বিশ্বাসঘাতক নেকড়ে

একদা এক গ্রামে এক চাষী ছিল। তার নাম ছিল পাঁচু। পাঁচু ছিল বড়ই দয়ালু ছিল। কারো দুঃখ সে সহ্য করতে পারত না । কেউ বিপদে পড়লে, অমনি সে বাঁচাতে ছুটে যেত। একদিন হয়েছে কি পাঁচু যখন ক্ষেতে বড় বস্তা নিয়ে আলু তুলতে যাচ্ছিল তখন সে হটাৎ দেখতে পেল পাশের বন থেকে একটা নেকড়ে ছুটতে ছুটতে … বিস্তারিত পড়ুন

অতি লোভের পরিনাম

এক পাহাড়ের নিচে একটা জলাশয় ছিল, সবসময় জলে ভরে থাকতো সেটা। মাছে ভরে থাকত পুকুরটা। মাছগুলি সঙ্গে থাকতো কিছু কাঁকড়া। বক, চিল সব এদিক – ওদিক ঘুরে বেড়াত মাছ ধরতো , কাঁকড়া ধরতো আর খেতো। একদিন একটা বুড়ো বক এক পায়ে দাঁড়িয়ে কাঁদছিল – এমন সময় একটা দাঁর বেয়ে বেয়ে সে পথ দিয়ে যাচ্ছিল। বকের … বিস্তারিত পড়ুন

বোকামির ফল

একবার একটা জলাসয়ে একটা কাচ্ছপ বাস করতো। তার নাম ছিল হান্দু। সে যে জলাশয়ে বাস করতো সেখানে সারা বছর জল থাকতো, তার জলও ছিল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। সেখানে অনেক মাছ ছিল, শেওলা, গগুলি সব ছিল। এগুলোকে খাবার জন্য বিভিন্ন পাখি বাইরে থেকে আসতো। সেখানে যে সব পাখি, হাঁস এসেছিল তাদের মধ্যে দুটি হাঁসের সাথে হাঁদুর খুব … বিস্তারিত পড়ুন

কালো বিড়াল কাণ্ড — শিশির বিশ্বাস

ভোর সকালে বাড়ির কাজের মেয়ে মানদা আবর্জনার বালতি নিয়ে সবে নীচে সিঁড়ির দরজা খুলেছে‚ তারপরেই হাউমাউ চিৎকার‚ ‘হেই মা‚ কী অলক্ষুণে কাণ্ড গো!’ বসার ঘরে বাবা তখন সবে চায়ের কাপে চুমুক দিয়েছেন। মা কাজে ব্যস্ত। মানদার সেই চিল চিৎকারে সব ফেলে ছুটলেন। বাদ থাকেনি পাপুনও। তারপর ব্যাপার দেখে অবাক। সিঁড়ির মুখে কালো রঙের ছোট এক … বিস্তারিত পড়ুন

একটি গরুর আত্মকাহিনি

গরু বিষয়ে একটি বাংলা রচনা সাধারণত শুরু হয় এভাবে: গরু গৃহপালিত চতুষ্পদ প্রাণী। গরুর চারটি পা, দুটি শিং, দুটি কান, দুটি চোখ আর একটি লম্বা লেজ আছে। লেজের অগ্রভাগে এক গোছা চুল। লেজ দ্বারা গরু মশা-মাছি তাড়ায়। গরু খুব শান্ত ও নিরীহ প্রাণী। গাভি বছরে একটি বাছুর প্রসব করে আর বাছুরকে অত্যন্ত ভালোবাসে। গরু ঘাস, … বিস্তারিত পড়ুন

প্রাচীনকালের শিকার – সুকুমার রায়

মানুষকে যদি কেবল জন্তু হিসাবে শরীরের গঠন দেখিয়ে বিচার করা হয়, তবে তাহাকে নিতান্তই আনাড়ি জানোয়ার বলিতে হয়। সে না পারে ঘোড়ার মতো দৌড়াইতে, না জানে ক্যাঙারুর মতো লাফাইতে; দেহের শক্তি বল, অথবা নখ দাঁত প্রভৃতি যে কোন অস্ত্রের কথা বল, সব বিষয়েই সে অন্যান্য অনেক জানোয়ারের কাছে হার মানিতে বাধ্য। অথচ এই মানুষই এখন … বিস্তারিত পড়ুন

রাজা ও মুরগি— আহমেদ রিয়াজ

বনের পথ ধরে যাচ্ছিলেন বনের রাজা। অনেক লড়াইয়ের পর বনের রাজা হয়েছেন বাঘ। সিংহরা বেশ অনেকদিন রাজত্ব করেছে বনে। একটানা সিংহকে রাজা দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়েগিয়েছিল বনের পশুরা। রাজা জাত সিংহের দাপটে বনে টিকে থাকাই কষ্টকর হচ্ছিল বাঘদের। রাজা না হয়ে আর উপায় ছিল না। বনের সবচেয়ে চতুর প্রাণী শেয়ালদের সাহায্যে রাজা হয়েছেন বাঘদের মধ্যে … বিস্তারিত পড়ুন

শিয়াল ও মোরগ

একদিন এক শিয়াল একটা মোরগকে দেখে ধরবার জন্য ছুটল। মোরগও শিয়ালকে দেখে প্রাণের ভয়ে ছুটতে লাগল। কিছুদূর যেয়ে মোরগ একটা গাছের ডালে পড়ল। শিয়াল গাছের তলায় দাঁড়িয়ে মোরগকে লক্ষ্য করে বলল- ‘আচ্ছালামুআলাইকুম’ ভাই মোরগ কেমন আছ ? মোরগ বলল, ওয়া আলাইকুমুচ্ছালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহে ওয়া বারাকাতুহু।’ এইতো ভাই আল্লাহ্র রহমতে ছহি ছালামতেই আছি। শিয়াল বলল, মোরগ … বিস্তারিত পড়ুন

শেয়াল পন্ডিতের ছাগু শিক্ষার ইতিবৃত্ত

একদা এক বোকা কুমির শিক্ষা অর্জন করিতে আসিল শিয়াল পন্ডিতের পাঠশালায়। আপনেরা যারা ভাবিতেছেন গল্পে গন্ডগোল আছে, মানে শিয়াল পন্ডিতের কাছে কুমিরের ৭ বাচ্চার শিক্ষা অর্জন করার বদলে খোদ বোকা কুমির কেনো আসিলো তাদের আস্বস্ত করিতেছি যে উহা ভিন্ন গল্প। এই গল্পের বোকা কুমির নিজেই শিকার করিয়া নিজের উদর ঠান্ডা করিতে পারেনা, বাচ্চা পালিবে কিরূপে? … বিস্তারিত পড়ুন

চারটি ষাড় আর সিংহ

একদা এক বনে চারটি ষাড় বাস করত। তিনজনেরই পরস্পরের মধ্যে ছিল খুব ভাব। তারা সব সময় একসঙ্গে থাকত, একসঙ্গে মাঠে চরে বেড়াত, গল্প করত, সুখে-দুঃখে সমব্যথিও হতো। সেই বনে এক সিংহও বাস করত। সিংহটির ইচ্ছে হলো ওদের মেরে মাংস খায় কিন্তু সে সুযোগ পাচ্ছিল না। তাই তার ইচ্ছেও পূরণ হচ্ছিল না। কারণ ওই চারটি ষাঁড় … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!