বোতলের ভূত — জার্মানের রূপকথা

এক সময় ছিল গরিব এক কাঠুরে । সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত সে কাজ করত । সামান্য কিছু টাকাকড়ি জমিয়ে সে তার ছেলেকে বলল, “তুই আমার একমাত্র সন্তান । তাই মাথার ঘাম পায়ে ফেলে যা কিছু জমিয়েছি তোকে দেব তোর শিক্ষার জন্যে খরচ করতে । এমন কিছু শিথিস যাতে আমার বুড়ো বয়েসে আমাকে খাওয়াতে-পরাতে পারিস । … বিস্তারিত পড়ুন

চুলের সেতু — ইংল্যান্ডের রূপকথা

অনেককাল আগে এক দেশে ছিল এক গরীব কাঠুরে। অনেকগুলো ছেলেমেয়ে ছিল তার ঘরে। ছেলেমেয়েদের ঠিকমতো যত্ন নিতে পারত না সে, এমনকি তাদের জন্য দু’বেলা দুমুঠো খাবারও জোটাতে পারত না। এই নিয়ে কাঠুরে আর তার বউয়ের দুঃখের অন্ত ছিল না। ছেলেমেয়েদের কচি কচি শুকনো মুখের দিকে তাকিয়ে দু’জন প্রায়ই বিলাপ করত । শেষ পর্যন্ত মনের দুঃখে … বিস্তারিত পড়ুন

আনন্দভায়া — জার্মানের রূপকথা — প্রথম অংশ

একবার এক দীর্ঘ লড়াইয়ের পর অনেক সৈন্যকে বরখাস্ত করা হয় । তাদের মধ্যে একজনকে লোকে ডাকত আনন্দভায়া বলে । তাকে সামান্য রুটি আর গোটা চারেক পয়সা দিয়ে বিদেয় করা হয় । এই পুঁজি নিয়ে সে পড়ল বেরিয়ে । পথের পাশে সেন্ট পিটার বসেছিলেন ভিখিরির ছদ্মবেশে । আনন্দভায়া তার পাশ দিয়ে যাবার সময় তিনি ভিক্ষে চাইলেন … বিস্তারিত পড়ুন

আনন্দভায়া — জার্মানের রূপকথা — দ্বিতীয় অংশ

সে বলল, “না—আমি খাই নি ।” জল তখন উঠে এল তার মুখ পর্ষন্ত । আবার সে চেঁচিয়ে উঠল, “বন্ধু, সাহায্য করো, সাহায্য করো ।” কিন্তু সেন্ট পিটার আবার প্রশ্ন করলেন, “স্বীকার করবে কি ভেড়ার ছানার কলজেটা তুমি খেয়েছ ?” সে বলল, “না,—আমি খাই নি ।” তাকে ডুবিয়ে মারার ইচ্ছে দয়ালু সেন্ট পিটারের ছিল না । … বিস্তারিত পড়ুন

আনন্দভায়া — জার্মানের রূপকথা — তৃতীয় অংশ

  আনন্দভায়া বলল, “এই চমৎকার দুর্গটা থাকতে লোকে এখানে ভীড় করতে আসে কেন, বুঝলাম না ।” সরাইখানার মালিক বলল, “ওখানে যারা রাত কাটাতে যায় তারা আর বেঁচে ফেরে না।” আনন্দভায়া বলল, “আমি ভয় পাই না । ওখানেই চললাম রাত কাটাতে ।” সরাইখানার মালিক বলল, “আমার কথা শোনো । ওখানে যেও না । গেলে ফাঁসির দড়িতে … বিস্তারিত পড়ুন

স্বাবলম্বন

ভরতপাখী এক গমের ক্ষেতে ডিম পেড়েছিল। ডিম থেকে বাচ্চা বেরিয়েছে, বাচ্চাগুলি বেশী বড়ও হয়েছে, মাথায় ঝুঁটি বেরিয়েছে।একদিন ক্ষেতের মালিক এল ক্ষেত দেখতেঃ আরে গম ত বেশ পেকে উঠেছে, এবার ত কেটে ঘরে নিতে হয়। দেখি বন্ধু-বান্ধবদের ডেকে আনা যাক । পাখীর এক বাচ্চা এই কথা কানে যেতে সে তার মাকে বললে, ও মা, শুনলে তা … বিস্তারিত পড়ুন

আজাহার-মথুরার গল্প — ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

বর্ধমান সদরঘাটে দামোদর নদের বিস্তীর্ণ বালুকাবেলার ওপারে পলেমপুর নামে একটা গ্রাম আছে। পলেমপুরের পূর্বনাম ছিল পালোয়ানপুর। এখন কিন্তু পালোয়ানপুর বললে কেউ চিনতেই পারবে না। বলবে, “পালোয়ানপুর ? সি কোন্‌ গেরাম বটে?” তবে প্রবীণ যারা, তারা অবশ্য সে-কথা বলবে না। শুধু বর্তমানের সঙ্গে অতীতের তুলনা করে দুঃখ-সুখের হিসেব-নিকেশ করবে। এই পালোয়ানপুর গ্রামে আজাহার আর মথুরা নামে … বিস্তারিত পড়ুন

চুরিবিদ্যা — তারাপদ রায়

নাবালক বয়সে এ বিষয়ে একটি লেখা লিখেছিলাম। সম্ভবত সেটাই ছিল আমার প্রথম রম্যরচনা। এত বিষয় থাকতে ওই নিষ্পাপ বয়সে আমি কেন চুরিবিদ্যার উপরে আমার প্রথম গদ্যটি লিখেছিলাম সেটা যাঁর যেমন ইচ্ছে অনুমান করতে পারেন। কিন্তু আমার এখনও স্পষ্ট মনে আছে। ওই লেখাটি লিখতে গিয়ে আমি প্রভূত আনন্দ পেয়েছিলাম। লিখতে লিখতে টের পেয়েছিলাম তস্করবৃত্তির প্রতি আমার … বিস্তারিত পড়ুন

ঈর্ষা

একটি লোক একটা তোতাপাখী কিনে এনেছে বাড়িতে। দস্তরমত পোষমানা । অনেক কাজে লাগবে এ, অনেক আনন্দ দেবে । – চিমনীর ধারে বসে বাড়ির সবাই আরামে আগুন পোহাচ্ছে, এমন সময় তোতাটা উড়ে এসে বসলো ! পাশেরই এক উঁচু জায়গায় । বসে নানা মজার মজার কথা বলতে লাগল। – বাড়ির বেড়ালটা এই দেখে এসে তাকে বললে,-কে তুমি … বিস্তারিত পড়ুন

কলসির কাজ দেখাশোনা — তিব্বতের লোককাহিনী

কোনো এক কালে, একদিন একটি পোড়া মাটির কলসি, একটি কাদামাটির সানকি, একটি ওলকপি, একটি মাছি, একটি যবের শীষ এবং একটি সূচ বাড়ির কাজ ভাগ করে নেওয়ার জন্য একত্র হল । বাড়ির কর্তা হল কলসি । সে সবার মধ্যে কাজ ভাগ করে দিল । কাদার সানকি আনবে পানি, ওলকপি চরাবে গাই, মাছি চরাবে ষাঁড়, যবের শীষ … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!