রূপকথার রাজ্যে

তখন ভরা সভা । দ্বাররক্ষীকে প্রায় ঠেলে ঠুলে হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ল ধীতিকুমার । মহারাজ সঞ্জীবনের উদ্দেশ্যে বলল – মহারাজ , আমি আপনার সন্তান । এ রাজ্যের রাজকুমার । দেশের কিছু মঙ্গলে নিয়োজিত হতে চাই । মহারাজ সঞ্জীবনের সাথে সাথে নিস্তব্ধ হয়ে গেল সভা । মন্ত্রী লেহনকটি কিছু আন্দাজ করেই নেমে পড়ল মাঠে – রক্ষী , … বিস্তারিত পড়ুন

রাজকন্যা কংকাবতী

রাজকন্যা কংকাবতীর অসুখ । মরন অসুখ । সে কি অসুখ যে মরে যাবে ? রাজকন্যা খেতে পারে না , ঘুমাতে পারে না , কথা বলতে ইচ্ছে করে না , সাজতে ইচ্ছে করে না , চুল আঁচড়াতে ইচ্ছে করে না , – রাজ্য জুড়ে ডাক পড়ে গেলো । ওরে রাজকন্যা কংকাবতীর মরন রোগ হয়েছে গো । … বিস্তারিত পড়ুন

প্যান্ডোরার বাক্সের গল্প

দেবতা প্রমিথিউস স্বর্গ থেকে আগুন চুরি করে আনলেন। তিনি শুধু আগুন চুরি করেই ক্ষান্ত হলেন না; মানব জাতিকে আগুনের নানাবিধ ব্যবহারও শেখাতে শুরু করলেন। তাঁর অদেবতা সুলভ আচরণে দেবরাজ জিউস ক্ষুণ্ণ হলেন।কিন্তু অত্যন্ত কূটকৌশলী দেবরাজ প্রকাশ্যে প্রমিথিউসের সাথে দ্বন্দ্বে জড়ালেন না। জিউসের আদেশে স্বর্গের কারিগর হেফাতিউস মাটি দিয়ে একটি অপূর্ব সুন্দরী নারী মূর্তি তৈরি করলেন।ইনি … বিস্তারিত পড়ুন

ভাগ্যের লেখা — ইংল্যান্ডের রূপকথা

  অনেককাল আগে ইংল্যাণ্ডের উত্তরাঞ্চলে ছিলেন এক ধনী ব্যারন । জাদুবিদ্যায় বিস্তর দখল ছিল তার। ভবিষ্যতে কখন কী ঘটতে যাচ্ছে তা সবই তিনি জাদুর বলে আগেভাগে জেনে নিতে পারতেন। চার বছর বয়সের এক ছেলে ছিল ব্যারনের। একদিন তিনি ভাবলেন, দেখা যাক ছেলের ভাগ্যে ভবিষ্যতে কী আছে। জাদুবিদ্যার বড় বড় পুথিপত্র ঘাঁটলেন তিনি, অনেক রকম হিসেব-নিকেশ … বিস্তারিত পড়ুন

অচ্ছুৎ

কাককে কেহ ভালবাসে না। তার গায়ের রং কালো। কথার সুরও কর্কশ । তাই বলিয়াই কি কাককে অবহেলা করিতে হইবে ? সকলেই কি সুন্দর ? সকলের স্বরই কি মিষ্টি ? যেখানে আবর্জনার মধ্যে দু’একটি খাবার জিনিস পড়িয়া থাকে, কাক তা খুঁটিয়া খায় ; ইঁদুর, আরসুলা, ব্যাঙ মরিয়া গেলে কাক তা কুড়াইয়া খায়। মাটির উপর যে কত … বিস্তারিত পড়ুন

রঙিলা রাজা : আফরোজা অদিতি

সবুজ সবুজ পাতা আর হরেক রকম ফল ফুলে ভরা এক বন। বনেরর গাছগুলোর ফাঁকে ফাঁকে দিনে সূর্যের আলো আর রাাতে চাঁদের আলো টুকরো টুকরো ছড়িয়ে মায়া মায়া করে রাখে সেই বনের পরিবেশ। সেই বনের গা ঘেঁষে বয়ে গিয়েছে এক হাওড়। হাওড়ের জলে রঙ-বেরঙের মাছ ছাড়াও কাঁকড়া, গুগলি, শামুকেরা খেলা করে, খায়-দায় থাকে। অতিথি পাখিরা আসে-যায়। … বিস্তারিত পড়ুন

দুরীর তিন বাচ্চা–তিব্বতের লোককাহিনী

অনেকদিন আগে, কতদিন আগে তা বলব না। ছিল এক ছোট্ট ইঁদুরী। থাকত তার গর্তে, রাজবাড়ী থেকে তেমন দূরে নয়, খুব কাছেও নয়। বাচ্চা হওয়ার সময় ইঁদুরী দেবতার কাছে প্রার্থনা করল যেন তার একটি শক্তিমান সন্তান হয়। আর সত্যিই বাচ্চাটি হল নাদুস-নুদুস বাঘিনীর বাচ্চার মতো । তারপর দিনে দিনে সে বাড়তে লাগল। অন্যের যেখানে দশ দিন … বিস্তারিত পড়ুন

মেরী শিশু– জার্মানের রূপকথা

এক সময় প্রকাণ্ড একটা বনের কাছে থাকত এক কাঠুরে আর তার বউ । তাদের একমাত্র সন্তান-তিন বছরের একটি মেয়ে । ভারি গরিব তারা। রোজ রুটিও জুটত না। ভেবে পেত না মেয়েটিকে কী করে খাওয়াবে। কাঠুরে এক সকালে বনে গেছে তার কাজে । দুর্ভাবনায় নুয়ে পড়েছে তার শরীর। সে কাঠ কুপিয়ে চলেছে—এমন সময় ভারি সুন্দরী ছিপছিপে … বিস্তারিত পড়ুন

মাছরাঙা ও সমুদ্র

মাছরাঙা পাখী নির্জন জায়গায় থাকতেই বেশি ভালবাসে, তাই সে যেখানে লোকের আনাগোনা নেই–সমুদ্রের ধারে এমন কোন পাথুরে পাহাড়ের উপরই তার বাসা তৈরী করে, সেখানেই ডিম পাড়ে। এক মাছরাঙা তার ডিম পড়বার সময় হ’লে সমুদ্রের উপর ঝুঁকে পড়েছে এমন একটা পাহাড়ের উপরই তার বাসা তৈরি করলো ! বাসা তৈরি সে করলো, ডিম সে পড়লো, বাচ্চা হলো … বিস্তারিত পড়ুন

বুদ্ধিবল

এক কুকুরের বন্ধু জুটেছে এক মোরগ। দুই বন্ধু একত্রে দেশ ভ্রমণে বেরিয়েছে। যেতে যেতে রাত্ৰি হ’ল তখন মোরগটা উঠল গিয়ে এক গাছের ডালে ঘুমুতে, আর কুকুরটা ঐ গাছেরই গুড়ির এক খোড়লে শোবার ব্যবস্থা করলো । ভোর হবে হবে এমন সময় দিনকে অভ্যার্থনা জানাতে মোরগ তার প্রতিদিনের অভ্যাস মতো কোঁকোর-কোঁ করে ডেকে উঠল। সেই ডাক শুনে … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!