বুদ্ধিমান যুবক

ব্রহ্মদত্তের আমলে একবার বোধিসত্ত্ব এক বণিক বংশে জন্ম নেন। নিজের বুদ্ধি ও পরিশ্রমে তাঁর বেশ নামযশ হয়। কালে কালে বারাণসীর শ্রেষ্ঠ হলেন। ‘চুল্ল শ্রেষ্ঠী’ খেতাব পেলেন। জ্যোতিষ শাস্ত্র তাঁর খুঁটিয়ে পড়া ছিল। গ্রহ নক্ষত্র বিচার করে যাকে যা বলতেন অক্ষরে অক্ষরে ফলে যেত। বোধিসত্ব একদিন রাজদরবারে যাবেন। রাস্তায় দেখেন একটা মরা ইঁদুর পড়ে আছে। সেই … বিস্তারিত পড়ুন

রাজকন্যাদের গল্প

রাজ পথটা সোজা এসে মিলেছে পান্থশালায়। ঘোড়ার পিঠ থেকে নেমে দাঁড়ায় হেম আর হিয়া। তখনো শহর জাগেনি। ভরের সূর্যালোকের স্নিগ্ধ আভা দুজনের ধরে থাকা হাতে চুমু দিয়ে আমন্ত্রন জানায় সকালের শহরে। ওরা হাটতে হাটতে ঢুকে পড়ে প্রথম গলিতে। গলিটির তিনটি বাড়ি পরে রাজার বাড়ি। রাজার বাড়ির সামনে সবুজ ঘেরা স্বচ্ছ জলের সরোবর। হেমের খুব রাগ … বিস্তারিত পড়ুন

ঠকানো প্রশ্ন – সুকুমার রায়

গণেশ দাদা বললেন, ‘একটা গোরুর গলায় দশ হাত লম্বা মোটা দড়ি বাঁধা। সেখান থেকে পঁচিশ হাত দূরে এক আঁটি ঘাস আছে। কেউ ঘাস এগিয়ে দিল না, দড়ি ছিঁড়তে হলো না, অথচ গোরু অনায়াসে সেই ঘাস খেয়ে ফেলল। বল তো, এটা কী করে সম্ভব হয়?’ দামু বলল, ‘বুঝেছি। খুব হাওয়া হলো আর ঘাস উড়ে এসে পড়ল।’ … বিস্তারিত পড়ুন

পরীর দেশে একদিন —– নারায়ণ চন্দ্র রায়

ছোট বেলায় আমরা রাতে দাদীর সঙ্গে ঘুমাতাম। আমরা ঘুমাতে দেরী করলে বা ঘুমাতে না চাইলে দাদী আমাদের গল্প শুনিয়ে ঘুম পাড়াতেন। মাঝে মধ্যে দাদী আমাদের ছড়া কবিতা পাঠ করেও শুনাতেন। না ঘুমিয়ে কি আর থাকা যায়? আমরা গল্প শুনে ঘুমিয়ে পড়তাম। আমরা দাদীর কাছে পরীর গল্প শুনতে চাইতাম। আর দাদী আমাদের পরীর গল্প না শুনিয়ে … বিস্তারিত পড়ুন

আসম বন্ধুত্ব

এক শেয়াল আর এক কুমিরের খুবই বন্ধুত্ব ছিল। শেয়াল ছিল খুবই চালাক আর কুমির ছিল বোকার হদ্দ। এইনিয়ে নানা লোকে নানা কথা বলত , কুমিরের মনে রাগ হল সে ভাবল একবার আমি শেয়ালকে ঠকিয়ে দেখিয়ে দেব সাবাইকে আমি কিছু কম চালাক নই। কুমির চালাকি করার জন্য একদিন শেয়ালকে বলল “বন্ধু শেয়াল চলভাই আমরা চাষ করি।” … বিস্তারিত পড়ুন

কৃপন শেয়ালের গল্প

একবার এক সময়ের কথা, একটা জঙ্গলের পাশের একটা গ্রামে একটা শিকার থাকতো, তার বাড়িতে সে আর তার বৌ দুজনাতে থাকতো। সে একজন শিকারি ছিল, তাই শিকার করে সেইসব পশুপাখির মাংস বিক্রি করে, যে টাকা পয়সা পেতো তাই দিয়েই তার সংসার চলতো। শিকার করার জন্য কোন কোন দিন তাকে গভীর জঙ্গলের ভেতরেও যেতে হোত, আবার কখনো … বিস্তারিত পড়ুন

মুরগি —- বাণী বসু

মহাত্মা চন্টিক্লিয়ার, অর্থাৎ যিনি পরিষ্কার সুরে গেয়ে থাকেন, সেই মোরগপতি মরাঠাওয়াড়ার তেলিয়া গাঁওয়ের বর্ধিষ্ণু খামার খোন্দকার্স ফার্মের মুরগিঘরের ঢালু ছাদে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে মোরগকোশ রাগের তারসপ্তকে আলাপ ধরলেন— কোঁকর কোঁ, কঁক্ কঁ কঁ কঁ-অ-অ-অ। আকাশ-বাতাস চমকে উঠল। সুজ্জিবাবু বললেন, আরে যাই যাই, একটু সবুর করো। কাছাকোঁচাটা সামলে নিই! পুঁচকে রোগা খাল, খালের ধারের ঢালু জমি, … বিস্তারিত পড়ুন

দুই বন্ধু

দেশের নাম খোরাশান। ভারি সুন্দর এক দেশ। সেই দেশে ছিল দুইজন সাধু ব্যক্তি। একজন ছিল বেশ মোটাসাটা। খেতে খুব পছন্দ করত। দিনে দুইবার ভালো ভালো পেটপুরে না খেলে তার শান্তি হত না। অন্যজন ছিলেন সম্পূর্ণ আলাদা। শরীর ছিল লিকলিকে। হাড়-জিড়জিরে দেহ। খাওয়াদাওয়া একদম পছন্দ করত না। দুইদিন পরে একদিন খেত যে। দুজনেরই আবার খুব ভাল … বিস্তারিত পড়ুন

আক্কাছের মোবাইল –— রণদীপম বসু

ফুটপাথ ধরে হাঁটলে এরকম ছোটখাটো জটলা সামনে পড়বেই। পাশ কাটিয়ে যেতে যেতে একটা পরিচিত স্বরের ঝাঁঝালো কণ্ঠ শুনেই থমকে দাঁড়ালাম। দুকদম পেছনে এসে উঁকি দিতেই দেখি আমাদের আক্কাছ সাহেব ! নিশ্চয়ই উল্টাপাল্টা কেউ কিছু বলেছে ! আপাদমস্তক সৎ ও প্রতিবাদী আক্কাছ তো কাউকেও কেয়ার করার লোক নন। কিন্তু এবারে ভিকটিম ব্যক্তিটিকে তো নিরীহ গোবেচারা বলেই … বিস্তারিত পড়ুন

বোকা জোলা আর শিয়ালের কথা – উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

এক বোকা জোলা ছিল। সে একদিন কাস্তে নিয়ে ধান কাটতে গিয়ে খেতের মাঝখানেই ঘুমিয়ে পড়ল। ঘুম থেকে উঠে আবার কাস্তে হাতে নিয়ে দেখল, সেটা বড্ড গরম হয়েছে। কাস্তেখানা রোদ লেগে গরম হয়েছিল, কিন্তু জোলা ভাবলে তার জ্বর হয়েছে। তখন সে ‘আমার কাস্তে তো মরে যাবে রে!’ বলে হাউ-মাউ করে কাঁদতে লাগল। পাশের ক্ষেতে এক চাষা … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!