বোকা জোলা আর শিয়ালের কথা —-জসীম উদ্দিন

‘কি হয়েছে?’ জোলা বললে, ‘আমার কাস্তের জ্বর হয়েছে।’ তা শুনে চাষা হাসতে-হাসতে বললে, ‘ওকে জলে ডুবিয়ে রাখ, জ্বর সেরে যাবে।’ জলে ডুবিয়ে কাস্তে ঠাণ্ডা হল, জোলাও খুব সুখী হল। তারপর একদিন জোলার মায়ের জ্বর হয়েছে। সকলে বললে, ‘বদ্যি ডাক।’ জোলা বললে, ‘আমি ওষুধ জানি।’ বলে, সে তার মাকে পুকুরে নিয়ে জলের ভিতরে চেপে ধরল। সে … বিস্তারিত পড়ুন

ভাঙা তারা – সুকুমার রায়

মাতারিকি আকাশের পরী। আকাশের পরী যারা, তাদের একটি করে তারা থাকে। মাতারিকি তার তারাটিকে রোজ সকালে শিশির দিয়ে ধুয়ে মেজে এমনি চকচক ক’রে সাজিয়ে রাখত যে, রাত্রিবেলা সবার আগে তার উপরেই লোকের চোখ পড়ত— আর সবাই বলত— “কী সুন্দর!” তাই শুনে শুনে আর সব আকাশ-পরীদের ভারি হিংসা হ’ত। তানে হচ্ছেন গাছের দেবতা। তিনি গাছে গাছে … বিস্তারিত পড়ুন

বোকা সাথী

এক নাপিত । তার সঙ্গে এক জোলার খুব ভাব । নাপিত লোককে কামাইয়া বেশী পয়সা উপার্জন করিতে পারে না । জোলাও কাপড় বুনিয়া বেশী লাভ করিতে পারে না । দুই জনেরই খুব টানাটানি । আর টানাটানি বলিয়া কাহারও বউ কাহাকে দেখিতে পারে না । এটা কিনিয়া আন নাই, ওটা কিনিয়া আন নাই বলিয়া বউরা দিনরাতই … বিস্তারিত পড়ুন

নিম্ন বিত্ত গোপাল ভাঁড় বনাম প্রদীপ দৈত্য

এতো রাতে হাতের কাছে ওরকম একটা প্রদীপ দেখে টাসকি খেয়ে গেলো গোপাল ভাড়। এমন নির্জন জায়গায় পড়ে থাকা ময়লা প্রদীপটিকে হাতে তুলে নিয়ে হালকা ঘষা দিল। যা ভেবেছিল ঠিক তাই, এটি একটি জাদুর প্রদীপ! মুহূর্তের মধ্যেই আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে তুলে এক বিশালাকার দৈত্য গোপাল ভাঁড়ের সামনে আবির্ভূত হলো। যথারীতি দৈত্যকায় হাসি হেঁসে বলল, হুকুম করুন মালিক। … বিস্তারিত পড়ুন

এক জোলার রাজার জামাই হওয়ার কাহিনী-উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

এক জোলা ছিল সে পিঠে খেতে বড় ভালবাসত। একদিন সে তার মাকে বলল, ‘মা, আমার বড্ড পিঠে খেতে ইচ্ছে করছে,আমাকে পিঠে করে দাও।’ সেইদিন তার মা তাকে লাল-লাল, গোল-গোল, চ্যাপটা-চ্যাপটা সাতখানি চমৎকার পিঠে করে দিল। জোলা সেই পিঠে পেয়ে ভারি খুশি হয়ে নাচতে লাগল আর বলতে লাগল, ‘একটা খাব, দুটো খাব, সাত বেটাকেই চিবিয়ে খাব!’ … বিস্তারিত পড়ুন

ঘুঘু দেখেছ,ফাঁদ দেখনি

বাপ মরিয়া গিয়াছে। ঘুঘু আর ফাঁদ দুই ভাই। কি একটা কাজে দুই ভাইয়ের লাগিল মারামারি। ফাঁদ রাগিয়া বলিল,“তুই ঘুঘু দেখিয়াছিস কিন্তু ফাঁদ দেখিস নাই।” ঘুঘু গোসা করিয়া বাড়ি হইতে পালিয়া গেল।বিদেশে যাইয়া সে এ বাড়ি সে বাড়ি,কত বাড়ি ঘুরিল।আমি ধান নিড়াইতে পারি- পাট কাটিতে পারি-গরুর হেফাজত করিতে পারি কিন্তু কার চাকর কে রাখে! দেশে বড় … বিস্তারিত পড়ুন

হাতির ভিতরে শিয়াল

রাজার যে হাতিটা তাঁর আর সকল হাতির চেয়ে ভালো আর বড় দেখতে সুন্দর, সেইটে তাঁর ‘পাটহস্তী’। সেই হাতিতে চড়ে রাজামশাই চলাফেরা করেন, আর তাকে খুব ভালবাসেন। একদিন রাজার পাটহস্তী মরে গেল। রাজা অনেকক্ষণ ভারি দুঃখ করলেন, শেষে বললেন, ‘ওটাকে ফেলে দিয়ে এস।’ তখন সেই হাতির পায়ে বড়-বড় দড়ি বেঁধে পাঁচশো লোক টেনে তাকে মাঠে ফেলে … বিস্তারিত পড়ুন

ছোট গল্প: গ্রীম ভাইদের রূপকথা

সে অনেকদিন আগের কথা৷ এক গ্রামে বাস করতো এক বৃদ্ধ কাঠুরিয়া৷ সে বনে কাঠ কাটতো৷ সারাদিন কাঠ কেটে, তা বাজারে বিক্রি করে যে কয় টাকা পেতো, তা দিয়েই চলতো তার সংসার৷ সংসার বলতে একটি মাত্র ছোট্ট ছেলে৷ সংসার খরচের টাকা থেকে একটু একটু করে বাঁচিয়ে কিছু টাকা জমালো কাঠুরিয়া৷ তারপর এক সকালে সে টাকা ছেলেটির … বিস্তারিত পড়ুন

উল্টো দৈত্যের গল্প

 জামাল সাহেব বীরপুরুষ। তিনি একাই বাসার সব কাজ করেন। কাজ শেষে অবসর সময়ে কাপড় কাচেন, ঘর মোছেন। ভাবছেন, তাঁর স্ত্রীকে দিয়ে তিনি কিছুই করান না? অবশ্যই করান। তাঁর ভাষায়, ‘আমার স্ত্রী রান্নাবান্নার কাজে আমাকে সাহায্য করেন।’ জামাল সাহেবের সম্প্রতি একটা নতুন বিশ্বাস জন্মেছে। তাঁর স্ত্রী তাঁকে কোনো প্রকার সাহায্য না করে যদি শুয়ে থাকেন, তাতেই … বিস্তারিত পড়ুন

টুনটুনির নৃত্য !

টুনটুনি গিয়েছিল বেগুন পাতায় বসে নাচতে। নাচতে-নাচতে খেল বেগুন কাঁটায় খোঁচা। তাই থেকে তার হল মস্ত বড় ফোঁড়া।ও মা, কি হবে? এত বড় ফোঁড়া কি করে সারবে? টুনটুনি একে জিগগেস করে, তাকে জিগগেস করে। সবাই বলরে, ‘ওটা নাপিত দিয়ে কাটিয়ে ফেল।’ তাই টুনটুনি নাপিতের কাছে গিয়ে বললে, নাপিতদাদা, নাপিতদাদা, আমার ফোঁড়াটা কেটে দাও না!’ নাপিত … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!