নূরজান আর তার ছেলেরা — কাজাখ লোককাহিনী

কোনো এক সময়ে একজন ভাল লোক ছিল, নাম তার নূরজান। দীর্ঘদিন বেঁচে ছিল সে, আর বার্ধক্যও আসে নি তার দেহে । যখন তার নিরানব্বই বছর পূর্ণ হল, সে নিজের তিন ছেলেকে কাছে ডেকে বলল : আমার প্রিয় ছেলেরা, সাবিত, গাবিত, হামিত! সব পরিশ্রম, দায়িত্ব, দুঃখকষ্ট নিয়ে আমার দিন শেষ হয়েছে। রাত নামছে, চোখের সামনে অন্ধকারের … বিস্তারিত পড়ুন

কাঠুরের মেয়ে — কাজাখ লোককাহিনী

এক সময় এক বুড়ো কাঠুরে তার ন’বছরের মেয়েকে নিয়ে থাকত এক ভাঙা কুঁড়েঘরে । থাকার মধ্যে ছিল কেবল তার একটা ভাঙা কুড়ল, একটা খোড়া ঘোড়া আর বুড়ো একটা গাধা। কিন্তু কথায় বলে ‘ধনীর সুখ তার ঘোড়া-গরুর পালের দিকে তাকিয়ে আর দরিদ্রের সুখ তার সস্তানদের দিকে তাকিয়ে।’ সত্যিই, নিজের ছোট্ট মেয়ের দিকে তাকিয়ে কাঠুরে সব দুঃখকষ্ট … বিস্তারিত পড়ুন

মহেশ থেকে বীরবল

বাদশা আকবরের শিকারের ভীষণ নেশা ছিল। রাজকার্জের অবসরে তিনি অনেককে নিয়ে শিকার করতে বের হতেন। এমনি একদিন শিকার করতে বেরিয়ে গভীর বনের মধ্যে ঢুকে পড়লেন, কিন্তু একটিও শিকার পেলেন না। শিকার খুঁজতে গিয়ে বাদশার সঙ্গীরা সকলেই একসময় ক্লান্ত হয়ে পড়ল। তৃষ্ণায় বুকের ছাতি ফেটে যাওয়ার উপক্রম। বাদশারও খুব তেষ্টা পেয়েছিল। তিনি বললেন, এই গভীর বনের … বিস্তারিত পড়ুন

নীলা হরিণের দেশে—কৃষণ চন্দর

কথিত আছে ,হিমালয়ের পাদদেশের গভীর অরন্য জংগলে বাঘ ভালুক আর দৈত্য দানাদের রাজত্ব ।এই জংগলে এক বিশেষ ধরনের হরিণ দেখতে পাওয়া যায় বলে একটা জনশ্রুতি আছে ।এই হরিণগুলোর গায়ের রং নাকি চকচকে নীল ।এমন কি এক ডজন শাখা বিশিষ্ট এই হরিণ গুলোর শিং ও নাকি গাঢ় নীল ।কিন্তু অদ্যবধি হিমালয় বা তরাই অঞ্চলের কোন শিকারীই … বিস্তারিত পড়ুন

দুই কুঁজো–মেক্সিকোর রূপকথা

অনেকদিন  আগে দুই কুঁজো ছিল। একজন খুব দয়ালু ছিল, কিন্তু অন্যজন ছিল খারাপ আর হিংসুটে। দুই কুঁজো গ্রামের ভেতরে কাজ করতে পারত না, কারণ সবাই তাদের নিয়ে মজা করত; সেইজন্য তারা পাহাড়ে কাঠ কাটতে যেত। যার মানে হল, দয়ালু কুঁজো সমস্ত কাঠ কাটত, কারণ হিংসুটে কুঁজো খুব অলস ছিল, আর সবসময় নিজের সঙ্গীকে বলতঃ “ওহ! … বিস্তারিত পড়ুন

ওড়াওড়ির গল্প

কল্যাণী রমা: ক্লাশ টেন পাশ দেওয়ার সময় ভূগোল নিয়েছিলাম। মনে হয়েছিলো অন্য বন্ধুদের মত ধর্ম যদি নেই একটা ভাল কথাই শুধু শিখতে পারব, ‘অসতো মা সদ্গময় তমসো মা জ্যোতির্গময় মৃত্যোর্মা অমৃতং গময় আবিরাবির্ম এধি।।’ আমাকে অন্ধকার হইতে আলোতে লইয়া যাও। আমাকে মৃত্যু হইতে অমৃতে লইয়া যাও। শুধুমাত্র পন্ডিত স্যারের অসাধারণ সংস্কৃত উচ্চারণে মোহগ্রস্ত হয়ে নিজের … বিস্তারিত পড়ুন

মূর্খের আবেদন

দেহখানি কিঞ্চিৎ শীতল হইয়া আসিয়াছে। চক্ষুদ্বয় অর্ধনিমীলিত। শীর্ণ, রুগ্ন শরীর। আকস্মিকভাবে দেখিলে ভ্রম হয় প্রাণ রহিয়াছে কি না। মনে মনে সাহস সঞ্চয় করিয়া নাসিকারন্ধ্রের নিকট হাত লইয়া গিয়া টের পাইলাম নিঃশ্বাস পড়িতেছে। নাড়ী স্পর্শ করিলাম। গতি ক্ষীণ। ব্যথিত হইলাম। মাত্র কয়েকদিন পূর্বেই দেখিয়াছি কি অসম্ভব প্রাণশক্তি লইয়া ইহা সকলের সহিত মিশিতেছে, সৎ সাহিত্যের প্রতি, সৎ … বিস্তারিত পড়ুন

কবুতর ও একটি দরিদ্র পরিবার

আজ থেকে প্রায় হাজার বছর আগের ঘটনা । রাজা সুলতান খাঁ-র রাজ্যের অধীনে জঙ্গলনগরের জমিছেড়া নামক জঙ্গলে পরিপূর্ণ এক গ্রাম। এই গ্রামে বাস করে দরিদ্র দিনমজুর জহির । ভয়ংকর জন্তু-জানোয়ারে পূর্ণ কোন জঙ্গল নয় জমিছেড়া গ্রাম। নানা জাতের পাখির বাস এখানে। জহিরের বাড়ির অর্ধ-মাইলের মধ্যে কোন লোকবসতির চিহ্ন নেই। বউ আর দুই ছেলে-মেয়ে নিয়ে অভাবের … বিস্তারিত পড়ুন

রাক্ষসের দেশে রাজপুত্র

১ সাত সমুদ্র তের নদীর পারে যে একটা দ্বীপ আছে; কেউ জানে না সেখানে তিনটি রাক্ষস থাকে। তারা বড় ভয়ঙ্কর। কেবল বলে, “হাঁউ! মাঁউ! খাঁউ! মানুষের মাংস চাঁউ!” এদিকে এক রাজ্যে রাজা বুড়ো হয়েছেন। তিনি তাঁর ছেলের হাতে রাজ্য দেবেন। রাজপুত্র যেন মানুষ নয় এক সোনার টুকরো। রুপে, গুণে, বিদ্যায়, বুদ্ধিতে তার সমকক্ষ কেউ নেই। … বিস্তারিত পড়ুন

নেকড়ের উপদেশ

নেকড়েরা একদিন কুকুরদের কাছে পেয়ে বলর, ভাইয়েরা, তোমাদের একটা কথা বলি: তোমাদের আর আমাদের চেহারা অবিকল এক,তাহলে এস না আমরা সব একসঙ্গে মিলেমিশে ভাইয়ের মত থাকি। তোমাদের আর আমাদের মাঝে ফারাক ত নেই।,– যে ফারাকটুকু আছে সে কেবল জীবযাত্রার। আমরা স্বাধীন জীবন যাপন করি আর তোমরা ক্রীতদাসের মতো মানুষের সঙ্গে সঙ্গে ঘোরো, তাদের পায়ে পড়ে … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!