অচেনা দ্বীপের গল্প– চতুর্থ পর্ব

  তুমি আমাকে নিয়ে কৌতুক করছ। মোটেও না। যে মানুষ আমাকে সিদ্ধান্ত নামের দরজা দিয়ে রাজপ্রাসাদ থেকে বের করে এনেছে আমি তাকে নিয়ে  কৌতুক করতে পারি না। আমাকে মাফ করো। যাই ঘটুক না কেন, আমি আর কোনও দিন ওখানে ফিরে যাব না। চাঁদের আলো এখন সরাসরি পরিচ্ছন্ন নারীর মুখে এসে পড়ছে। সুন্দর, সত্যি সুন্দর, ভাবল … বিস্তারিত পড়ুন

সিংহাসন

সিংহাসন : আপনি কোথায় চললেন মহারাজ ? রাজা অস্থির হয়ে বললেন : জানিনা ,তবে এটুকু জানি ওই গদিতে বসার যোগ্যতা আমার নেই। সিংহাসন : একি বলছেন মহারাজ ? ঈশ্বরের যোগ্যতা বিচার হয় বলে তো কখনো শুনিনি। রাজা বিস্ময় প্রকাশ করে বললেন : কে ঈশ্বর ? আমি তো একজন সাধারণ মানুষ যার ছোট্ট ভুলের খেসারত দেশ … বিস্তারিত পড়ুন

মৃত মানুষ ও যমদূত গোছের কেউ

মৃত মানুষ : আমি ভগবানের সাথে দেখা করতে চাই। যমদূত গোছের কেউ : ওনাকে দেখা যায় না ,উনি নিরাকার। মৃত মানুষ :আকার না দেখা যাক ,সাদা আলখাল্লা ধরনের পোশাক অথবা গাড়ির হেডলাইটের মত চোখ ধাধানো আলো ,কিছু তো দেখা যাবে ! যমদূত গোছের কেউ : সে আবার কি ? নিরাকারের পোশাক কি প্রয়োজন আর এখানে … বিস্তারিত পড়ুন

আলীবাবার মৃত্যু– প্রথম পর্ব

পরিণামে যেসব লোক ধুঁকতে ধুঁকতে মরে যায়, অসংখ্য মানুষের ভিড়ে যারা একটা অফিসে যাবতীয় কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য চাকরি করে, তাদের নাম কেরানি। তাদেরই একজন টাউন হল অফিসের সর্বোচ্চ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে পড়ে মরে গেছে। পরদিন খবরের কাগজের তৃতীয় পৃষ্ঠায় নিচের দিকে, যেখানে স্থানীয় সংবাদে ডাকাতি, ধর্ষণ, আত্মহত্যা ও দুর্ঘটনার মতো খবরাদি ছাপা হয়, … বিস্তারিত পড়ুন

আলীবাবার মৃত্যু– দ্বিতীয় পর্ব

(পাওয়ান মানচান্দা এতই ব্যস্ত ছিল যে সে ওই নামটির বাইরে আর কোনো নাম তার মাথায় আসেনি। কারণ মানচান্দার বিয়ের ব্যাপারে ভরদ্বাজের মেয়ের ঘটকালির একটা ভূমিকা ছিল) কারণটি হচ্ছে তার সহায়-সম্পত্তির আয়কর কিছুটা কমিয়ে দিতে হবে। বিস্তারিত তদন্তের পর প্রকাশ পায় যে ঘুষ নেওয়ার সময় রামলাল হাতেনাতে ধরা পড়ে। আমরা সবাই জানি মাঝেমধ্যে চুনোপুঁটি কেরানি বা … বিস্তারিত পড়ুন

আলীবাবার মৃত্যু– তৃতীয় পর্ব

  যাচ্ছে। সে নিজেকে এই ভেবে সান্ত্বনা দিত যে এমন দিনও আসবে যেদিন তার সন্তানরা মাথা উঁচু করে চলবে এবং ভাববে তার পিতৃদেব আগাগোড়া একজন সৎ মানুষ ছিলেন। এ জন্য তারা গর্ভও বোধ করবে। তার বেতনে যে সারা মাসও চলত না, এই বিষয়টি তার কাছে একেবারেই মূল্যহীন। তার পরিবারের লোকেরা তো দেখত না সে কত … বিস্তারিত পড়ুন

অচেনা দ্বীপের গল্প– প্রথম পর্ব

এক লোক রাজার দরজায় টোকা মেরে বলল, আমাকে একটা জাহাজ দিন। রাজপ্রাসাদে আরও অনেক দরজা আছে, তবে এই দরজাটা শুধু আর্জি পেশ করার জন্য আলাদা করা। যেহেতু রাজা তাঁর পুরোটা সময় প্রাপ্য নামে দরজায় কাটান (যা কিছু সব রাজারই প্রাপ্য, আপনাকে বুঝতে হবে), যখনই আর্জির দরজায় কেউ টোকা মারে তিনি শুনতে না পাবার ভান করেন। … বিস্তারিত পড়ুন

অচেনা দ্বীপের গল্প– দ্বিতীয় পর্ব

  হতে পারে এটা নিজেকে চেনা দ্বীপ বলে স্বীকার করবে না। তাহলে আমি তোমাকে কোনও জাহাজ দেবো না। হ্যাঁ, আপনি দেবেন। ভিড় করা প্রজারা যখন লোকটার এরকম বলিষ্ঠ বক্তব্য শান্ত আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে উচ্চারিত হতে শুনল, উজ্জীবিত এবং অনুপ্রাণিত বোধ করল তারা, তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল ওই লোকের সমর্থনে নাক গলাবে, যতটা না একাত্ম অনুভব করায়, … বিস্তারিত পড়ুন

অচেনা দ্বীপের গল্প– তৃতীয় পর্ব

  সব এই মেয়েটার দায়িত্বে থাকল, আমাকে এখন মাঝি-মাল্লার খোঁজে যেতে হচ্ছে। কথা শেষ করে চলে গেল লোকটা। চাবি নিয়ে জাহাজে চড়ল পরিচ্ছন্ন নারী। ওখানে দুটো জিনিস তার খুব উপকারে লাগল-একটা রাজপ্রাসাদ থেকে নিয়ে আসা ঝাড়–, আরেকটা গাংচিল সম্পর্কে সতর্ক থাকার পরামর্শ। জাহাজের গায়ে সেঁটে থাকা গ্যাঙপ্ল্যাঙ্ক ধরে মাত্র অর্ধেকটা উঠেছে, তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল … বিস্তারিত পড়ুন

রাজকন্যার সাদা রুমাল

এই গল্পের সব কিছুই একটু ব্যতিক্রম, গতানুগতিক নয়। যেমন ধরা যাক, অনেক দিন আগে এই পৃথিবীতে এক দেশ ছিল, অন্যান্য সব গল্পের মত এই দেশ বা রাজ্যটি অনেক বড় ছিল না বরং সবচেয়ে ছোট রাজ্য ছিল এই দেশটি, নাম ‘মাইক্রোকান্ট্রি’। অন্যান্য গল্পের মত এই রাজ্যটি খুব ধনী ছিল না, ছিল না অনেক জৌলুস। খুবই দরিদ্র … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!