বাদশা জামশিদ ও তার ছেলের গল্প

অনেক অনেক দিন আগের কথা। কোনো এক বাদশার কথা বলছি। ওই বাদশার এক পুত্র সন্তান ছিল। রাজপুত্র। রাজপুত্রের নাম ছিল জামশিদ। জামশিদের বয়স যখন দশে পড়লো তখন তার মা মারা যান। মাতৃস্নেহহীন জীবন তার জন্য ছিল বেশ কষ্টকর হয়ে উঠলো। মনটা তার একেবারেই ভেঙে পড়েছিল। কোনো কিছুই ভালো লাগছিলো না তার। আনমনা হয়ে থাকতো জামশিদ। … বিস্তারিত পড়ুন

দুই শেয়াল আর গরুর গল্প (লোভ লালসা এবং মিথ্যার পরিণতি)

এক ব্যবসায়ী দুটি গরু নিয়ে ব্যবসার উদ্দেশ্যে রওনা হলো। পথিমধ্যে গরু দুটি একটা কাদার গর্তে পড়ে গেল এবং দুটি গরুর একটি মরে গেল আর বাকি গরুটা ভীষণভাবে আহত হলো। ব্যবসায়ীও তাকে ফেলে রেখে চলে গেল। আহত গরুটা অনেক চেষ্টা করে ওই কাদার গর্ত থেকে উঠে এলো। কাছেই ছিল তৃণবহুল  চমৎকার একটা লন। গরুটা সেখানে গিয়ে … বিস্তারিত পড়ুন

হরিণ শিকারী,নেকড়ে এবং বুনো শূকর

এক শিকারী একদিন ঘন বন-জঙ্গলের ভেতর দিয়ে শিকারে যাচ্ছিল। তার হাতে ছিল শিকারের সকল সরঞ্জাম মানে তীর ধনুক ইত্যাদি। ভীষণ ক্লান্ত ছিল সে। ঘাম দরদর করে পড়ছিল তার কপোল বেয়ে। খানিক দাঁড়ালো। কাঁধ থেকে তীর ধনুক খুলে রাখলো মাটিতে। পুরো চেহারার ঘামটুকু একবার মুছে নিয়ে পরিচ্ছন্ন হলো। এরপর এদিক ওদিক তাকাল। শিকারের কোনো খবরই নেই। … বিস্তারিত পড়ুন

কাক ও পেঁচার দ্বন্দ্ব

পাহাড়ের মাঝে মোটাসোটা একটি গাছের ডালে কাকেরা বাসা বেঁধেছিল। দূর থেকে ওই গাছটির দিকে তাকালে গাছের পাতাগুলোকে কালো মনে হতো। কারণটা হলো এতো বেশি কাক ওই গাছে গিয়ে বসতো যে দূর থেকে শুধু কাকই দেখা যেত, গাছের পাতা আর নজরে পড়ত না। গাছের সামান্য নীচে কালো অন্ধকারময় একটা কোটর ছিল। সেখানে বাস করত এক ঝাঁক … বিস্তারিত পড়ুন

‘কচ্ছপ ও বানর’

বানর রাজার নাম হলো ‘কারদানা’। এই বানররাজ ছিল খুবই ন্যায়নীতিবান তবে বয়সের ভারে ন্যুব্জ, যাকে বলে একেবারে থুরথুরে বুড়ো। জীবন গাছের সবুজ পাতাগুলো তার ঝরে পড়তে পড়তে শরতের রূপ ধারণ করেছে। শরত মানেই পাতা ঝরার কাল। যৌবন পেরিয়ে বার্ধক্যের কাল। কারদানা রাজার অবস্থা এখন তেমনি থুরথুরে শারদী। না আছে তার যৌবন আর না আছে সেই … বিস্তারিত পড়ুন

মাছখোর মুরগির গল্প

একটা পুকুরের পাড়ে বসে ছিল একটা সারস পাখি। সারস অনেকটা বকের মতোই তবে ঠোঁটটা আরেকটু চওড়া এবং লম্বা। উভয় পাখিই মাছ শিকার করে জীবন ধারণ করে। সারস পাখিটি তীরে বসেই ক্লান্ত অবসন্ন দৃষ্টি দিয়েছিল পুকুরের পানির ভেতর ঘুরে বেড়ানো মাছগুলোর দিকে। ছোট বড় কত রকমের কতশত মাছ মনের আনন্দে, নিশ্চিন্তে সাঁতার কেটে বেড়াচ্ছে। আহা কত … বিস্তারিত পড়ুন

শাঙ্গুল ও মাঙ্গুল

ছাগল তো সবাই চেনেন। তবে যে ছাগলের গল্প আমরা এখন শুনবো তার নামটি একটু ভিন্নরকমের। সবার কাছেই সে পরিচিত ছিল ‘বোযে যাঙ্গুলে প’ হিসেবে। ফার্সি ভাষায় বোয মানে ছাগল, যাঙুলে মানে ঘণ্টি আর প মানে পা। তার মানে হলো যে ছাগলের পায়ে ঘন্টি বাঁধা। নাম থেকেই বুঝতে পারা যায় ছাগলের বাহ্যিক অবস্থা। এই ছাগলটির তিনটি … বিস্তারিত পড়ুন

কাকের প্রতিশোধ

তরুলতায় ভরা ঘন এক জঙ্গল। বহুদূর থেকেও দেখা যায় জঙ্গলের বিশাল বিশাল গাছের সবুজ ছাতার উপরে পাখিদের ওড়াউড়ি। মনে পড়ে যাবে বাংলাদেশের গর্ব সুন্দরবনের কথা। যাই হোক ওই বনের বিরাট একটি গাছের মগডালে ছিল একটি কাকের বাসা। কাকটির মনে খুব কষ্ট ছিল। এমন কষ্ট যে তার পুরো জীবনটাই যেন বেদনার কালো রঙে ছেয়ে গিয়েছিল। নিজের … বিস্তারিত পড়ুন

ব্যবসায়ী ও তার তিন ছেলের গল্প (চতুর্থ পর্ব)

জুযারের হাতেই কেবল খুলবে শামারদাল ভাণ্ডারের মুখ। তাকে ছাড়া কারো পক্ষেই ওই ভাণ্ডার খোলা সম্ভব নয়। সে কারণেই আব্দুস সামাদ জুযারকে তার পরিবারের খরচ বাবদ এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা দিয়ে তাকে নিয়ে রওনা হলো শামারদাল শহরের দিকে। যেতে যেতে ক্লান্ত হয়ে পড়লো জুযার। আব্দুস সামাদকে বললো: কী ভুল করলাম! সাথে যদি কিছু খাবার নিয়ে আসতাম! আব্দুস … বিস্তারিত পড়ুন

ব্যবসায়ী ও তার তিন ছেলের গল্প (তৃতীয় পর্ব)

সেলিম সালেম এবং জুযার-এই তিন ভাইয়ের গল্প শুনছিলাম আমরা। ব্যবসায়ী বাবা ছোটো ছেলে জুযারকে বেশি আদর করতো বলে বড় দু’ভাই তাকে হিংসার চোখে দেখে এবং বাবার মৃত্যুর পর তার বিরুদ্ধে মামলা করে সর্বস্ব হারায়। অবশেষে মায়ের সম্পদও জোর করে কেড়ে নেয়। তারপরও তারা নিঃস্ব হয়ে ভিক্ষা করতে করতে একদিন ছোটোভাই জুযারের বাসায় যায়। সেখানে মাকে … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!