সিংহ ও খরগোশ

প্রাচীন গল্পে জন্তু-জানোয়ার, পশুপাখিগুলো কথা বলে। এসব কথা আসলে পশুপাখি বলে না, তাদের মুখ দিয়ে লেখকরাই বলে। সেজন্যে পশুপাখি যেসব ঘটনা ঘটায় সেগুলোর মাধ্যমে লেখকরা মূলত পাঠক কিংবা শ্রোতাকেই ইঙ্গিত দিয়ে থাকেন। অনেক ক্ষেত্রে রাজা বাদশা বা সমকালীন শাসকের কানেও ইঙ্গিতে সমাজের দুর্বল দিকগুলো তুলে ধরতে কিংবা পরিবেশ পরিস্থিতির ধারণা পৌঁছাতে এ ব্যবস্থা নেয়া হতো … বিস্তারিত পড়ুন

শকুন ও শেয়াল

এক শকুন আর এক শেয়ালের মাঝে বন্ধুত্ব হয়েছিল। একদিন শেয়াল বন্ধু শকুনকে বলল: ‘দোস্ত! তুমি তো সবসময় আকাশেই উড়ে বেড়াও। শুভ্র মেঘ ছাড়া তো আর তেমন কিছুই দেখার সুযোগ তোমার হয় না। এক কাজ করো! তুমি একদিন আমার পিঠে চড়ে বস, তোমাকে আমি পুরো বন জঙ্গল দেখাবো। এখন তো বসন্তকাল। বনের গাছ গাছালি সবুজে শ্যামলে … বিস্তারিত পড়ুন

ধার্মিক স্বর্ণকারের গল্প

এক শহরে বাস করতো এক স্বর্ণকার। লোকটা ছিল বেশ ধার্মিক ও সৎ। প্রতিদিন সূর্য ওঠার আগেই সে তার কাজে চলে যেত। তার দোকান ছিল শাসকের প্রাসাদের সামনে। দোকান খোলার আগে প্রতিদিন ওই স্বর্ণকার আকাশের দিকে দু’হাত তুলে মোনাজাত করে বলতো: ‘হে মহাজ্ঞানী, রিযিকদাতা! হে ক্ষমাকারী! তুমি তো অসীম ক্ষমতার অধিকারী! সকল কিছুর ওপরে তুমি সর্বশক্তিমান। … বিস্তারিত পড়ুন

উট ও ইঁদুর

  একদিন একটা ইঁদুর বিস্তীর্ণ মরু এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল। ইঁদুরটি ছিল বেশ তরতাজা, নাদুস নুদুস এবং তরুণ বয়সের। তারুণ্য সবসময়ই নিজের ভেতর শক্তি সামর্থ আর অপরাজেয় একটা মানসিকতার জন্ম দেয়। যেন ওই মানসিকতা দিয়ে সমগ্র পৃথিবী জয় করে ফেলতে পারবে। এই মানসিকতা যৌবনে জন্ম দেয় অহংকারের। ছোটো বড়ো কোনো কিছুই যেন তারুণ্যের কাছে সমস্যা নয়। … বিস্তারিত পড়ুন

বাদশা জামশিদ ও তার ছেলের গল্প (চতুর্থ অংশ)

জামশিদের সৎ মায়ের ষড়যন্ত্রে সামুদ্রিক ঘোড়াকে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র থেকে কৌশলে পালিয়ে গিয়ে অন্য এক শহরে উঠেছিল জামশিদ আর তার ঘোড়া। সেখানকার বাদশার মেয়েদের সাথে তার পরিচয় হয় মালির মাধ্যমে। বাদশার ছোটো মেয়ে বুঝতে পেরেছিল জামশিদ আসলে মালির শাগরেদ নয় তার পরিচয় ভিন্ন। সে তার প্রেমে পড়ে যায়। বাদশার ছোটো মেয়ে তার কামরায় বিশ্রাম নিচ্ছিলো। … বিস্তারিত পড়ুন

মার্ভের খান দেখে না…চেনর

প্রাচীন ইরানে মার্ভ নামে একটি শহর ছিল। এখন অবশ্য এই শহরটি তুর্কেমেনিস্তানের অন্তর্ভুক্ত। তো ইরানের অন্তর্ভুক্ত ছিল যখন সে সময় মার্ভে দুই বন্ধু বাস করতো। তাদের মাঝে সম্পর্ক ছিল খুবই নিবিড়। তাদের শৈশবও কেটেছে একসাথে। ছোটো বেলা থেকেই একসাথে খেলাধুলা করেছে, ঘুরে বেড়িয়েছে, এক কথায় একসাথেই বেড়ে উঠেছে। শৈশবের বন্ধুত্বের একটা বৈশিষ্ট্য হলো দুজনের মাঝে … বিস্তারিত পড়ুন

বাদশা জামশিদ ও তার ছেলের গল্প (তৃতীয় অংশ)

গরিব সাজতে হবে জামশিদকে, তাই ঘোড়া তার সাথে থাকলে মানুষ সন্দেহ করবে। এ কারণে শাহজাদা ঘোড়ার ঘাড়ের কটি চুল সাথে নিয়ে রেখে দিলো। আশেপাশে তাকিয়ে দেখলো একটা যুবক ছেলে। রাখাল বালক। তাকে কিছু টাকা দিয়ে জামশিদ তার গায়ের রাখালি জুব্বাটা কিনে নিলো। তাকে আরো বললো একটা দুম্বার বাচ্চা জবাই করতে। রাখাল বালক তাই করলো। জামশিদ … বিস্তারিত পড়ুন

লেজের খোঁজে গেল দু’কান

  কোনো এক গ্রামে বিচিত্র প্রাণীর মাঝে গাধারাও ছিল। এদের মধ্যে একটা গাধা ছিল ভীষণ দুষ্ট। কোথাও সে স্থির থাকতে পারতো না, ঘুরে বেড়াতেই তার ভালো লাগতো। প্রতিবেশিদের বাগ বাগিচায় ক্ষেত খামারে মুখ দিতো। ফসল নষ্ট করতো দেদারসে। দিনের পর দিন এভাবে ফসল নষ্ট করার ফলে গ্রামের বাসিন্দারা একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে গেল। অবশেষে একদিন তারা … বিস্তারিত পড়ুন

বাদশা জামশিদ ও তার ছেলের গল্প (দ্বিতীয় অংশ)

আমরা বলেছিলাম যে বাদশা তার ছেলে মালেক জামশিদের জন্য সামুদ্রিক ঘোড়া সংগ্রহ করে দিয়েছিল মা হারানোর বেদনায় ছেলের নির্বাক নিঃসঙ্গতা কাটানোর জন্য। সামুদ্রিক ঘোড়া পেয়ে ছেলে ভীষণ খুশি হয়ে গেল এবং সারা দিনরাত তার ওই ঘোড়াকে নিয়েই কাটতে লাগলো। কিন্তু জামশিদকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চললো ভেতরে ভেতরে। যতবারই তাকে মারতে চাইলো ততবারই সামুদ্রিক … বিস্তারিত পড়ুন

বাদশা জামশিদ ও তার ছেলের গল্প

অনেক অনেক দিন আগের কথা। কোনো এক বাদশার কথা বলছি। ওই বাদশার এক পুত্র সন্তান ছিল। রাজপুত্র। রাজপুত্রের নাম ছিল জামশিদ। জামশিদের বয়স যখন দশে পড়লো তখন তার মা মারা যান। মাতৃস্নেহহীন জীবন তার জন্য ছিল বেশ কষ্টকর হয়ে উঠলো। মনটা তার একেবারেই ভেঙে পড়েছিল। কোনো কিছুই ভালো লাগছিলো না তার। আনমনা হয়ে থাকতো জামশিদ। … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!