কুকুল আর এলোমেলো—- গীতা বন্দ্যোপাধ্যা

জমি শুঁকে শুঁকে শেষে ওরা আমাদের বাড়িতেই এসে হানা দিল। আমি তো গোড়ায় অনুসন্ধানের ব্যাপারটা বুঝতে পারিনি। ফাঁদে পড়ে গিয়ে শেষে যা হয়-একেবারে বোকামুখ। রাসবিহারী অ্যাভেনিউতে ফ্যা ফ্যা করে ঘুরছি-ঠিক সেই সময়েই বা ঘুরতে গেলাম কেন কে জানে- দেখি, নেড়িগেড়ি গোটাকয়েক কুকুর-ছানাকে একজন ফেরিওয়ালা বিস্কুট খাওয়াচ্ছে। আমরা কাছে গিয়ে দাঁড়াতে বলল, “আহা, ওদের মা-টা খানিক … বিস্তারিত পড়ুন

ফ্ল্যাট রেস— জরাসন্ধ

সেদিন শুনলাম কুহু আর কেকাতে আড়ি হয়ে গেছে। হামেশাই হয়ে থাকে। যেখানে যত ভাব, সেখানে তত আড়ি। ওরা তো ছেলেমানুষ। বড়রাও কম যান না। এই তো কদিন আগে মিসেস কাঞ্জিলাল বলছিলেন ওঁদের ‘গৃহলক্ষী ক্লাব’-এর মেম্বার ছিলেন পঞ্চান্ন, কমে কমে পঁয়ত্রিশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণটা কী? না, এর সঙ্গে ওঁর মুখ দেখাদেখি বন্ধ, সি ব্লকের সঙ্গে ডি … বিস্তারিত পড়ুন

পিসীমার পোষা বাঘ—- শরত্কুমার মুখোপাধ্যায়

আমার স্কুলের বন্ধুরা বিশ্বাস করে না, কিন্তু তোমরা ভাই নিশ্চয় করবে। আমার পিসীমার বাড়িতে একটা পোষা বাঘ আছে। সত্যিকারের বাঘ-পটুদা স্বচক্ষে দেখেছে। বাঘটা বাড়িতেই থাকে। চেন-টেন দিয়ে বাঁধা নয়, একেবারে খোলা। ঘরের কাজকর্ম করে। পিসীমারই ঘরের মেঝেয় মাদুর পেতে শোয় রাত্তিরবেলা। পিসীমা বলেন, ঘুসুড়ির মহারাজা রায়বাহাদুর নিঃশেষ চোধুরী বাঘটা তাঁকে উপহার দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, বৌঠান আমরা … বিস্তারিত পড়ুন

রাত গভীর—– হরিনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়

দোষ আমারই। বন্ধুর বোনের বিয়ে। যাব আর খেয়ে চলে আসব, এই ঠিক ছিল। কিন্তু গিয়েই মুস্কিলে পড়লাম। বন্ধু অকান্তে ডেকে হাত দুটো ধরে বলল, উদ্ধার করে দে ভাই, ভীষণ বিপদে পড়েছি। কি আবার হ’ল? পাড়ার ছেলের দল পরিবেষণ করবে ঠিক ছিল, কিন্তু তাদের মধ্যে একদল বেপাড়ার জলসা শুনতে চলে গেছে। লোক কম। তোদের হাত লাগাতে … বিস্তারিত পড়ুন

সব ঘোড়াই কথা বলে —– বরেন গঙ্গোপাধ্যায়

গাবার জ্যেঠামশাই দুন্দুভি মুখুজ্যে হঠাত্‌ একদিন একটা ঘোড়া কিনে ফেললেন। গ্রামের শেষ প্রান্তে গো-হাটা, সেখানে বেদে বেদেনীরা মাঝে সাঝে ঘোড়া বিকোতে আসে, সেদিনও এসেছিল। দুন্দুভি মুখুজ্যে দেখলেন ক্রিম ক্র্যাকার বিস্কুটের মতো রঙ, চমত্‌কার একটা ঘোড়া। এগিয়ে এসে দরদস্তুর করলেন, দরেও বনে গেল। ব্যাস, আর যায় কোথায়! করকরে টাকা বার করে ঘোড়াটা কিনে ফেললেন। বেদে বলল, … বিস্তারিত পড়ুন

খরগোশের থিসিস লেখা

দৃশ্য ১: বনের মধ্যে চমৎকার রৌদ্রোজ্জ্বল এক দিন। খরগোশটি তার নিজের গর্ত থেকে বের হয়ে কম্পিউটার চালু করে, ওপেন অফিসের ওয়ার্ড ওপেন করে, টাইপ করতে লাগল। হাঁটতে বেরিয়ে খরগোশকে দেখে পা টিপে টিপে তার কাছে আসল এক শেয়াল। শেয়াল: [থাবা বের করে ধূর্ত হাসি দিয়ে] কী করছিস তুই? খরগোশ: থিসিস লিখছি আমার, আগামী পরশু জমা … বিস্তারিত পড়ুন

কালো বিড়াল কাণ্ড — শিশির বিশ্বাস

ভোর সকালে বাড়ির কাজের মেয়ে মানদা আবর্জনার বালতি নিয়ে সবে নীচে সিঁড়ির দরজা খুলেছে‚ তারপরেই হাউমাউ চিৎকার‚ ‘হেই মা‚ কী অলক্ষুণে কাণ্ড গো!’ বসার ঘরে বাবা তখন সবে চায়ের কাপে চুমুক দিয়েছেন। মা কাজে ব্যস্ত। মানদার সেই চিল চিৎকারে সব ফেলে ছুটলেন। বাদ থাকেনি পাপুনও। তারপর ব্যাপার দেখে অবাক। সিঁড়ির মুখে কালো রঙের ছোট এক … বিস্তারিত পড়ুন

কী ভাবে এল গাছপালা আর জল

এটি আফ্রিকার দক্ষিনাংশের সান (san) জাতির উপকথা। গল্পটি অপূর্ব। এই গল্পে আছে একেবারে প্রথমে সৃষ্টিকর্তা ক্যাগেন সব পশু পাখি তৈরি করে পৃথিবীতে ছেড়ে দিলেন, কিন্তু না বানালেন কোনও পুকুর, না কোনও নদী, না কোনও ঝর্না বা কোনও প্রস্রবণ। কোনও ঘাস জমি নেই, কোনও ফলের গাছ নেই, চারদিকে শুধু ধূ ধূ বালির মরু, তীব্র সূর্য আগুন … বিস্তারিত পড়ুন

মোমোতারো—–জাপানের প্রচলিত রূপকথা

অনেক-অনেক বছর আগের কথা। এক জঙ্গলের ধারে ছোট্ট বাড়িতে থাকত এক বুড়ো আর বুড়ি। বুড়ো সকাল বেলা জঙ্গলে কাঠ কাটতে যেত। বুড়ি ব্যস্ত থাকত ঘর সংসারের কাজ নিয়ে। মাঝে-মাঝে ময়লা জামাকাপড় কাচতে বুড়ি যেত নদীর ধারে। বুড়ি প্রতিদিন বুড়োকে বলতো, “শোনো সন্ধে নামার আগেই জঙ্গল থেকে ফিরে এসো কিন্তু।” বুড়োও মিষ্টি হেসে বুড়িকে বলতো, “তুমিও … বিস্তারিত পড়ুন

দুই বন্ধুর দেশ ভ্রমণ

দুই বন্ধু মিলে দেশ ভ্রমণে বের হলো। এদের একজন ছিল অন্ধ। হাঁটতে হাঁটতে ওরা এমন এক জায়গায় আসলো যেখানে রাতে খুব ঠান্ডা আর দিনে প্রচণ্ড গরম। দুই বন্ধু এক গাছের নীচে ঘুমিয়ে পড়লো। সকালে যে বন্ধু চোখে দেখতে পায়, সে খাবারের খোঁজে বের হলো। অন্ধ বন্ধুটি আশপাশে যা আছে তা ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখতে লাগলো। একটি … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!