিনীর একটা বড় বাঁকের মধ্যে প্রায় লুকিয়ে আছে যেন রঙ্গিনী গ্রামটাকে নিজের বুকের মধ্যে ‘সাত রাজার ধন এক মানিকের’ মত আগলে রেখেছে। গ্রামের তিন দিক দিয়ে বয়ে চলেছে রঙ্গিনী তবে যত বর্ষাই হোক না কেন গ্রামকে কখনই ভাসিয়ে নিয়ে যায় না বরং মাটিকে সমস্ত বছর … বিস্তারিত পড়ুন

সত্যি নয় রুপ কথা

সে অনেক অনেক দিন আগের কথা (?) এক দেশে এক রানি পুত্র ছিল । তার ক্ষুধা ছিল গণেশ এর মত । সারা দিন শুধু খাই খাই । ম্যর্ত বাসির ভাগ্য ভালছিল তাই দেবতাগন গণেশ কে ঘুম পাড়িয়ে রাখে সারা বছর । তা নাহলে গণেশ এর খাদ্য জোগাড় ম্যর্ত বাসির জীবণ যেতো । কিন্তু সেই দেশ … বিস্তারিত পড়ুন

পটলার বনভ্রমণ –১ম অংশ

সুখে থাকতে ভূতে কিল মারে বলে বাংলায় একটা প্রবাদ আছে। মানে সংসারে বেশ কিছু মানুষ আছে তারা সুখে-শাস্তিতে থাকতে চায় না। যেভাবেই হোক কোনো একটা অশান্তিকর ব্যাপারে জড়িয়ে পড়বেই। কথাটা আমাদের বন্ধুপটলার বেলাতে বিশেষভাবে প্রযোজ্য। নিজে তো অশান্তিতে জড়াবেই, আর সেই সঙ্গে পঞ্চ পাণ্ডব ক্লাবের আমাদের বাকি চারজনকেও জড়াবে। বেশ ছবির মতো সুন্দরই সবকিছু ছিল। … বিস্তারিত পড়ুন

পটলার বন ভ্রমন — ২য় অংশ

  এসব ছাড়াও এবার ভূধর অজয়বাবুর সম্পদ দখল করার জন্যই তাকে সস্ত্রীক টানা গাড়িতে করে এই গভীর বনের মধ্যে বাংলোয় এনেছে। অজয়বাবু, মানসীদেবী শহরের ভিড় থেকে দূর নির্জনে এই বনবাংলোয় এসে খুশিই হন। তবে সবকিছু তো একসঙ্গে মেলে না। বাংলোয় ওঁরা বাইরে থেকে চাল, ডাল, তেল, ঘি, মালপত্র মাছ, সবই এনেছেন। এখানের বাংলায় কাজের লোকের … বিস্তারিত পড়ুন

পটলার বন ভ্রমন– শেষ অংশ

  ভূধর জানে কিসের ব্যবসার কথা বলছে ভজনলাল। ভূধর বলে, কই আর চলছে। হাতির দাঁত, বাঘের চামড়ার বহুৎ ডিমান্ড! মাল মিলছে না! ভজনলাল এককালে ছিল বনের চোরাশিকারি। যেমন সাহস আর তেমনি তার অব্যর্থ লক্ষ্য। অতীতে বহু শিকার করেছে রাজা-জমিদারদের জন্য। পরে শিকার নিষিদ্ধ হতে সে চোরা কাঠের কাজ আর চোরাশিকার করছে তার লোকজন দিয়ে। মন্দিরের … বিস্তারিত পড়ুন

পরির দেশ

  সে বহুকাল আগের কথা। এই পৃথিবী থেকে বহু দূরে ছিল একটা দেশ। যেখানে পরীরা এসে মানুষের সাথে গল্প করত। পাখিরা, মাছেরা সব কথা বলত। যেখানে ছিল বৃষ্টি গাছ। যে গাছের নীচে দাঁড়ালেই বৃষ্টি ঝরত আর সাথে মিষ্টি সুবাস। সেখানে ছিল একটা সুখ নদী। যে নদীর পাশে বসে কেউ দুখের কথা কইলে, নদী তার দুঃখ … বিস্তারিত পড়ুন

বত্রিশ পুতুলের উপাখ্যান: ৯ম উপাখ্যান

পরদিন ভোজরাজ আবার সিংহাসনে বসতে গেলে নবম পুতুল বললো, মহারাজ, আমার নাম কামকলিকা, আমার কথা শুনে তারপর সিংহাসনে বসবেন। বিক্রমাদিত্যের প্রধান মন্ত্রীর নাম ছিল ভট্টি, উপমন্ত্রী গোবিন্দ, সেনাপতি চন্দ্রশেখর এবং পুরোহিত ত্রিবিক্রম। ত্রিবিক্রমের পুত্রের নাম ছিল কমলাকর। তিনি পিতার দৌলতে সুখাদ্য ভোজন ও বহুমূল্য বস্ত্রে শরীরকে তোয়াজ করে মনের আনন্দে দিন কাটাতেন । পিতা একদিন … বিস্তারিত পড়ুন

বত্রিশ পুতুলের উপাখ্যান: ১০ম উপাখ্যান

পরদিন ভোজরাজ সিংহাসনে বসতে গেলে দশম পুতুল বললো, মহাবাজ, আমার নাম চণ্ডিকা, আমার কথা আগে শুনুন, তারপর সিংহাসনে বসবেন । বিক্রমাদিত্য যখন উজ্জয়িনীতে রাজত্ব করতেন তখন এক যোগী এসে উপস্থিত হলেন সেথানে। শোনা গেল এমন কোন বিদ্যা নেই যা তিনি জানেন না। বেদ, চিকিৎসা, জ্যোতিষ, গণিত, সঙ্গীত– সকল বিষয়ে পারদর্শী তিনি এককথায় তিনি সর্বজ্ঞ । … বিস্তারিত পড়ুন

বত্রিশ পুতুলের উপাখ্যান: ১১তম উপাখ্যান

পরদিন ভোজরাজ সিংহাসনে বসতে গেলে একাদশ পুতুল বললো, মহারাজ, আমার নাম বিদ্যাধরী, আমার কথা আগে শুনুন, তারপর সিংহাসনে বসুন। বিক্রমাদিত্যের রাজত্বে কোথাও কোন অন্যায় কাজ হত না। মন্দ লোকেরা সাজা পেত এবং সৎ লোকেরা রাজার কাছ থেকে পুরস্কার পেত। ‘ একবার বিক্রমাদিত্যের রাজ্য ভ্রমনের ইচ্ছা হল। তিনি রাজ্যভার মন্ত্রীর উপর দিয়ে যোগীর বেশে বেরিয়ে পড়লেন। … বিস্তারিত পড়ুন

বত্রিশ পুতুলের উপাখ্যান: ১৩তম উপাখ্যান

পরদিন ত্রয়োদশ পুতুল বলল, মহারাজ, আমার নাম জনমোহিনী। বিক্রমাদিত্য সম্পর্কে আর একটি গল্প শুনুন। বিক্রমাদিত্য একবার যোগীবেশে দেশ পরিভ্রমণে বেরোলেন। গ্রামে এক রাত ও শহরে পাঁচ রাত এইভাবে তিনি কাটাতে লাগলেন । একদিন তিনি এক নগরে এসে পৌছলেন। সেই নগরের কাছে নদীতীরে একটি মন্দির আছে। মন্দিরের চাতালে বসে মহাজনরা প্রাচীন পুরাণ পৌরণিকদের মুখে শোনেন। রাজাও … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!