কীসে আনন্দ? যেখানে অন্তর খুশি

এক বৃদ্ধা মার এক ছেলে ছিল। একেবারে দীনহীন অবস্থা ছিল তাদের। একদিন ছেলেটা মাকে বলল: এখানে তো কাজটাজ নেই। আমি বরং অন্য কোনো শহরে চলে যাই। হয়তো কাজ মিলতেও পারে। কাজকর্ম করে পয়সাপাতি কিছু হাতে এলে ফিরে আসবো। মা নিরূপায় হয়ে ছেলেকে আল্লাহর হাওলায় যেতে দিলো। সঙ্গে দিলো তাঁর সঞ্চিত সর্বশেষ মুদ্রাটি আর কিছু পানি … বিস্তারিত পড়ুন

শ্বাশ্বত গল্প-১

“শ্বাশ্বত গল্পকথা” নামকরণের কারণ হলো আমরা এমন কিছু গল্প আপনাদের উপহার দেবো, যেগুলো কালের দীর্ঘ পরিক্রমায় আজো অম্লান রয়ে গেছে এবং থাকবে বলে আমাদের বিশ্বাস। এসব গল্প কালজয়ী কবি সাহিত্যিকদের কথা কিংবা কবিতা অবলম্বনে গৃহীত হয়েছে। জীবন ঘনিষ্ঠ এসব গল্প মানব জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে বারবার ঘুরে ফিরে আসে এবং শিক্ষা দিয়ে যায় গতিপথ নির্ধারণের। যে … বিস্তারিত পড়ুন

ইঁদুর বেড়ালের সমঝোতা, দোকানদারের বারোটা

এক মুদি দোকানে বাসা বেঁধেছিল দুষ্টু কিছু ইঁদুর। রাতের বেলা দোকানদার বাসায় চলে গেলে ইঁদুরদের নাচানাচি লাফালাফির উৎসব শুরু হয়ে যেত। একটা যেত তেলের বোতলে হামলা চালাতে আরেকটা লাফাতো চালের বস্তার ওপর আর অন্যরা এভাবে চিনির বস্তা আটার বস্তাসহ বিভিন্ন প্যাকেট আর বস্তা কাটার উৎসবে মেতে উঠতো। যা-ই সংগ্রহ করতো সেগুলো নিয়ে জমাতো গর্তের ভেতর … বিস্তারিত পড়ুন

অস্বাভাবিক তথ্য-ভূত

পদ্মার পাড়ে স্থায়ী জেলেদের মুখে শোনা যায় অনেক গা ছমছমে অভিজ্ঞতার কথা। বিশেষ করে গভীর রাতে যারা মাছ মারতে যায় তাদের কথা শুনে পিলে চমকে যায়। কয়েকজনের সাথে মুখোমুখি সাক্ষাতে কথা বলে জানতে পারি যে, ভোর হবার খানিক আগে নাকি নদী মোহনায় প্রচুর মাছ পাওয়া যায়। এই লোভে স্থানীয় অনেক জেলেই ঐ সময়টা বেছে নেয় … বিস্তারিত পড়ুন

জাদুর যাঁতা

পুরনো দিনের কথা। এক লোক একটা ছাগল পালত। একদিন লোকটা তার ছোটো ছেলেকে বলল: ‘ছাগলটাকে নিয়ে যা চারণভূমিতে। ভালো করে চরাবি, বেশি বেশি ঘাস খাওয়াবি’। ছেলেটা ঠিকই ছাগলটাকে নিয়ে গেল মরুপ্রান্তরের দিকে। সেই সন্ধ্যা পর্যন্ত চরালো ছাগলটাকে। রাত হয়ে এলে ছেলেটা ছাগলটাকে নিয়ে ফিরে এলো বাড়িতে। রাতের বেলা বাবা ছাগলটাকে জিজ্ঞেস করল: ‘কীরে ছাগল! আজ … বিস্তারিত পড়ুন

শেয়াল ও যাঁতাচালক

অনেক অনেক দিন আগের কথা। এক লোকের একটা যাঁতাকল ছিল। সবাই তাদের গম নিয়ে এসে যাঁতাকল চালককে দিত আর যাঁতাকলের মালিক গমগুলো যাঁতায় পিষে আটা তৈরি করে দিত। তার পারিশ্রমিক ঐ আটা থেকেই নিত সে। যাঁতাকলচালক ঘরের এক কোণে তার পারিশ্রমিকের আটাগুলো জমাতো। কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার হলো সকাল বেলা যখনি সে যাঁতাকলের কাছে আসতো দেখতো … বিস্তারিত পড়ুন

ন্যাড়া ও রাজকন্যা

এক রাজার এক কন্যা ছিল খুবই সুন্দরী। এই সুন্দরী রাজকন্যার বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যে-ই আসতো তাকেই মহাবিপদে পড়তে হতো। একদিন এক ন্যাড়া-মানে মাথায় চুলবিহীন লোক-ভাবলো রাজকন্যাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিলে কেমন হয়। যেমন ভাবা তেমন কাজ। ন্যাড়া তার পুটলিতে পাঁচটি রুটি পুরে রওনা দিলো রাজকন্যাকে বিয়ে করতে। পথে পড়লো একটা বন। বনের ভেতর বসে ছিল … বিস্তারিত পড়ুন

মাহির ও পানির দৈত্য

অনেক অনেকদিন আগে, সেই প্রাচীনকালের এক দম্পতির ঘটনা। তারা স্বামী স্ত্রী ভালোভাবেই দিন কাটাচ্ছিল। কিন্তু তাদের দুটো জিনিসের অভাব ছিল। একটা হলো ধন-সম্পদ অপরটি হলো সন্তান। বিয়ের বহু বছর পরও তাদের সন্তান হচ্ছিল না। অনেক ডাক্তার কবিরাজ, অনেক ওষুধ পথ্য খাবার পর আল্লাহ শেষ পর্যন্ত তাদেরকে একটি পুত্র সন্তান দিলেন। তারা সন্তানের নাম রাখলো ‘মাহির’। মাহির … বিস্তারিত পড়ুন

ফেরিওয়ালা বাহরাম-শেষ অংশ

পাঠক! আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে গেল আসরে আমরা ফেরিওয়ালার ছেলে বাহরামকে দেওয়া সাপের রাজার আংটির গল্প শুনিয়েছিলাম। যাদুকরি ঐ আংটি দিয়ে বাহরাম কী করেছিল সেই গল্প শোনাবার সময় ছিল না। এ পর্বে গল্পের বাকী অংশ উপস্থাপন করা হলো: বলেছিলাম, সাপের রাজা হযরত সোলায়মানের আংটিটা বাহরামকে উপহার দিয়েছিলো। বাহরাম আংটিটা নিয়ে রাজাকে ধন্যবাদ জানালো। আর শাহজাদা … বিস্তারিত পড়ুন

তিন মাছের গল্প

একটা পুকুরে বড়ো বড়ো তিনটি মাছ বাস করত। মাছগুলো দেখতে যেমন সুন্দর ছিল তেমনি ছিল ব্যতিক্রমধর্মী এবং আকর্ষণীয়। যে কারো নজরে পড়লেই তাদের ব্যাপারে কৌতূহল সৃষ্টি না হয়ে পারত না। একদিন এক মাছ শিকারী ওই পুকুরের পাড় দিয়ে যাচ্ছিল। মাছ শিকারীকে জেলেও বলা হয়। জেলে বলে কথা। তার নজরে তো না পড়ে পারেই না। জেলে … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!